কোভিড-১৯ আল্লাহ সৃষ্ট আযাব নাকি মানব সৃষ্ট ওয়েপন?

কোভিড-১৯ আল্লাহ সৃষ্ট আযাব নাকি মানব সৃষ্ট ওয়েপন? যদি বায়োলোজিকাল ওয়েপন হয় তাহলে কে তৈরি করেছে- চীন, আমেরিকা নাকি ইলুমিনাটি-যায়নিস্টরা? এই দুটি বিষয় হল করোনা নিয়ে আমাদের প্রথম ও প্রধান কনফিউশন। মেইনস্ট্রিম থেকে অলটারনেট সকল মিডিয়াতে আমরা এই আলোচনা দেখেছি। পার্থক্য শুধু এটাই আমাদের নিকট যা আল্লাহ সৃষ্ট তাদের কাছে তা প্রাকৃতিক সৃষ্ট। আমাদের অনেক ভাই এই বিষয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। ফেবু ইউটিউবে হাজারো পরস্পর বিরোধী ভিডিও লেখা-প্রমাণ প্রতিনিয়ত প্রকাশ পাচ্ছে। আমাকে অনেকে লিংক শেয়ার করছেন, বাস্তবতা জানতে চাচ্ছেন। আমি শুরু থেকেই আমার কঙ্কলুশনে অনড় ছিলাম, কিন্তু বিরোধী মতের অত্যাধিক তথ্য উপাত্ত আমাকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে। আলহামদুলিল্লাহ্‌ অবশেষে আল্লাহ আমাকে এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব থেকে বের করে সঠিক কঙ্কলুশনে পৌঁছতে সাহায্য করেছেন। বিপদ আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত আসে না আমি যখন কোনো বিষয়ে দ্বিধায় পড়ি তখন কুর’আনের দিকে মনোযোগী হই। এই আলোকিত গ্রন্থ প্রতিনিয়ত আমাদের পথ দেখায়। পবিত্র কুর’আনে আল্লাহ বলেন, مَآ أَصَابَ مِن مُّصِيبَةٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ “আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোন বিপদ আসে না।” (সূরা তাগবুন- ১১) করোনাভাইরাস আমাদের জন্য একটি বিপদ ও পেরেশানি। আর বিপদ অবশ্যই আল্লাহর অনুমতি নিয়ে আসে। অতএব, করোনা আল্লাহ প্রেরিত একটি বিপদ, যা আমাদের উপর আপতিত হয়েছে। যদি এটা মানব সৃষ্ট হয়েও থাকে তাও সেটা আল্লাহর অনুমতি নিয়েই কাজ করছে। তাই এমন সম্ভবনাও রয়েছে কোনো পক্ষের তৈরিকৃত করোনা নামক ওয়েপনকে আল্লাহ আযাবে পরিণত করেছেন। বায়োলজিক্যাল ওয়েপন করোনা যদি বায়োলজিক্যাল ওয়েপন হয়, তবে এটা কে সৃষ্টি করেছে? আর অবশ্যই এটা সৃষ্টির পিছনে কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে, তাহলে সঙ্গত প্রশ্ন আসবে এর পিছনের উদ্দেশ্য কী? কে সৃষ্টি করেছে? এর তিনটি পৃথক দাবী দেখেছি। আমেরিকা চীন যায়নিস্ট- ইলুমিনাটি- এলিট পাওয়ার এখানে আমরা তিনটি থিওরি এবং এর বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরব। ১) প্রথম সম্ভাবনা হল আমেরিকা তৈরি করেছে চীনের জন্য। যাতে চীনের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যায়। ব্যাপক আকারে মৃত্যু ঘটে, এবং চীনের অর্থনীতির পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সামরিক উত্থান থেমে যায়। এই সম্ভবনা অনেক দুর্বল। কেননা করোনার ফলে চীনের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। করোনা মোকাবেলা করার পরে চীন এখন স্ট্যাবল মুডে আছে, বরং তারা পুরো বিশ্বে সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, ইউরোপকে ভাগ করে আলাদা আলাদা ভাবে তারা সাহায্য প্রেরণ করছে। আমরা একে বলতে পারি চাইনিজ ডমিন্যান্স। