অনেক সময় মুসলিমদের মুখেও শোনা যায় Karma এর কথা। তারা বলে ‘Instant Karma’, বা ‘Karma is a bitch’। এইকথা তারা তখন বলে যখন তারা কারোও ভাগ্যে instant কোনও action-reaction দেখতে পায়।
এই ধরুন কোনও মানুষ একজনকে থাপ্পড় মারল, তো কিছুক্ষণ পরেই সেই থাপ্পড়কারীকে আরেকজন থাপ্পড় মারলো।
তখন তারা karma এর কথা বলে।
মূলত কারমা হলো আদি হিন্দু ধর্মের একটা বিশ্বাস। এর মুল অর্থ হলো একটা মানুষের কর্ম ই নির্ধারন করবে তার ভ্যাগ্যের পরিণতি কি হবে। এবং হতে পারে সে এই জীবনে নাহয় পরের জীবনে।
এখন ‘ময়দা মুসলিম’ (পড়ুন মোডারেট মুসলিম) রা বলতে পারে ‘ ভাই, আমরাও তো তাই ই বিশ্বাস করি। কর্মের উপর ডিপেন্ড করে তার উপর কোনও আযাব আসছে নাকি আসছেনা।
আমি বলবো, এখানে ভুল আছে বোঝায়।
Karma এর concept হলো কর্ম দ্বারাই ভাগ্যের পরিণতি হয়। এখানে ‘কর্ম’ হলো ‘সাবজেক্ট’ যে নিজের মত ই নিজে ঘুরে, এবং তাকে যেভাবে করা হয়, তার ফলেই ভাগ্যের পরিণতি বা রেজাল্ট তৈরী হয়।
অথচ মুসলিমদের আক্বিদা হলো ‘কর্ম’ নয়, বরং আপনার পরিণতি কি হবে, তা নির্ধারন করবেন আল্লাহ।
অনেক সময় আপনি খারাপ কাজ করলেই যে আল্লাহ instantly খারাপ কোনও পরিণতি দিবেন, এমনটা কিন্তু না।
আর মূলত যেখানে আল্লাহকে মান্য করা উচিত যে তিনি ই আমাদের পরিণতি কি হবে তা কন্ট্রোল করেন, সেখানে ‘কর্ম’ কে পরিণতির কন্ট্রোলার বানানো শিরক।
আর তাছাড়া Karma কে মূলত হিন্দুরা স্পেসিফিক্যালি তাদের জন্য ব্যাবহার করে। এটা শুধুমাত্র তাদের জন্যেই খাস। শব্দচয়নের দিকে চিন্তা করলেও এটা জায়েজ নয়। যেই বিষয়টা বিধর্মীদের জন্য খাস, সেটাকে কঠোরভাবে ব্যবহার ও প্রয়োগ করা থেকে বিভিন্ন হাদিসের নিষেধ করা হয়েছে।
বরং আমরা তাক্বদিরে বিশ্বাসী যা একমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকেই হয়। তাক্বদির থাকতে আমরা কেন মুশরিকদের ব্যাবহার করা একটা শব্দ ব্যাবহার করবো?
পরিশেষে একটা কথা বলে নেয়া ভালো।
যখন কোনও জাহেল মুসলিম ‘karma’ শব্দটা ব্যাবহার করে, তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এতো কিছু মাথায় রেখে করেনা। তারা কর্ম কে আল্লাহর জায়গায় বসানো হচ্ছে, এই বিষয় মাথায় রেখে বলেনা।
তাহলে সেই ক্ষেত্রেও কি ব্যাক্তির ইমান চলে যাবে? উত্তর হচ্ছে ‘না।’ ইমান যাবেনা। তবে শব্দটা কুফর। এর জন্য আমরা ছোট কুফর ধরবো। আর যদি কোনও ব্যাক্তি এই শব্দটা ব্যাবহার করেই ফেলে, তাহলে তাকে আগে জিজ্ঞাসা করে নিতে হবে যে সে এটা কোন অর্থে বলেছে।
যদি সে ‘কর্ম’ কে সবকিছুর কন্ট্রোলার মনে না করে, তাহলেও সেটা ছোট কুফর। আর মনে করলে তো বড় কুফর হয়ে মুর্তাদ ই হয়ে যাবে।
যেটা আমরা এখানে বলেছি তা হলো ‘আম বিধান। তবে এটা আক্বিদার পরিপন্থী এর কোনও সন্দেহ নেই।
মোহাম্মাদ রাকিব