সঠিক জ্ঞানের অভাবে কারো কারো কাছে কথাগুলি খাটকা লাগতে পারে।

(Author: Shiblee Mehdi) সঠিক জ্ঞানের অভাবে কারো কারো কাছে কথাগুলি খাটকা লাগতে পারে। এখন অনেকেই নানাভাবে সাহায্যের হাত এগিয়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক অবস্থা আরো ভয়ংকর হবে – এক্সপার্টদের দাবি। সেই বিষয়গুলি মাথায় রেখে ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে শুরু করে ছোট-বড় সংগঠন বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছে। আল্লাহ্‌ যেনো কবুল করেন। সমস্যা এই যে, কেউ কেউ স্পষ্ট বলে দিচ্ছেন এবং ট্রেন্ড শুরু হচ্ছে এই ধরনের কথার, ❝আমরা সোয়াবের আশায় এ কাজ করছি না। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছি মানবতা আর বিবেকের কারণে।❞ বিষয়টা এমন নয় যে, তারা কখনই কোনো কাজের মাধ্যমে সোয়াবের আশা করেই না বা সোয়াব অনেক বেশি হয়ে গেছে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতে তারা যেই অবদান রাখছেন – এগুলির জন্য তারা কেউ কেউ কোনো প্রকার সোয়াবের আশা করছেন না। যার অর্থ আল্লাহ্‌র কাছ থেকে কোনো প্রতিদানের আশা করছেন না এবং এটা মারাত্মক বড় একটা বোকামী। যদিও অনেকেই এটাকেই অধিক স্মার্টনেস হিসাবে দেখছেন। হয়তো মনে করছেন, এভাবে কথা বললে অধিক মানুষ অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে উৎসাহিত হবে। সেলিব্রেটি টাইপের কেউ এমন কথাও বলেছে, ❝পরকালের জন্য তো অনেক করলেন, এবার না হয় মানবতার জন্য পাশে দাঁড়ান।❞ কথাগুলি শুনতে খুব চমৎকার লাগে, নতুন ধরনের কথা তো, শুনতে ভালোই লাগে! অথচ একজন মুসলিম তার সময়, সম্পদ, শক্তি, মেধা থেকে যা কিছু ব্যয় করে অবশ্যই আল্লাহ্‌র কাছ থেকে তার প্রতিদানের আশা রাখবে ইহকালে এবং পরকালেও। এবং আমাদের দান যতো ক্ষুদ্রই হোক, আল্লাহ্‌ যখন প্রতিদান দেন, তা বহুগুণে বাড়িয়ে সর্বোত্তমটাই দেন। আর তাই, সোয়াবের আশা না করা বা আল্লাহ্‌র প্রতিদান পাবার আশা না করা স্মার্টনেস তো নয়ই বরং চরম বোকামি, দুঃসাহস এবং প্রকারান্তে চরম স্পর্ধা ও অহংকার প্রকাশ পায়! অজ্ঞানতা বশত যাদের নিয়াত আল্লাহ্‌র জন্য ছিলো না, তারা এখুনি নিয়াত আল্লাহ্‌র জন্য করুন। কথাগুলি পড়ে মনে হতে পারে, অসহায় মানুষদের উপকার করেও বিনিময়ে কিছু পাবার আশা করা চরম স্বার্থপরতা, এ কেমন মুসলিম! অথচ একজন মুসলিম তার সকল কাজের বিনিময় আল্লাহ্‌র কাছ থেকে চাইবে এই স্বার্থপরতাই থাকতে হবে। মুহাম্মাদ ﷺ বলেছেন, ❝প্রতিটি কাজের ফলাফল নিয়াতের উপর নির্ভরশীল❞ আর তাই, আল্লাহ্‌র কাছ থেকে প্রতিদানের আশা ছাড়া যতো বিশাল পরিমান দানই হোক না কেনো, কোনো কাজে আসবে না। পক্ষান্তরে যতো ক্ষুদ্র দানই হোক, তার প্রতিদান বিশাল হতে পারে। এমন কি এই কথাগুলি লেখার মাধ্যমেও আমি আল্লাহ্‌র কাছ থেকে প্রতিদান আশা করি। বলেন কি শিবলী ভাই? অবশ্যই, আপনারাও যারা লাইক, শেয়ার দিয়ে (বা অন্য কোনোভাবে) সত্য কথাগুলিকে অন্যদেরকে জানাবেন – অবশ্যই বিনিময়ে রব্বুল আলামিনের কাছ থেকে প্রতিদানের আশা রাখবেন। আমাদের একটা কথা, দান, লাইক, শেয়ারও বৃথা যাবে না ইন্‌ শা আল্লাহ্‌।Show less

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *