ইসরায়েল ভীতি
১.
বনু ইসরাইল পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্য জাতি হিসেবে বিখ্যাত। কোরআন মাজীদেও তাদের অপরাধের উদাহরণ আছে ভুরি-ভুরি। কোরআনে বর্ণিত নিকৃষ্ট জাতির মাঝে ইহুদি অন্যতম। তাদের অপরাধের তালিকাও তেমন বড়। এরা নবীদের হত্যা করতো। রক্ষকদের বক্ষণ করতো। স্বচক্ষে কুদরত দেখার পরও আল্লাহ তাআলাকে তাদের সময় মতো অস্বীকার করতো।
ইতিহাস স্বীকৃত, এরা কূটকৌশলী। সশস্ত্র যুদ্ধের বদলে শত্রুপক্ষ-কে গায়েল করার জন্য স্নায়ু যুদ্ধ তথা কূটকৌশল যুদ্ধ করে বেড়ায়। তাদের দীর্ঘ পরিকল্পনা ও কর্ম তৎপরতা সম্পর্কেও বিশ্ব অবগত। মোটকথা খারাপের খারাপ হিসেবে ইহুদি সর্বসাধারণের কাছে পরিচিত।
২.
ইদানীং দেখা যায়, কিছুলোক নিজেদের শাণিত কলম এবং বেপরোয়া ইউটিউবে ইসরায়েল ভীতি ছড়ানোর গুরুদায়িত্ব আঞ্জাম দিচ্ছে। এ-বিষয়টা সম্পর্কে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা বর্তমান সময়ে অপরিহার্য।
প্রথমত- নিকৃষ্ট, জঘন্য ও কূটকৌশলী জাতি হিসেবে ইহুদি অন্যতম, এ-কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। তারা মুসলিমিদের বড় শত্রু এ-কথাও ইতিহাস স্বীকৃত। মুমিনের জন্য সবচেয়ে বড় ফিতনা- দাজ্জাল তাদের মধ্য হতে বা পক্ষ হয়েই আসবে, যা হাদীস বর্ণিত।
কিন্তু তাই বলে তাদেরকে আলিমুল গাইব তথা সবজান্তা বা সর্ব-শক্তিমান ভাবা কোন মুমিনের কাজ হতে পারে না। কী এক অবস্থা! আল্লাহর চাইতে অধিক শক্তিশালী ভাবছে ইহুদিদের। অথচ আল্লাহ তাআলার নুসরতের কাছে এদের শত্রুতা ঠুনকো বৈ কিছু না।
৩.
তাদের যুক্তি হয়তো- ‘আমরা সতর্ক করছি।’ মুমিনগণ মালাহামা, ফিতান, গাজওয়ায়ে হিন্দসহ কিতাবুল ফিতানের সব সতর্কবার্তা সম্পর্কে অজ্ঞ- আমরা এটা অকপটে স্বীকার করি। তাই বলে সতর্কতার নামে ইসরায়েল ভীতি কখনো ভালো ফল এনে দিবে না।
যখন কোন রাষ্ট্রের সাথে অপর রাষ্ট্রের যুদ্ধ লাগে, মূলনীতি হলো- বিপরীত পক্ষকে নিজেদের চেয়ে দুর্বল ভাবা। এতে নিজ দলের শক্তি কম থাকলেও মনোবল চাঙা থাকে। এজন্য বিজয় ছিনিয়ে আনাও সহজ হয়ে ওঠে। এটা যুদ্ধের কমননীতি, সর্বজন পরিচিত কৌশল। আবার এর ব্যাতিক্রম করলে ঘটবে বিপত্তি। ময়দানে গিয়ে আপনার পক্ষ হীনমন্যতায় ভুগবে এবং যুদ্ধের উদ্দীপনা হারিয়ে ফেলবে। আর এ-দোষে আল্লাহ তাআলার সাহায্যও হারাতে হবে।
সুতরাং ইসরায়েল, আমেরিকা, চীন, রাশিয়া, ভারতসহ যত বড় শত্রু আছে এদেরকে শত্রু হিসেবেই উপস্থাপন করুন৷ দাজ্জালের বেলায়ও তাই করুন। কখনো এদের সম্পর্কে ভীতি সঞ্চার করবেন না। করলে তবে কাফিরদের সহযোগিতা হবে, আপনার এই সতর্কতা মুমিনদের ক্ষতি বৈ কোন কাজে আসবে না।
৮-৪-২০২০ (মারিফ তাকী)