প্রশ্নঃ তারাবীহতে কুরআন দেখে দেখে সালাত পড়া যাবে? যাতে খতমের সওয়াব পাওয়া যায়। বিদেশে অনেক জায়গায় এমনটা দেখেছি? সম্মানিত মুফতীগনের নিকট এব্যাপারে ফতোয়া জানতে চাই।
উত্তরঃ الجواب باسم ملهم الصواب
নামাযে দেখে দেখে কুরআন তেলাওয়াত করলে নামায ভেংগে যাবে। সুতরাং যতটুকু মুখস্ত সে অনুযায়ী নামায আদায় করলেই যথেষ্ট। দেখে পড়ার প্রয়োজন নেই।
১/ তাবেয়ী ইব্রাহীম নাখয়ী রহঃ বলেন, সাহাবাগণ নামাযে দেখে দেখে তিলাওয়াত করাকে অপছন্দ করতেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা- ৭২২৭)
২/ সাহাবী সুয়াইদ ইবনে হানযালা থেকে বর্ণিত আছে, তিনি এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন যিনি মুসহাফ দেখে ইমামতি করছিল, তিনি উক্ত ব্যক্তিকে পা দিয়ে আঘাত করলেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা- ৭২২৪, কিতাবুল মাসাহিফ ৭৮৭)
৩/ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, ” আমিরুল মুমিনীন উমর ইবনুল খাত্তাব রা. আমাদেরকে কুরআন দেখে দেখে ইমামতি করতে নিষেধ করেছেন এবং আরো নিষেধ করেছেন যেন, বালেগ না হয়ে ইমামতি না করে।” ( কিতাবুল মাসাহিফ লিল ইমাম আবি দাউদ – ১৮৯ পৃষ্ঠা )
অন্যান্য তথ্যসূত্রঃ
১- সুরা মুমিনুন 1-3
২- বুখারী- ৬০০৮
৩- বুখারী – ৭৪০
৪- আল বাহরুর রায়িক- ২/১৭
৫- দুররুল মুখতার- ১/৬২৪
৬- দুরারুল হুক্কাম- ১/১০৩
৭- মুলতাকাল আবহুর -১/১৮০
৮- আন নাহরুল ফায়িক- ১/২৭২
৯- তাবয়ীনুল হাকায়িক – ১/১৫৮
১০- ইলাউস সুনান- ১৪১৭
১১- আলফিকহুল ইসলাম ওয়া আদিল্লাতুহু – ২/৩২
© মারকাজুল উলূম আশ-শারিয়া ওয়া তারবিয়াতিল মুসলিমীন।
আপনি এটা না মানলে আপনাকে কেউ পিটাচ্ছে না, আপনার যেটা ইচ্ছা আপনি সেটা মানুন। কিন্তু কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ করবেন না… সুযোগ পেলেই একদল ঘেউ ঘেউ শুরু করে। হ্যাঁ, যারা দ্বীনের ফুরুয়ী ইখতিলাফ নিয়ে বাড়াবাড়ি করে তারাদের শয়তানই মনে করি আমরা। মুসলিমদের মাঝে কি করে ঝগড়া লাগানো যায় এটাই এদের কাজ।