যারা বিবাহের জন্য দ্বীনদার পাত্র-পাত্রী দেখছেন, যাচাই-বাছাই করার জন্য কিছু বিষয় মাথায় রাখতে পারেন!

. পাত্র-পাত্রী নির্বাচনে দেখবেনঃ . ১. সপ্তাহে কতদিন তাহাজ্জুদে উঠে। ২. কুর’আন বছরে কতবার বুঝে বুঝে পড়ে শেষ করে। ৩. মাসে কত টাকা হাত খরচ করে, কেননা এর মাধ্যমে তার যুহদ সম্পর্কে আইডিয়া পাওয়া যাবে। ৪. প্রতিদিন হাদীস পড়ার অভ্যাস আছে কিনা। ৫. কত দিন পর পর নতুন জামা-কাপড়, জুতা ইত্যাদির শপিং করে, এর মাধ্যমেও যুহদ সম্পর্কে আইডিয়া পাওয়া যাবে। ৬. ঈদের সময় কত টাকা খরচ করে শপিং করে, এর মাধ্যমেও যুহদ সম্পর্কে আইডিয়া পাওয়া যাবে। . বিশেষ করে ভাইয়েরা পাত্রী নির্বাচনে দেখবেনঃ . ১. পাত্রী নিকাব ও হাত মোজা, পা মোজা সর্বদা পরিধান করে কিনা। ২. পাত্রী গাইরে মাহরাম আত্মীয়দের সামনে কীভাবে চলাফেরা করে। ৩. ফ্যামিনিজমের ভূত মাথায় আছে কিনা! এটা বুঝার জন্য বিভিন্ন প্রশ্ন করা যেতে পারে। ৪. শারী’আতের বিধান ২য়, ৩য় বিয়েকে “অপছন্দ” করে কিনা, অপছন্দ করা মানেই তার শারী’আতের বুঝ নেই। [উল্লেখ্য যে, আমি আপনাকে ২য়, ৩য় বিয়ে করতে অনুপ্রেরণা দিচ্ছি না।] . বিশেষ করে বোনেরা পাত্র নির্বাচনে দেখবেনঃ . ১. পাত্রের বড় দাড়ি আছে কিনা। ২. জামা’আতে সালাত আদায় করে কিনা। ৩. টাখনুর উপর প্যান্ট/পায়জামা পরিধান করে কিনা। ৪. স্ত্রীর পর্দা ও দ্বীনদারিতা রক্ষার্থে কী কী পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবে; যদি পাত্রের পরিবার দ্বীনদার না হয়। . . উল্লেখ্য যে, এগুলো আমার বুঝ। আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করার পূর্ণ অবকাশ রয়েছে। . উস্তায মাইনুদ্দীন আহমাদ

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *