|| No wellcome back party to SAYTAN ||
ঈদের দিন উম্মাহ’র খুশির দিন। আলহামদুলিল্লাহ। একই সাথে ভয়াবহ রিমাইন্ডার যে, রমাদান শেষ, শয়তান জেল (বন্দিত্ব) থেকে মুক্তি পাচ্ছে।
.
নিয়মিত মুসল্লী কিংবা বেনামাজী নির্বিশেষে সবাই এই একমাস সময় মত ফজরের সালাত ও অন্যান্য সালাত পড়েছেন। হোক কেউ মসজিদে পড়েছেন বা বাসায়, কিন্তু ফজর সময় মত পড়েছেন আলহামদুলিল্লাহ!
.
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে শয়তান কাল হয়ত প্রথম আক্রমণই করবে ফজরের সালাত কাযা করিয়ে।
অনেককেই দেখেছি, টানা ৩০ দিন সময়মত আদায় করলেও শয়তানের ধোঁকায় ঈদের দিনে ফজরের সালাত মিস বা কাযা দেয়।
.
ঈদের নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা (অনেকের মতে ফরজে কিফায়া, কারোর মতে বাৎসরিক ফরজে আইন), কিন্তু ফজরের নামাজ ফরজ এই ব্যাপারে কোন অনিশ্চয়তা তো নেই।
কাল একটা ঈমানী পরীক্ষা। কাল আমাদের প্রথম সালাত ঈদের সালাত নয়, যেন ফজরের সালাতের হয় (ইনশাআল্লাহ)
.
কাল যেহেতু শয়তান জেইল থেকে মুক্তি পাবে, কিছু প্রেডিকশন, যা কাল সে করতে পারে,
প্রথম আক্রমণটা আসবে হয়ত ফজরের নামাজ কাযা করিয়ে, তারপর সারাদিন ঘুরাঘুরির কারনে যুহর টাও মিস যাবে বা কাযা হবে। তারপর ঘটনাক্রমে আসর, মাগরিব, এশা।
.
যদিও করোনার জন্য অনেকেই বের হবেনা, তবুও শয়তান অনেক বোনকেই ওয়াসওয়াসা দিবে, বুঝাবে যে ওযু করলে সাজসজ্জা নষ্ট হবে। সারাদিন ঘুরাঘুরি শেষে একেবারে কাযা নামাজ তুলে নিলেই হবে। সাজ সজ্জা যেন ঠিক থাকে।
.
যখন কোন পুরানো শত্রুতা বা মনোমালিন্যের কারনে কথা বলা বন্ধ আছে এমন কাউকে দেখে সব ভুলে কোলাকুলি করতে যাবেন ঠিক তখনই শয়তান মনে ইগো বোধ জন্মাবে যে আগে অপরপক্ষ এগিয়ে আসুক!
.
৩০ দিনের শয়তানি, যা থেকে সে বঞ্চিত ছিলো তা সুদে আসলে তুলে নেবার চেষ্টা চালাবে। অথচ ঈদের সালাতের পরই আমরা ইনশাআল্লাহ ক্ষমা পেয়ে যাবো এটা সে কীভাবে সহ্য করবে!
.
কয়েক বন্ধু একসাথে ঘুরবেন এমন সময় রাস্তায় গাইরে মাহরাম এর দিকে আপনাকে তাকাতে উতসাহিত করবে কারন এত দিন সংযমে ছিলেন, আল্লাহ তায়ালা আপনার উপর সন্তুষ্ট ছিলেন। আল্লাহ তায়ালা’র কাছে সে তাই আপনার ইমেজ নষ্ট করার ব্যাপারে চেষ্টার ত্রুটি করবে না।
.
কিছু মানুষের কাছে যেহেতু প্রতিটি উতসবই ভ্যালেন্টাইন ডে, হোক তা ধর্মীয় উতসব। সেই সুযোগে, ঈদ উপলক্ষ্যে সে আপনাকে হারাম কাজ করানোর ব্যাপারে চেষ্টার কোন ত্রুটি করবে না।
.
হযরত উমর (রা:) এর মত মুত্তাকী, ঈদের দিন সকালে কাঁদতেন কারন তিনি নিশ্চিত ছিলেন না আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করেছেন কিনা তাই খুশি হতে পারতেন না। সেখানে কীসে আমাদের মৃত্যু ভুলিয়ে রাখে ?
.
টিভিতে/ ইউটিউবে অনুষ্ঠান দেখার ব্যাপারেও সতর্ক থাকা উচিত। রমজানের ৩০ দিনের সংযমের সকল শিক্ষা ৩০ মিনিটেই ধুলিষ্যাত করার জন্য বর্তমানের একেকটা ঈদের প্রোগ্রাম, অনুষ্ঠান/ নাটক যথেষ্ট।
.
কে কিভাবে ঈদ পালন করল, তার ব্যাপার। প্রত্যেকের কবর ইনডিভিজুয়াল।
যখন কাউকে পার্টি মস্তি করতে দেখবেন হয়ত খারাপ লাগবে, চিন্তা করবেন না, আমরা জান্নাতে মস্তি করব ইনশাআল্লাহ।
আমাদের জীবনে সামনের বার রমাদান নাও আসতে পারে, তাই যে ক্ষমা টা আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন, তা ধরে রাখার চেষ্টা করি আমরা।
.
ঈদের দিন থেকেই আল্লাহ এর ক্ষমার উপর ভরসা করে নিজেদের নিষ্পাপ মনে করা শুরু করে দিই আর শয়তানের বিরুদ্ধে একটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিই যে,
কোন ভাবেই যেন আমাদের কাছে প্রশ্রয় না পায়।
ঈদ আমাদের জন্য একটা উপহার। এর পালন এমন না হয় যেন তা শয়তান এর কারামুক্তিকে স্বাগতম জানানোর পার্টি।
.
تقبل الله منا ومنكم
আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের সৎকর্ম গুলো কবুল করুন।
ঈদ মুবারাক।
©মোহাম্মদ তন্ময়