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ব্যতীত সকল মিত্র রাষ্ট্রে ইতিমধ্যে তারা মেডিকেল স্যাপ্লাই পাঠিয়েছে। পুরো বিশ্বের ফ্যাক্টরি যখন বন্ধ, তাদের ওখানে প্রডাকশন চলছে। করোনা এবং পোস্ট করোনা পিরিয়ডের জন্য তাদের চেয়ে ভালো প্রস্তুতি কারো নেই। কৃষি পণ্য থেকে প্রযুক্তি সব কিছু উৎপাদনে তারা পুরো বিশ্বে এগিয়ে। আমেরিকার সবচে বেশি ফরেন ডেপ্ট আছে চায়নার হাতে। করোনার ফলে আমেরিকায় যে বাজার ধ্বস হচ্ছে চীন আমেরিকার বাজার দখল করে নিচ্ছে সহজেই। তাদের কাছে আছে তেল এবং স্বর্ণের বড় রিজার্ভ। সব মিলিয়ে চীনের ক্ষতি তো দূরের কথা, বরং তারা লাভবান হবে। তেলের মূল্যও কম এতেও তারা সবচে বেশি সুবিধা পাবে। তাই আমেরিকা চীনের ক্ষতি করতে করোনা পাঠিয়েছে বা বানিয়েছে এই থিওরি সঠিক নয়। ২) চীন তৈরি করেছে আমেরিকা এবং ইউরোপকে ধ্বংস করে, রাজনীতি এবং অর্থনীতি ভাবে লাভবান হতে। এটার কোনো প্রমাণ আমেরিকা বা তার এলির কাছে নেই। আমেরিকা শুধু দাবী করেছে। চীন যখন আমেরিকার উপর করোনা পাঠানোর অভিযোগ করেছিল, এর পাল্টা জবাব হিসেবে মূলত আমেরিকা চীনকে উল্টো দোষারোপ করে বসে। শত্রু রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এমন কূটনীতিক স্ট্যান্ড নতুন কিছু নয়। আমেরিকা-সোভায়েত, পাক-ভারত, উত্তর কোরিয়া- দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকা-রাশিয়া ইত্যাদির দের ক্ষেত্রে এভাবেই পাল্টা জবাব দেবার ইতিহাস অনেক রয়েছে। চীনকে কিছুটা হেনস্থা করতেই ট্রাম্প এডমিনিস্ট্রেশন চাইনিজ ভাইরাস, উহান ভাইরাস বলেছে, এছাড়া এর পক্ষে তেমন প্রমাণ নেই। যা অল্টারনেট মিডিয়া দাবী করছে সেগুলো অধিকাংশই মিথ্যা। একটি জিনিস মনে রাখতে হবে, আমেরিকা এবং ন্যাটো চীন বা রাশিয়ার হাতে নিজেদের ক্ষতি মেনে নিবে না, তার জনগনের মৃত্যু মেনে নিবে না। চীন এত বড় একটি অস্ত্র তৈরি করে তাদের ধ্বংস করছে, দৈনিক হাজার মানুষ মরছে, কোটি কোটি লোক বেকার হচ্ছে, আর আমেরিকা বসে থাকবে, মামলার ভয় দেখাবে এটা শুনতে হাস্যকর মনে হয়। বরং সামান্য সন্দেহ হলেই আমেরিকা ও ন্যাটো যুদ্ধ ঘোষণা করে দিত। বসে বসে নিজেদের ধ্বংস দেখত না। করোনার জন্য তারা পুরো পাবলিক সাপোর্ট পেত। শুধু সন্দেহের বসে ব্লাক ডেথে হাজারো ইহুদিকে যারা পুড়িয়ে হত্যা করেছিল তারা এখন বসে দেখবে, তাদের জনগন চুপ করে থাকবে তা ভাবা যায় না। সুতরাং এই থিওরিও ভুল। ৩) যায়োনিস্ট- ইলুমিনাটিরা তৈরি করেছে। যাতে আমেরিকা ইউরোপকে অস্থিতিশীল করা যায়। এছাড়া আরো বিষয় আছে যেমন, বিশ্ব অর্থনীতি ধ্বংস করা, পুলিশ স্টেট, মিলিটারি নামানো, জনগণের প্রাইভেসি কমিয়ে দেয়া, ভ্যাকসিন, পপুলেশন কোন্ট্রল, ডিজিটাল কারেন্সি, বিশ্ব যুদ্ধ, এজেন্ডা-২১ ইত্যাদি। এই দাবী পুরো হল অলটারনেট মিডিয়ার। আমার পরিচিত বহু মানুষ এই থিওরিতে বিশ্বাস করেন। এই দাবীর পক্ষে অনেক প্রমাণ রয়েছে। তাই এটা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবে আমার কাছে কিছু বিষয় অযথা ও অতিরঞ্জিত মনে হচ্ছে। যে কোনো রাষ্ট্রকে যুদ্ধের পূর্বে, বা দেশের পুরো নিয়ন্ত্রন নিতে পুলিশি রাষ্ট্র বানাতে হয়। জনগণের সবকিছু নিয়ন্ত্রন করা হয়। চলাচল লেন-দেন সব কিছু। জনগণের প্রাইভেসি কমে যায়। আচ্ছা এখন কি আমরা স্বাধীন? পুলিশ স্টেট কি এখন নেই? কোন রাষ্ট্রে পিওর ডেমোক্রেসি আছে? ইউরোপ আমেরিকা বা ন্যাটো এমনিতেও চলে ওয়ার ডিপেন্ড স্ট্রাটেজি নিয়ে। মিলিটারির গুরুত্ব সেখানে অনেক। বাংলাদেশ, মধ্যপ্রাচ্য, পাকিস্তান, ইরান, মিশর, লিবিয়া, এই সব কি পুলিশ স্টেট না? চীন রাশিয়াতে কী গণতন্ত্র আছে? বা ইন্ডিয়াতেও কি পিওর ডেমোক্রেসি আছে তাহলে কেন পুলিশ স্টেট তৈরি করতে আলাদা ভাবে করোনার মত কিছু আনতে হবে। যুদ্ধ কিংবা স্টেট ইমারজেন্সিতে এমনিতেই রাষ্ট্র পুরো ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ নিজ হাতে নিয়ে নেয়। এটা নতুন কিছু নয়। সামনে আগত মহাযুদ্ধে পুলিশ স্টেট নিজে নিজেই হয়ে যাবে। জনগন না আগে বিরোধীতা করেছে না ভবিষ্যতে করবে। জেনারেল পিপল কি ডিজিটাল কারেন্সির বিরোধীতা করেছে? বা করতে পারে? এই ভেড়ার পালরা ডলারের মত ফিয়াট মানিকে মেনে নিয়েছিল সহজে। এরা নিজেই ক্যাশের চাইতে এটিএম কার্ড, ডেবিট/ ক্রেডিট কার্ড, অনলাইন ব্যংকিং ব্যবহার করতে বেশি সাচ্ছন্দ্য বোধ করে তারা আবার এর বিরোধীতা করতে যাবে কেন? বরং খুশী হয়ে মেনে নিবে। দ্বিতীয়ত ফিয়াট মানি সিস্টেম ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে কেবল একজন বুঝে তাহলে ডিজিটাল কারেন্সির ভয়াবহতা কত সংখ্যক মানুষ বুঝবে, আর কতজনই বা প্রটেস্ট করবে, যার ভয়ে যায়নিস্টরা করোনা নামক অস্ত্র ব্যবহার করবে। একই কথা খাটে ভ্যাকসিনের জন্য। শৈশবে আমি আপনি এবং আমাদের আশে পাশে সকলেই ভ্যাকসিন নিয়েছি। ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে স্বল্প পরিসরে আফগানিস্তান পাকিস্তান ছাড়া আর কোথাও তেমন বিরোধীতা হয়নি সামনে বিরোধীতা হবে এরো কোনো সম্ভবনা নাই, তাহলে কেন তারা করোনার মত অস্ত্র তৈরি করবে? বিশ্ব অর্থনীতি ধ্বংস করার জন্য করোনার তৈরি হয়েছে বলে যারা দাবী করছেন তারা তো বেশ ভালো করেই জানেন যে বিশ্ব অর্থনীতি যায়নিস্ট-ইলুমিনাটিদের হাতে রয়েছে তাহলে তারা কেন ধ্বংস করতে করোনা অস্ত্র ব্যবহার করবে? তারা চাইলে রেসেশন বা ডলার কলাপ্স করাতে পারে। কেননা ফেডারেল রিজার্ভে তাদের সোল ওনারশিপ রয়েছে। এই থিওরির পক্ষে একটি বড় যুক্তি হল পোপুলেশন কন্ট্রোল, এজেন্ডা-২১ থিওরি। আরেকটি হল প্যাক্স আমেরিকানা ধ্বংস করে প্যাক্স জুডাইকা তৈরি করা। একটি জিনিস মনে রাখুন, এই ভাইরাস দিয়ে আমেরিকা ধ্বংস হবে না তবে ধ্বংস ত্বরান্বিত হবে। একটি যুদ্ধ ছাড়া কখনই প্যাক্স জুডাইকা তৈরি হবে না। আমেরিকার পতন হবে না। আর যুদ্ধ হলে এমনিতেই কোটি কোটি লোক মারা যাবে। হাদিসেও এমনটি এসেছে। তাই করোনা দিয়ে পোপুলেশন কমাতে যাবে কেন, যুদ্ধেই তো মরবে, দুর্ভিক্ষতে মরবে। করোনা কি যুদ্ধের দিকে নিতে পারে? হ্যা নিতে পারে। তবে করোনা ছাড়াও যুদ্ধের অনেক কারণ আছে। এসাসিন করে যুদ্ধ বাঁধানো যায় যা আমরা বিশ্ব যুদ্ধে দেখতে পেয়েছি। মধ্যপ্রাচ্যেও মহাযুদ্ধের অজস্র কারণ বিদ্যমান রয়েছে। আছে চীনা আগ্রাসন ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড-সাউথ চায়না সী ইস্যু। ইউরোপের বর্ডারে এবং মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার আগ্রাসন নীতি। এই সব গুলো ফ্যাক্টর যুদ্ধ বাঁধানোর জন্য যথেষ্ট। এমনিতেই ডলারের পতন সামনে আসছে। করোনা মহাযুদ্ধ, দাজ্জালের আগমন, প্যাক্স জুডাইকার দিকে বিশ্বকে এক ধাপ আগে নিয়ে যাবে। মূল কারণ এটা হবে না। Agenda-21: এই পরিকল্পনা তৈরি করা হয় ১৯৯২ সালে। অনেক কিছু আছে এই এজেন্ডায়। পোপুলেশন কন্ট্রোল এর মধ্যে একটি। এই পরিকল্পনা পূরণে GMO, পরিবার পরিকল্পনা, ভ্যাকসিন, বিভিন্ন মেডিসিনের সাইড ইফেক্ট, 5G নেটওয়ার্ক ফ্রিকোয়েন্সি ইত্যাদি ব্যবহার করা হচ্ছে। সামাজিক ক্যাম্পিং, মুভি নাটক, সোসাল প্রোগ্রাম করে তারা জনসচেতনা! তৈরি করছে। মানুষের জন্মাহার ইতিমধ্যে কমানো হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো কমবে। এটা জাতি রাষ্ট্রের একটি পরিকল্পনা। আমি মনে করি ইসলামি জিহাদি মুভমেন্ট, ৯/১১ ও তালিবানের ক্ষমতা এবং রাশিয়া-চীনের উত্থানের সাথে সাথে এই সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। এই পরিকল্পনা ইউনিপোলার বিশ্বতে নেয়া হয়েছিল, তখন আমেরিকা যা চাইত তাই করতে পারত। এখন বিশ্ব মাল্টিপলার। আমেরিকার আধিপত্য এখানে চলে না। সমকামিতাও আছে এই প্লানে। কিন্তু কয়েকদিন আগে পুতিন স্পষ্ট সমকামি বিয়েকে আইন করে নিষিদ্ধ করেছে। জনগণের স্বাধীনতা, অবাধ অর্থনীতি সুবিধা ইত্যাদিও আছে এতে যা চীন রাশিয়া আফগানে সম্ভব হয়নি হবেও না। দারিদ্র দূরীকরণের