দুটি বিষয়ে কিছু কথা বলবো।

দুটি বিষয়ে কিছু কথা বলবো।

ক. দিনরাত বিভিন্ন আলিমগনের ভুল-ত্রুটির পিছনে লেগে থাকা এক জিনিস, আর বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন এমন আলিম/বক্তা সম্পর্কে সতর্ক করা আরেক জিনিস।

আমরা অনেকেই উভয়ের মাঝে পার্থক্য করতে পারিনা। ফলে কোনো ব্যক্তি কোনো বিভ্রান্ত বক্তা বা আলিম সম্পর্কে সতর্ক করলে তাকে জ্ঞান দিতে শুরু করি, নাসীহাহ(!) করা শুরু করি, তার যোগ্যতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলি, আরও কতকি!
.
অথচ আমরা ভুলে যাই যে, সাধারন বা আওয়াম মুসলিমদের বিভ্রান্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে সতর্ক করা জরুরী! যদি কোনো পিএইচডি ডিগ্রীধারী বক্তার সুস্পষ্ট ভুলকে ভুল বলার জন্য উক্ত ব্যক্তিকেও পিএইচডি ডিগ্রীধারী হতে হয়, তাহলে আমি বলবো মুফতী আবু লাইছের (এক মুরতাদ লোক) সমালোচনা করার জন্যও “মুফতী” হতে হবে!
(নাস্তিকের সমালোচনা করতে নাস্তিক হওয়া লাগবে!?)
.
সূক্ষ্ম ফিক্বহী বিষয়ে ভুল এক জিনিস আর শারী’আতের মৌলিক বিষয়ে ভ্রান্তি আরেক জিনিস, এই দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ভ্রান্ত ব্যক্তির ভ্রান্তি বর্ননা করার জন্য তার সম-পর্যায়ের সার্টিফিকেট লাগবে, এমন চিন্তা একেবারেই দুর্বল!
.
.
খ. শারী’আতের কোনো বিধানকে বিকৃত করা মারাত্মক অপরাধ। কোনো আলিম বা বক্তা যদি শারী’আতের কোনো বিধানকে বিকৃত করেন, অথবা বর্তমান যুগের জন্য উপযোগী মনে না করেন, বা পরিবর্তনযোগ্য মনে করেন, তাহলে তিনি নিশ্চিত একজন বিভ্রান্ত ব্যক্তি। হয় তিনি দ্বীনকে কাফিরদের নিকট বিক্রি করে দিয়েছেন অথবা তিনি বিভ্রান্ত হয়ে গেছেন।
.
এমন বক্তাদের থেকে সাধারন মুসলিমদের সতর্ক করতে হবে, এসকল বক্তার অমুক অমুক ইউনিভার্সিটি হতে পিএইচডি ডিগ্রী আছে বলে তার বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না, এমন কোনো নীতি ইসলাম শিক্ষা দেয়নি। বরং ইসলামের শিক্ষা বিভ্রান্তদের সম্পর্কে আওয়ামদের সতর্ক করা।
.
বিষয়টি আরও ভয়াবহ ও জটিল হয়ে যায়, যখন বক্তার বিভ্রান্তি কেবলমাত্র শারী’আহ সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন এমন ব্যক্তিদেরই বুঝে আসে, আর বাকিদের বুঝে আসে না। এক্ষেত্রে সেসকল বক্তাদের বিরুদ্ধে আরও বেশী সোচ্চার হওয়া চাই, কেননা তারা মুসলিমদের অন্তরে কুফরের বীজ বপন করে দিচ্ছে, অথচ মুসলিমগন তা টেরও পাচ্ছেন না।

উস্তাদ মাইনউদ্দিন আহমেদ

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *