দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুদ্ধরত সেনাদের জন্য বাংলায় উৎপাদিত খাদ্য মজুত করতে বলেন চার্চিল

চার্চিলের স্ট্যাচু ভেঙ্গে ফেলতে চাচ্ছে ব্রিটিশ বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের কর্মকাণ্ডকে ‘চরমপন্থা’ ও ‘লজ্জাজনক’ আখ্যা দিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বললেন, আমরা আমাদের ইতিহাস পরিবর্তন করতে দিবো না। যাদের মনে নেই, তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেই, চার্চিল ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশের কয়েক মিলিয়ন মানুষকে দুর্ভিক্ষের মুখে ঠেলে দিয়ে হত্যা করেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুদ্ধরত সেনাদের জন্য বাংলায় উৎপাদিত খাদ্য মজুত করতে বলেন চার্চিল, পাশাপাশি জাপানিদের হাতে যাতে খাদ্য সরবরাহ না যায়, সে উদ্দেশ্য বাংলার সাপ্লাই চেইন সম্পূর্ণ ভেঙ্গে দেন— এভাবে নিষ্ঠুরভাবে বাংলার মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ হত্যার শিকার হয়।

মানুষ একমুঠো ভাতের জন্য কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। পথ তো ফুরায় না, পথেই পড়ে থাকেন হাজার হাজার বাঙালি, যাদের উল্লেখযোগ্য অংশ ছিলেন মুসলমান। ঠিক তখন বাংলায় উৎপাদিত মজুদকৃত খাদ্যে ভূরিভোজন সারছিলেন ব্রিটিশ কর্মকর্তা, ইয়ং বেঙ্গল ও জমিদার মহাজনরা। বরিস জনসন তাদের এই লজ্জাজনক ইতিহাসকে রক্ষা করতে চান।

বেশী দূরে না, দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত হয়েছিলেন আমাদের দাদারাই। শত শত মাদরাসা বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। জাস্ট একটু ফিল করার চেষ্টা করেন।

আইএসের বাগদাদির চাইতে কয়েক শো গুণ বেশী মানুষ হত্যা করেন চার্চিল ; তবুও রাষ্ট্রীয়ভাবে চার্চিলকে, তার ভাস্কর্য ও মূর্তিকে পর্যন্ত এখনো প্রটেকশন দিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চার্চিলকে কেউ সন্ত্রাসী বলে না। সভ্য মানুষরা তো সন্ত্রাসী ও গণহত্যাকারী হতে পারে না।

©ইফতেখার জামিল

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *