আমি মসজিদে নববীতে বসা। এমন সময় আমার এক পরিচিত আমাকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করল- “আপনি কোথায়”
আমি বললাম-“রাওযা থেকে দুই ছাতা পরে বারান্দায় বসা।”
সে আমাকে খুঁজে বের করে প্রশ্ন করল- “এখানে বসে আছেন কেন”
আমি বললাম- “বললে তো বুঝবা না, আসো দেখাই”
আমি রাওযা দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলাম- “এখানে কে”
উনি- “হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”
আমি- “এই পিলারের উপরে কি লেখা?”
উনি- “আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু”
আমি- “এই পিলারে?”
উনি- “উমর ফারুক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু”
আমি- “এই পিলারে?”
উনি- “উসমান বিন আফফান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু”
আমি- “এই পিলারে?”
উনি- “আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু”
আমি- “এই পিলারে?”
উনি- “আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু”
আমি- “এই পিলারে?”
উনি- “হাসান ও হোসেন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম”
এবার একটু পিছিয়ে এসে-
আমি- “এবার এই পিলারে?”
উনি- “নু’মান বিন সাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু” (!)
তখন আমি বললাম- “আমি যাকে ফক্বীহ মানি, তাঁকে মদিনার তৎকালীন ফক্বীহরাও ফক্বীহ মানত, এখনো ফক্বীহ মানে, মেনেই মসজিদে নববীর পিলারে উনি তাবেঈ হওয়া সত্ত্বেও সাহাবীদের পাশা-পাশি উনার নাম লিখে দিয়ে, লিখেছে- রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু।
এখন তুমি যাদের ফেক্বাহ মানো তাদের কারো নাম এসব পিলারে লেখা আছে? থাকলে দেখাও।”
———————– মুহাম্মদ ইলিয়াস গুম্মান (হাফিযাহুল্লাহ)