মোডারেট ফিতনাহ শুরু হয় প্রধানত দুটি বিষয়ের মাধ্যমে,
১. জি [হা] দ ফি সাবিলিল্লাহ কে বিকৃতি,
২. পর্দার বিধানে শিথিলতা,
.
পরবর্তীতে কাফিরদের প্রতি নমনীয়তাও যোগ হয় তাদের সিলেবাসে। এরপর ধীরে ধীরে শারী’আতের বহু বিধানকে তারা পরোক্ষভাবে অস্বীকার করে, বিকৃত করে, যেমনঃ শাতিমে রাসূলের বিধান ইত্যাদি।
.
বেশ কিছু সময় যাবত মোডারেট দাঈ/বক্তারা আল্লাহ তাআলার নাযিলকৃত হুদুদ (শারঈ শাস্তি)-কে বর্তমান যুগের জন্য উপযোগী নয় – পরোক্ষভাবে এমনটা বুঝানোর চেষ্টা করছেন!
.
আসলে এমনই হওয়ার কথা ছিল, কেননা কোনো ব্যক্তি যদি কাফিরদের সন্তুষ্ট করতে চায়, তাহলে ইসলামের একটির পর একটি বিধানকে অস্বীকার বা বিকৃত করতে সে বাধ্য!
.
সমস্যা হলো, তাদের বিকৃতি সাধারন মুসলিমরা সহজে বুঝতে পারেন না, পাশাপাশি তাদের বাক পটুতার কারনে জেনারেল শিক্ষিতরা তাদের দিকে ধাবিত হয়।
আমাদের জেনারেল শিক্ষিত ভাইয়েরা দেখেন, এদের বিপরীতে আছে চিল্লাচিল্লিতে অভ্যস্ত ওয়ায়েজগন, বানোয়াট আজগুবি কিচ্ছা-কাহিনী বলতে থাকা আলিম(!!) গন, কুর’আনের আয়াত বিকৃত করে নিজ থেকে শব্দ যুক্তকারী “মুফতী” গন!!
.
এসবের মাঝে অতি অল্প কিছু মানুষের চোখে ধরা পরেন দুই-একজন যোগ্য আলিমগন, যারা শারী’আতের বিধানও বিকৃত করেন না, বানোয়াট কথাবার্তাও বলেন না, বরং দ্বীন ইসলামের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছেন।
.
বলা বাহুল্য মোডারেট ফিতনাহ ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পরেছে। প্রত্যেকের উচিত নিজ নিজ স্থান হতে যতটা পারা যায় এই ফিতনাহ এর বিরুদ্ধে আওয়ামদের সতর্ক করা। (মাইনউদ্দিন হাফি.)