দ্বীনের পথে নতুন আসার পর অনেক যুবকেরা বড় দুটি ভুল করে বসে!

সকল কে মোডারেট ইসলাম পর্ব ৩ দেখার আহ্বান করছি https://youtu.be/GuCPEsjy7qA । কারা ঝগড়া শুরু করেছে সেটা জানলেই নিজের আসল শতরুদের চিনতে পারবেন ইনশা আল্লাহ। শেষ করছি মাইনুদ্দিন ভাইয়ের একটা লেখা দিন,

দ্বীনের পথে নতুন আসার পর অনেক যুবকেরা বড় দুটি ভুল করে বসে!
.
ক. ফিক্বহ ও হাদীস শাস্ত্রের সূক্ষ্ম ও গভীর বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে বসে!
খ. নিজেকে ইবন তাইমিয়্যাহ, নববী আর ইবন হাজার আসক্বালানী মনে করে বসে!
.
ফিক্বহ ও হাদীস শাস্ত্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়াদি বুঝার জন্য ‘পর্যাপ্ত’ পরিমান ইলম প্রয়োজন। বিষয়গুলোর বুঝ অর্জন হওয়ার পর এসকল শাস্ত্রে দক্ষতা অর্জন করতে হয়, অতঃপর হস্তক্ষেপ করার অধিকার অর্জিত হয়!
.
অথচ আমাদের অনেক ভাইয়েরা দ্বীনের পথে এসেই অথবা আরবী ভাষাটা শিখেই নিজেকে ইবন তাইমিয়্যাহ ভেবে বসেন! তিনি মনে করেন, হাদীস-ফিক্বহ ইবন তাইমিয়্যাহ, নববী ও পূর্ববর্তী ফক্বীহ-মুহাদ্দীসগন ‘যতদূর’ বুঝেছেন, তিনিও ‘ততদূর’ বুঝার ক্ষমতা রাখেন!
.
সমস্যা এখানেই শেষ নয়, নিজেকে ইবন তাইমিয়্যাহ ভাবার মাত্রা এতোটাই বেশী যে, তারা মনে করেন এসকল পূর্ববর্তী উলামাগনের বুঝ, বক্তব্য বা মতকে যেভাবে বাকিরা গ্রহন করেন, তার নিজস্ব বুঝ ও মতকেও বাকিদের সেভাবেই গ্রহন করা উচিত!
.
ফিক্বহ ও হাদীস শাস্ত্র বাচ্চাদের খেলনা নয়, কোনো সস্তা মঞ্চ নয়, যেখানে যে ইচ্ছা উঠে দাঁড়াবে আর কথা বলবে! আপনি ফিক্বহের বা হাদীসের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলতে চান? যান, সেই যোগ্যতা অর্জন করে আসুন, অতঃপর কথা বলুন, কোনো আপত্তি নেই!
.
.
দ্বীনের পথে আসার পর সর্বপ্রথম কাজ হলো নিজের আক্বীদাহ-কে শুদ্ধ করা ও তাক্বওয়া অর্জন করা, কুর’আনের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা, আখলাক সুন্দর করা, সকল হারাম থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করা। পিতা-মাতা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দাওয়াহ দেওয়া, পরিচিতদের দাওয়াহ দেওয়া।
.
গভীর ইলম অর্জনের ইচ্ছা থাকলে আরবী ভাষা শিখে সরাসরি বা অনলাইনে বিভিন্ন উস্তাযের তত্ত্বাবধানে ধারাবাহিকভাবে ইলম অর্জন করা ও ইলম অর্জনে লেগে থাকা। মনে রাখতে হবে, বই-পুস্তক পড়া মানেই ইলম অর্জন করা নয়, তথ্য জানা মানেই ইলম অর্জন নয়।
.
ইলমের রয়েছে সুনির্দিষ্ট পথ ও পদ্ধতি, সে পদ্ধতিতেই ইলম অর্জন করতে হবে।
.
ইবন তাইমিয়্যাহ, নববী, ইবন হাজার সহ পূর্ববর্তী উচ্চপর্যায়ের উলামাগন যদি ইলমের পথে পা রাখা মাত্রই নিজেকে আবু হানীফা, মালিক, শাফিয়ী, আহমাদ মনে করতেন, তাদের মতো নিজেকে যোগ্য মনে করতেন, হাদীস-ফিক্বহ শাস্ত্রের সূক্ষ্ম বিষয়ে পন্ডিতি করতেন, তাহলে তারা ইবন তাইমিয়্যাহ, নববী আর ইবন হাজার হতে পারতেন না!

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *