‘জান্নাতে যাওয়ার সহজ আমল’ নিয়ে কিছু কথা।
অনেক হাদীসে আছে-
… প্রতি সালাতের পর আয়াতুল কুরসি পড়লে তার আর জান্নাতের মাঝে মৃত্যুই ব্যবধান!
… অজুর পর কালিমায়ে শাহাদাত পড়লে জান্নাতের দুয়ার খুলে দেয়া হয়!
… মসজিদ বানালে জান্নাতে ঘর পাওয়া যায়!
… প্রতিদিন সময় মত ১২ রাকাত সুন্নাত পড়লে জান্নাতে মহল নির্মিত হয়!
আসলে এসব ‘অফারে’ শর্ত প্রযোজ্য। যদি মারাত্মক কোনো কবীরাহ গোনাহ না থাকে, তবেই সে ‘অফার’ প্রযোজ্য।
কবীরাহ গোনাহ হয় কোনো ফরজ বিধান (নামাজ, যাকাত,হজ,জিহাদ ইত্যাদি) না মানা, কিংবা মারাত্মক কোনো হারাম কাজে (সুদ, যিনা, হত্যা,সমকামিতা ইত্যাদি) লিপ্ত হওয়ার কারণে। আর অফারগুলো দেয়া হয় সাধারণত মুস্তাহাব আমলে। নিশ্চয় মুস্তাহাব কখনো ফরজের উর্ধ্বে নয়। মুস্তাহাব কখনো ফরজকে ডিঙ্গিয়ে নয়।
যেমন ধরুনঃ
অফিসের বস ঘোষণা দিল, যারা নিয়মিত এম মাস অভার টাইমে কাজ করবে, তাদের জন্য একটি করে ফ্ল্যাট বরাদ্দ। তো দেখা গেল একজন সারাদিন অফিসে থাকে না। বসের হুকুম মানে না। কিন্তু সে অভার টাইমে হাজির। এমন ব্যক্তির উপর কি বস সন্তুষ্ট থাকবেন? এমন ব্যক্তি কি ফ্ল্যাট পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন? বসের ঘোষণার উদ্দেশ্য কী এই যে, শুধু অভার টাইম করলেই হবে? নাকি উদ্দেশ্য- যারা অফিস টাইমের পাশাপাশি অভার টাইম করবে?
এখানে অফিস টাইমে অফিস না করাটা কবীরাহ গোনাহ। আর অভার টাইম করাটা ‘ফ্ল্যাট পাওয়ার সহজ আমল’!
মনে রাখতে হবে- জাহান্নামে যাওয়ার জন্য একটি কবীরাহ গোনাহই যথেষ্ট! তাওবা ছাড়া মাফ হয় না। তবে আল্লাহ চাইলে ভিন্ন।
বিঃদ্রঃ
ফজিলতপূর্ণ মুস্তাহাব আমলকে খাটো করা আমার উদ্দেশ্য না। উদ্দেশ্য-বহুল প্রচলিত “জান্নাতে যাওয়ার সহজ আমল” এর ব্যাপারটা ক্লিয়ার করা।
লিখেছেনঃ মাসুদ আলিমী
http://fb.me/iAudioBooks ফেসবুক পেইজে এক্টিভ থাকার চেষ্টা করবো। আর ফেসবুকে এমন অনেক কিছু দেয়া হয় যা ইউটিউব এ দেয়া হয় না।