সাদাসিধা কয়েকটা কথা বলি?
যারা দু’কলম ইসলাম নিয়ে লিখেন, তাদের ম্যাক্সিমাম আইডিতে কোন প্রোফাইল পিকচার দেন না। কারণ, তারা জানেন এমনিতেই যেখান তাদের ট্রেইস করা যায়, সেখানে ছবি দিয়ে কাজটা তারা আরেকটু সহজ করে দিতে চান না। এদের সারাক্ষণ পার্সিকিউশানের ভয়ে থাকা লাগে। যেকোনো সময় গুম আর বন্দুকযুদ্ধের নাটক মঞ্চস্থ হতে পারে। এসব নিয়ে কয়টি মানবাধিকার সংস্থা দুঃখ প্রকাশ করেছে? একটিও না। একজন ছেলে বা মেয়ে “জ*” হলেই তাকে মেরে ফেলা লাগবে। সে কোনো ল’ইয়ার কল করতে পারবে না। তাকে সেই রাইট দেওয়া হয় নি। এসব নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে কয়দিন মানববন্ধন হয়েছে? এই পরিসংখ্যানটি কেউ দিয়ে যান প্লিজ!
.
যেকোনো লিখা লিখতে যথাসম্ভব নিজেকে সংযত রাখা লাগে। কী-ওয়ার্ড ইউজ করতে *%- ইত্যাদি ব্যবহার করা লাগছে। আইডিতে এমনেই ওয়ার্নিং ঝুলে আছে। এসব নিয়ে ক’জন সেকুলার সেলিব্রিটি একাত্নতা প্রকাশ করেছে? একজনও না। এর আগেও দেখা গেছে, কোনো ইস্যু নিয়ে কন্ট্রোভার্সি হয়েছে। সাথে সাথে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ইউরোপে এসাইলাম পেয়ে গেছে। আর ইসলামিস্টদের ভাগ্যে জুটে জেইলে এক্সট্রাডিশান। অনেক সময় মজা করে অনেকেই বলেন, পাকিস্তান চলে যেতে। পাকিস্তান মেইনস্ট্রিম সরকার মোর অর লেস তা**। কথার খাতিরে অনেক কথাই বলা যায়, কিন্তু ইসলামিস্টদের জন্য জার্মানির মতো কোনো দেশ বাহু প্রসারিত করে তাদের গ্রহন করতে অপেক্ষা করে নেই।
.
ইসলামী বইয়ের প্রকাশকদের অল্প কয়েক হাজার টাকার জন্য চিকিৎসা আটকে যেতে শুনি। দিনের পর দিন এদের স্ত্রী-সন্তানদের দুঃখের কথা শুনি। এরা কি জীবনটাকে তাড়িয়ে উপভোগ করতে পারতেন না? ইসলামিস্টদের অনেকের দুঃসহ অতীত আছে, পাপের জীবন আছে। সেই জীবন কিসের জন্য ছেড়ে এসেছেন? কুলাঙ্গাররা যেভাবে বলেন, “চ্যালচ্যালাইয়া বেহেশতে যাইবা? হুরপরীগো লগে থাকবা! হাঁহ!” এতো সহজে জান্নাত আসে না। আল্লাহর জন্য ত্যাগ স্বীকারকারী আর দুনিয়াতে পশুর মতো বিক্রি হয়ে যাওয়া অন্ধকার আত্না কখনই এক পাল্লায় সমান হবে না।
দয়া করে আমাদের বাঁচতে দিন।
.
- Misbah Mahin