সাকিব সাহেব ফিরে এসেছেন! তবে আগের মতো খোল্লামখোলা ভাবে নয়। তার এবারের যাত্রাটা বেশ ধীর ও কৌশলী মনে হচ্ছে।
নারীরা ঘরে বসে ব্যবসা করবে, অর্থ উপার্জন করবে এতে আমাদের আপত্তির কোন কারণ নেই। নারী ‘ক্ষমতায়নের’ সোপান হিসেবে যে এখানে নারীদের টাকা কামানোর পরামর্শ দেয়া হলো সেটা প্রব্লেমটিক। পুঁজিবাদী সেক্যুলার সমাজে টাকার উপর ভিত্তি করে মানুষের সম্মান নির্ধারিত হতে পারে, যার যত টাকা সে তত সফল, সে নারী হোক কিংবা পুরুষ! অপরদিকে ইসলামে সম্মান ও সফলতা টাকার উপরে নির্ধারিত হয় না।
ইসলামে নারী তাঁর মাতৃত্বের ও রমণীর দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই সম্মানিত। নারী অর্থ উপার্জন করলেও ঘরের রাণী , না করলেও ঘরের রাণী। এতে কোন পার্থক্য নেই, নারী ঘরের কাজ (রান্না করা, সন্তান প্রতিপালন ইত্যাদি) পুঁজিবাদের চোখে মূল্যহীন হতে পারে তবে তা ইসলামের চোখে মূল্যহীন নয়। এর স্বীকৃতি ও সম্মান ইসলাম দেয়, আমাদের সমাজে অপ্রচলিত স্থানে এর প্রচলন ঘটাতে হবে।
ইসলাম পশ্চিমা লিবারেল সভ্যতার মতো স্বামী-স্ত্রীর আপন আপন রাস্তা মাপতে শেখায় না, স্ত্রীর সকল দায়িত্ব স্বামীকে নিতে হয়। আর এটা স্ত্রীর প্রতি অনুগ্রহ নয়, এটা স্বামীর প্রতি স্ত্রীর হক-অধিকার-প্রাপ্য।
নারী ক্ষমতায়নের নামে নারীকে পুরুষের প্রতিদ্বন্দ্বী বানানোর ফেমিনিস্ট এজেন্ডা সার্বিকভাবে ক্ষতিকর, টেন মিনিট স্কুল যতই একে মহিমান্বিত ও উন্নতি বলে প্রচার করুক না কেন! তা আদতে ক্ষতিই বয়ে আনে সমাজের জন্য। নারীকে বাইরে ক্ষমতাসীন করার নামে মূলত নারী ও পুরুষের পার্থক্য ঘুচিয়ে ফেলার অপচেষ্টা চলছে, নারী-পুরুষের সহযোগিতা সম্পর্ককে দ্বার করানো হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্পর্কে, নারীকে বানানো হচ্ছে পুরুষের প্রতিপক্ষ। আর অধিকার ও ক্ষমতায়নের নামে নারীকে করা হয় প্রতারিত।
নেপোলিয়ন বলেছিলেন,
“আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি একটি শিক্ষিত জাতি দেবো!”
আমাদের নারীরা শিক্ষিত হলো ঠিকই নারীবাদ এসে এমন ক্যারিয়ারের ফাঁদ পাতলো যে নারী হয়ে গলো কর্পোরেট সেবিকা, আদর্শ মা হওয়াই হয়ে গেলো গৌণ বিষয়, শিক্ষিত জাতি উপহার তো দূর কি বাত।
বঞ্চিত নারীদের প্রাপ্য অধিকারের আলাপ না করে টেন মিনিট স্কুলের ফেমিনিস্ট প্রচারণা আমাদের আহত করে। সাথে নারী সমাজের আইডল হিসেবে এমন কিছু অসভ্য নারীকে দেখানো হয়েছে তা কিন্তু আমাদের টেন মিনিট স্কুল সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণাই প্রবল করছে।
লেখাঃ মনির আহমেদ মনির