ইমাম আহমাদের রহঃ ৩০০ রাক’আত সালাত নিয়ে অনেকের মাথা ব্যাথা!
ইমাম আবু হানিফা রহঃ এবং আরো সাহাবী এবং সালাফদের আমল নিয়ে যাদের মাথা ব্যাথা।
তারা বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কী ৩০০ রাক’আত পড়েছেন?!
.
এসব বলে তারা দাবী করেন, এসব আজগুবী বানোয়াট কথা! দুঃখজনক হলেও সত্য, আমরা অনেক কিছুকে বানোয়াট বলা শিখেছি, কিন্তু কোনটা বানোয়াট আর কোনটা সত্য তা যাচাই করার পদ্ধতি ও মূলনীতি শিখিনি!
.
আচ্ছা, আপনারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাতের সালাত নিয়ে কখনো ভেবেছেন?!
.
বিভিন্ন সহীহ-হাসান হাদীসের আলোকে জানা যায়, তিনি এক রাক’আতে প্রায় ৭ পারা কুর’আন পড়তেন, রুকু ও সাজদাহতে কির’আতের সমপরিমাণ সময় অতিবাহিত করতেন।
আর এটাতো জানা বিষয় যে, তিনি ধীরতা ও তারতীলের সাথেই কুর’আন পড়তেন, রকেট গতিতে নয়!
.
এবার আমার প্রশ্ন, মিনিট-ঘন্টার হিসাবে এটা কীভাবে সম্ভব?!
.
৭ পারা কুর’আন এক রাক’আতে, তার সমপরিমাণ সময় রুকুতে, তার সমপরিমাণ সময় রুকু থেকে উঠে দাড়িয়ে, তার সমপরিমাণ সময় প্রথম সাজদায়, তার সমপরিমাণ সময় সাজদাহ থেকে উঠে বসে, তার সমপরিমাণ সময় দ্বিতীয় সাজদায় এরপর আবার ২য় রাক’আতের কির’আত এবং এখানেও প্রথম রাক’আতের পদ্ধতিতেই, তবে ১ম রাক’আতের তুলনায় একটু সংখিপ্ত।
.
এভাবে ৮ রাক’আত কিয়ামুল লাইল ইশার পর শুরু করে ফজরের পূর্বে শেষ করা মিনিট-ঘন্টার হিসেবে কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
.
এটা কেবল বারাকাহ এর মাধ্যমেই সম্ভব।
.
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন কিয়ামত নিকটবর্তী হবে তখন সময় সংকুচিত হবে।
এর মানে ২৪ ঘন্টা কমে ১০ ঘন্টা হয়ে যাওয়া নয়, বরং সময়ে বারাকাহ থাকবে না, দ্রুত সময় চলে যাবে। যা বর্তমানে হচ্ছে।
.
যারা কেবল বস্তুবাদী ও যান্ত্রিক চিন্তা-চেতনা লালন করেন, তারা ‘বারাকাহ’ বুঝা থেকেও বঞ্চিত, আর ‘বারাকাহ’ পাওয়া থেকেও বঞ্চিত। #উস্তাজ মাইনউদ্দিন