ইমাম নববী(রাহ.) বলেন-
الصلاة على الكافر والدعاء له بالمغفرة : حرام بنص القرآن والإجماع .
“কোনো কাফিরের funeral করা(এতে অংশ নেয়া), এবং তার জন্য মাগফিরাতের দু’আ করা কুর’আনের আয়াত ও উম্মতের ইজমা দ্বারা হারাম”[১]
শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ(রাহ.) বলেন-
فإن الاستغفار للكفار لا يجوز بالكتاب والسنَّة والإجماع .
“নিশ্চয় কাফিরদের জন্য ইস্তিগফার করা কুর’আন,হাদিস ও ইজমায়ে উম্মত অনুযায়ী নাজায়েয”[২]
উল্লেখ্য Rest in peace বলাও মাগফিরাত কামনা-ই।
সমস্যা গুরুতর এজন্য যে এটা আকিদার বিষয়। ইসলাম হিন্দুধর্মের মত না যে, যে কেউ যে কোনো বিশ্বাস নিয়ে থাকলেই মোক্ষ লাভ করতে পারে,আর আমাদের বিশ্বাসে মোক্ষ লাভ বলে কিছু নেইও। মুসলিম হতে হলে কুর’আনের সকল আয়াতে বিশ্বাসী হতে হবে কেউ একটা আয়াত অস্বীকার করলে বা তার বিধান অস্বীকার করলে কাফির হবে।
মুশকিল হল অনেকে ভাবছে বিধর্মীরা কাফের না! শুধু বিধর্মী কেন ইসলামের মৌলিক বিধান অস্বীকার করলে এবং ঈমান নষ্ট হবার কাজ করলে নামের মুসলমানও কাফির হয়ে যায় এবং তার বিবাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কী এক মুসিবতে আছি আমরা যে কাফির কী জিনিস মুছলমান এটাই জানে না!
যাই হোক অনেকে ভাবছে আল্লাহ চাইলে কাফির মুশরিকদের মাফ করতে পারেন এই ভাবনাটাও কুফর কেননা এই ভাবনা ভাবা মানে আপনি ভাবছেন আল্লাহ সত্যবাদী নন এবং তাঁর আজকের ওয়াদা কাল উনি ভুলে যাবেন বা বাদ দেবেন! আল ইয়াউযুবিল্লাহ। এছাড়া নিজের ওয়াদা যে রক্ষা করে না সে তো রব হবার গুণবঞ্চিত। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা এসকল অপবাদ,ত্রুটি ও কলুষতা থেকে মুক্ত।
আল্লাহ বলেন-
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا أُولَٰئِكَ هُمْ شَرُّ الْبَرِيَّةِ
“আহলে কিতাব ও মুশরিক কাফিররা চিরকাল জাহান্নামের আগুনে থাকবে, আর এরাই সর্বনিকৃষ্ট সৃষ্টি”[৩]
وَمَنْ أَصْدَقُ مِنَ اللَّهِ قِيلا
“কথার ক্ষেত্রে আল্লাহর চেয়ে অধিক সত্যবাদী আর কে আছেন?”[৪]
এ বিষয়ে প্রচুর আয়াত ও হাদিস আছে এটুকুই আকলমান্দদের জন্য যথেষ্ট। কাজেই যারা এসব কুফরি বিশ্বাস লালন করেন চুপেচুপে তাওবাহ করে নেন। আল্লাহ সবাইকে ঈমানী যিন্দেগী ও ইসলামী আকিদাহ নসিব করুন।
[ ১) আল মাজমু:৫/১১৯
২) মাজমুঊল ফাতাওয়া:১২/৪৮৯
৩) সূরা আল বায়্যিনাহ:৬
৪) সূরা আন নিসা:১২২]
উস্তাজ মানজুরুল কারীম (IOA)