মত প্রধান বিষয় আছে এতে যা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। বিশ্বে ৯৪ কোটি লোক দুই বেলা খেতে পারে না। অতএব এই এজেন্ডাকে এত বড় করে দেখার কিছু নেই। যদিও সমাজ দিন দিন ভয়ংকর অবক্ষয়ের দিকে যাচ্ছে, যা দাজ্জালের স্টেজ তৈরি করতে সহায়ক হচ্ছে। আর সমাজের বিবর্তনে এই এজেন্ডা নয় বরং কিছু গোপন কারণ আছে। তা বিভিন্ন পোস্টে আমি প্রায় আলোচনা করে থাকি। আরেকটি দাবী হল, যে করোনা আসলে কোনো মহামারী না মিডিয়া হাইপ করছে। হতে পারে এটা ওয়াল্ড গভারমেন্টের চাল। নিউ ওয়াল্ড অর্ডার তৈরি করতে ইলুমিনাতিরা এটা করিয়েছে। তাদের যুক্তিও কম নয়। তবে আমি সেদিকে না গিয়ে বলব, আপনারা কি মনে করেন দুনিয়ার সকল রাষ্ট্র প্রধান কি অভিন্ন উদ্দেশ্যে একমত? তারা জনগনকে বোকা বানাচ্ছে, তাও কোনো কারণ ছাড়া। জিও-পলিটিক্স এভাবে চলে না। হ্যা করোনা নিয়ে হাজারো ভুল তথ্য আছে, ভুল রিসার্চ আছে, মিডিয়া হাইপ আছে, মানুষের মধ্যে প্যানিক আছে তবে এর মানে এই নয় যে পুরো বিষয়টি ফেইক। মানুষ ফিকশন পাগল। যুগে যুগে হাজারো লেখক ফিকশন লিখেছেন। এলিয়েন, রূপকথা, ডাইনোসর, অজানা দ্বীপ ইত্যাদি নিয়ে যেমন ফিকশন এসেছে তেমনি এক সময় মহামারী প্লেগ নিয়েও অনেক ফিকশন লেখা হয়েছে। এমন হাজারো বই এর মধ্যে এক দুটি বই এর লেখা এমন যেন বর্তমানের সাথে মিলে গেছে তাই বলে সেখানে ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছে বলা যাবে না। ইতিহাসের বড় বড় মহামারীর অধিকাংশ চীন থেকে শুরু হয়েছিল, তাই দ্য আই অফ ডার্কন্যাস ফিকশন রাইটার তার গল্পে চীনের কথা আনবেন এটা অস্বাভাবিক নয়। ১৯২০ সালে স্প্যানিশ ফ্লু হয়েছিল লেখক সে হিসেবে একশ বছর পরের ডেট ২০২০ বেঁছে নিয়েছেন। কিন্তু তার অন্যান্য তথ্যের সাথে করোনার তেমন মিল নেই। বইতে উহান-২০২০ ডিসিসে মৃত্যুহার ছিল ১০০% এবং ১২ ঘন্টা থেকে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যেত। করোনার ক্ষেত্রে এমনটা হয়নি। একই ভাবে Contagion একটি ফিকশন মুভি। যে কেউ এই মুভি লিখত সে এমন বিষয় গুলোই নিয়ে আসত। করোনা নাম কি আসলে ৬৬৬ কে ইন্ডিকেট করে? করোনা নামটি এই বছর দেয়া হয়নি। ২০০৪ সালে এই নামকরণ করা হয়। করোনার পুরো নাম করোনাভাইরাস। যাকে WHO কোভিড-১৯ নাম দিয়েছে। তাই এখানে ৬৬৬ খুঁজে বেরানোর কিছু দেখছি না আমি। বিল গেটস পূর্বেই এমন মহামারি নিয়ে সতর্ক করেছেন, তাই বলে এটা তার প্লান হয়ে যায় না। সার্স মহামারির পরে এপিডেমিস্টরা প্রায় ১৬ বছর ধরেই বিশ্বকে এক আননোন ভাইরাস (অজানা ভাইরাস) সম্পর্কে প্রস্তুতি নিতে বলছিল। ৩ বছর আগে বিল গেটস ঐ একই কারণে বিশ্ব শক্তিকে সতর্ক হতে বলে।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *