পশ্চিমা নারীবাদপূজারীদের দেখলে খুব করুণা হয়।

পশ্চিমা নারীবাদপূজারীদের দেখলে খুব করুণা হয়। এদের না আছে পুঁথিগত জ্ঞান, আর না আছে বাস্তবতার জ্ঞান। সত্যিকার অর্থে এরা হলো পাশ্চাত্যের গোলাম। তাই তো গোলামির জন্যে সর্বদা উন্মুখ হয়ে বসে থাকে। পশ্চিম থেকে যা-ই আসে, সেটাকেই ওহি মনে করে নমঃ নমঃ করতে থাকে ভক্তিভরে।
.
এইসব নারীবাদীদের জিজ্ঞেস করতে চাই, তোমরা যে-সমান অধিকারের কথা বলো, তোমাদের মনিবেরা সেইটা বাস্তবায়ন করতে পেরেছে তো?
.
বলো তো, পাশ্চাত্যের গোয়েন্দা-প্রধানদের মধ্যে কতজন নারী দায়িত্ব পালন করেছে?
ওদের সেনাপ্রধানদের তালিকাটা নিশ্চয় ঘেটেছ। একটু কষ্ট করে বলো তো, ওখানে কতজন নারীর নাম দেখেছ?
ন্যাটোর নাম তো শুনেই থাকবে। ন্যাটোর কতজন প্রধান নারী ছিল?
আমেরিকার ইতিহাসে প্রেসিডেন্টের যে-কজন পলিটিক্যাল উপদেষ্টা ছিল, তাদের কতজন নারী ছিল?
কতজন নারী ওদের দেশে প্রধান-বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছে?
আমেরিকার প্রেসিডেন্টের তালিকাটা একবার হাতড়ে দেখো না। তাতেই তো থলের বিড়াল বেরিয়ে আসার কথা।
.
যে “সমতা” তোমাদের প্রভুরা এখনও বাস্তবায়ন করতে পারেনি, তোমরা সেটা করে ফেলবে?
এত বুদ্ধি নিয়ে ঘুমাও কেমনে? নাকি সারা রাত স্বামীর সাথে মল্লযুদ্ধ করে কাটাও?
.
আসলে, সমতার নামে নারীদের দিয়ে দ্বিগুণ কাজ করাতে চায় এরা। একগুণ হলো পুরুষদের জন্যে নির্ধারিত কাজ। আরেকগুণ হলো নারীদের প্রাকৃতিক স্বভাব-চরিত্রের অনুগামী কাজ।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *