এ যুগের তুলনায় গত কয়েক বছর আগেও বোরকা পরিহিতার সংখ্যা কম ছিল কিন্তু যে ক’জন বোরকা পরত তারা সঠিক পর্দাই করত…

বোরকার সাথে বড় বড় ওড়না এমন ভাবে পরত যে কে নানী/দাদী আর কে নাতনী তা বুঝা অসম্ভব ছিল!
কোন পুরুষ মেহমান এলেও ঘরের মেয়েরা সামনে যেত না!
রাস্তা-ঘাটে, বাজারে, শপিং সেন্টারে নারীদের সংখ্যা কম ছিল!
মেয়েরা বের হলেও রাস্তা-ঘাটেও তাদের সম্মান দেখানো হত…
গাড়িতে সিট না পেলে অভদ্র ছেলে গুলোও তাদের জন্য নিজের সিট ছেড়ে দিত..
বোরকা পরিহিতা বাইরে বের হলে রাস্তা-ঘাটে তাদের পিছে লাগত না বখাটে ছেলেরা!
বোরকা পরিহিত কোন মেয়ে প্রেম করে বেড়াতো না রাস্তা-ঘাটে বা পার্কে!
বোরকা পরিহিতা মেয়ে গুলো থাকতো লোকচক্ষুর আড়ালে!
ধর্ষণ/কিডন্যাপের মত ঘটনা গুলো ঘটত শুধুমাত্র অশালীন/অভদ্র/বাজে ড্রেস পরিহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে…
কয়েক বছর পূর্বেও এটিই ছিল বাংলাদেশের স্বাভাবিক চিত্র!
•
স্বাভাবিক এই চিত্র এখন পাল্টে গেছে! এ যুগের বোরকা পরা মেয়েদের পেছনেও এখন বখাটে ছেলেরা ঘুরঘুর করে!
বোরকা হিফাযতের কারণ হওয়ার পরও অনেকেই বোরকাবৃত অবস্থাতেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে!
হাউজওয়াইফ থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ এমনকি মাদ্রাসার ছাত্রীরাও এখন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে!
যুগ বদলেছে!
আজকাল মেয়েদের মধ্যে ‘লজ্জাবোধ’ খুঁজে পাওয়া দায়!
•
অশ্লীল পোশাক পরা মেয়েদের মত আজকাল বোরকা পরা শালীন পোশাক পরিহিতা কেও দেখা যায় বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে অবলীলায় ঘুরে বেড়াতে!
বোরকা/নিকাব করা মেয়ে গুলোকেও দেখা যায় রিকশার হুড তুলে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে স্বামীর মত আচরণ করতে!
ঢাকা শহরের বাস গুলোতে অন্য ছেলে-মেয়েদের মত বোরকা পরা মেয়েকেও পেছনের সিটে বসে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে খুনসুটি করতে দেখা যায়!
মুসলিম মেয়েদের বডি ফিটিং অশালীন পোশাক আর অশ্লীলতার জ্বালায় যখন বাইরে গেলে চোখ বন্ধ হয়ে আসে, তখন কতিপয় বোরকা পরিহিতার এসব আচরণ আরও অসহ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়!
•
এ যুগে অনেক মেয়েকেই দেখা যায় বোরকা পরেছে অথচ তার মুখ খোলা! মুখে মেকআপ, ঠোঁটে কড়া লিপস্টিক! এ যুগে এমন দৃশ্যও ইদানিং ডাল-ভাত মেয়েরা জিন্স প্যান্ট আর টিশার্ট/গেঞ্জি পরে, আর মাথা আবৃত রাখে ফ্যাশনেবল স্কার্ফ দিয়ে!
এ ধরনের হিজাবধারী (!) অন্য দশজন বেপর্দা নারীর চেয়ে বেশিই আকর্ষণ করে!
এ যুগে এমনো হচ্ছে কিছু বোনেরা বোরকা পরে, নিকাব ও করে, কিন্তু বোরকা/স্কার্ফ এতটাই পাতলা সবই বুঝা যায়!
আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি কতিপয় বোন বোরকা/হিজাবকে পরীক্ষায় নকল করার হাতিয়ার বানিয়ে নিয়েছে!
•
এ যুগে হিজাবীধারী (!) ও আর্ন্তজাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করে! ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, টেনিস, ভলিবল, সাঁতার, দৌঁড় সহ কোন ক্রীড়াঅঙ্গণই আজ বাদ নেই যেখানে নারীরা এমন কি মুসলিম নারীরা অংশগ্রহণ করছেনা!
ইরান, ইরাক, ইন্দোনেশিয়া ও সৌদি নারীরা বিশ্ব অলিম্পিকসহ সব আন্তর্জাতিক ক্রীড়াআসরে পর্দার (?) সাথে অংশ নিচ্ছে!
মুসলিম দেশ, মুসলিম নারীরাও বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে!
টিভিতে হিজাবধারী (!) সংবাদ পাঠিকা নতুন কিছু নয়!
অনেক বোরকা পরা/নিকাব করা মায়েরা আবার নিজের মেয়েকে অর্ধনগ্ন পোশাকে লাক্স ফটো সুন্দরী কিংবা ক্লোজ আপ ওয়ানের মতো নাচ, গান কিংবা সুন্দরী প্রতিযোগিতার নামে দেহ প্রদর্শনের প্রতিযোগিতায় নিয়ে যায়!
•
হিজাবকে কতিপয় মানুষ আজ এতটাই সস্তা বানিয়ে ফেলেছে!
নিউজ পোর্টাল থেকে আরও কিছু উদাহরণ হুবহু কপি করে তুলে ধরছি…
•
১. “আমাইয়া জাফর! সে ভালবাসে বক্সিং এবং মনেপ্রাণে এই খেলাটি অনুশীলন করতে চায়! তবে আমাইয়ার স্বপ্নপূরণের পথে অনেকগুলো বিষয় বাধা হয়ে দাঁড়াল…একটি হল…বক্সিংয়ের নিয়ম অনুসারে, বক্সারকে অবশ্যই তার হাত-পা সম্পূর্ণ ঢাকা রাখা যাবে না।
কনুই ও হাঁটুর নিচ থেকে হাত ও পা খোলা রাখতে হবে।
১৫ বছর বয়সী মুসলিম বালিকা আমাইয়া খুবই ধার্মিক এবং অন্যান্য ধার্মিক মুসলিম মেয়েদের মতো সেও হিজাব পরতে চায়!
আর সবচেয়ে বড় বাঁধা হলো, বক্সিংয়ের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার নিয়ম তার হিজাবকে অনুমোদন করে না! হিজাবের ব্যাপারে আমাইয়া বলে, ‘আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি, বক্সিংয়ের জন্য হিজাব ছাড়ার প্রয়োজন নেই।’
আমাইয়া বক্সিংয়ের পোশাকের নিচে ফুলহাতার হিজাব পরতে আগ্রহী এবং সে এভাবে বক্সিংয়ে অংশ নিচ্ছে!”
•
২. “ছোট্টবেলা থেকে ব্যালে নাচ শিখছে স্টেফানি৷
ছোটবেলা থেকেই একজন নৃত্যশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখছিল সে৷
কিন্তু হিজাব পরার ফলে নাচের স্কুলে তাকে ঢুকতে দেয়া হয় না৷
হাল ছাড়ার মেয়ে নয় স্টেফানি৷
সে বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় বিভিন্ন নাচের স্কুলে যোগাযোগ করে৷
একটি স্কুল তাকে নিতে রাজিও হয়৷ কিন্তু সেখানে ভর্তি হতে অনেক অর্থের প্রয়োজন৷
এতেও দমে যায়নি স্টেফানি৷
বরং জনতার সহযোগিতায় টাকাটা সংগ্রহ করার জন্য সে শুরু করে একটা ‘ফান্ডরেইসিল ক্যাম্পেইন’, যার নাম ‘লঞ্চগুড’৷
তবে শুধু নিজের জন্যই নয়, অন্য মুসলিম মেয়েদের জন্যও এই সুযোগ করে দিতে চায় সে৷
স্টেফানি দেখিয়ে দিতে চায় যে, ইসলাম শিল্পের পথে কোনো বাধা নয়৷
তাই বিশ্বের প্রথম হিজাবপরিহিতা ‘ব্যালেরিনা’ হয়ে সে বিশ্বের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে চায়!”
•
৩. “নিউ জার্সির ফেনসিং খেলোয়াড় ইবতিহাজ মুহাম্মদ হতে যাচ্ছেন প্রথম আমেরিকান মুসলিম যিনি হিজাব পরে অলিম্পিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন!”
•
৪. “গত ২ ফেব্রুয়ারী হিজাব পরে যে নারীরা সব কাজ করতে পারে এটা দেখানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রাস্তায় তিনজন তরুণী সাইকেল চালিয়েছেন!
সাইক্লার্স অব বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠনের তিনজন তরুণীর সঙ্গে কয়েকজন তরুণও হিজাব পরার সমর্থনে সাইকেল চালিয়েছেন ঢাকা শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায়!”
•
৫. “পর্দা করে ফুটবল খেলার সূচনা করেছে ইরানের মহিলা ফুটবলাররা! এমন কি ক্যানোয়িং, ভারোত্তোলন, বাস্কেট বল ইত্যাদি খেলা খেলছে হিজাব পরে।
শুধু হিজাব দিয়ে মাথা ঢাকা নয়, তারা ফুল পাজামা এবং ফুল হাতা গেঞ্জি পরে খেলেন!”
•
৬. “অলিম্পিকের জুডো প্রতিযোগিতায় হিজাব পরে অংশ নিবেন প্রতিযোগী শারকানি ও সারা আত্তার!
তারা অলিম্পিকে সৌদি আরবের নারী প্রতিযোগী।
সারা আত্তার মেয়েদের ৮০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন।
আর শারকানি +৭৮ ক্যাটাগরিতে জুডো খেলায় অংশ নিবেন!”
•
৭. “বাংলাদেশের মডেলিং জগতের সবচেয়ে আলোচিত মডেল নায়লা নাইম, বিভিন্ন সময়ে নিজের ওয়ালে স্বল্পবসনে ছবি দিয়ে হয়েছেন বিস্তর সমালোচিত।
তবে এবার আর স্বল্পবসন নয়, বরং হিজাব পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর হলেন তিনি।
স্বল্পবসনে নিজের নান্দনিক উপস্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণদের কাছে নায়লা হয়ে উঠেছেন সবচেয়ে আলোচিত এবং জনপ্রিয়!”
•
৮. “অভিনয়ের চেয়ে লেখালেখি আর ছবি আঁকায় বর্তমানে বেশি সময় দেন বিপাশা হায়াত।
মাঝে মধ্যে অভিনয় করেন!
এবার হিজাব পরে ক্যামেরার সামনে হাজির হলেন এই অভিনেত্রী! ‘আজমেরি নামা’ নামক টেলিছবিতে তিনি হিজাব পরে অভিনয় করেছেন!”
•
৯. “বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম খুচরা পোশাক বিক্রয় প্রতিষ্ঠান এইচঅ্যান্ডএম-এর বিজ্ঞাপনে প্রথম হিজাব পরিহিতা মডেল হলেন ২৩ বছর বয়সী এক মুসলিম নারী।
পাকিস্তানি ও মরোক্কান বংশোদ্ভূত…মারিয়া ইদ্রিসি নামে ওই নারী এইচঅ্যান্ডএম-এর ‘ক্লোজ দ্য লুপ’ বিজ্ঞাপনী উদ্যোগের অংশ হিসেবে একটি ভিডিওতে হিজাব ও সানগ্লাস পরে মডেল হয়েছেন তিনি!”
•
১০. “বিশ্বের প্রথম হিজাবী নারী পাইলট হিসেবে পাকিস্তান এয়ারলাইন্সে নিজের চ্যালেঞ্জিং যাত্রা শুরু হয় শাহনাজ লাগহারির।
সেই থেকে পথ চলা। এই পথ চলায় একের পর এক সাফল্য যেমন পেয়েছেন ঠিক তেমনি বাঁধা এবং বিপত্তির মুখেও পড়েছেন অনেকবার। ২০১৪ সালে এসে ওয়ার্ল্ড গিনেস বুকের রেকর্ডে বিশ্বের প্রথম হিজাব পরিধান কারী মুসলিম মহিলা ক্যাপ্টেন পাইলট হিসেবে নাম উঠে আসে শাহনাজ লাগহারির!”
•
এই হচ্ছে এ যুগের শৌখিন ফ্যাশন সচেতনদের হিজাব!
আর এসব শৌখিন ফ্যাশন আর নামমাত্র পর্দা/হিজাবকে বাংলাদেশের মত মুসলিম প্রধান দেশের মেয়েরা দ্বীনের অংশ বানিয়ে সে অনুসরণে পর্দা করছে বলে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে!
যে হিজাব (?) করে বক্সিং খেলে, নৃত্যশিল্পী হয়, অলিম্পিকে গেমসে অংশগ্রহণ করে, দৌঁড়ে, সাঁতারে, জুডোয়, ফুটবল, ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করে, সাইকেল চালায়, নাটক/সিনেমা/মডেলিং করে সে পর্দা কী তা কি সত্যিই বুঝে?
ইসলাম যেখানে নারীকে গৃহে অবস্থানের হুকুম দিয়েছে (সূরা আহযাবঃ ৩৩), সেখানে মাথায় এক টুকরো কাপড় পেঁচিয়ে খেলাধুলা, নাচ-গান, অভিনয়, মডেলিং এর মত হারাম কাজ অনুমোদন পায় কি করে?
•
এই ধরনের হিজাব এখন অধিকাংশ মুসলিম নারীরাই গ্রহণ করছে..
কে কত স্টাইলে হিজাব করতে পারে তার প্রতিযোগিতা চলে!
কিন্ত অধিকাংশ নারীই যদি এই ফ্যাশনের নামমাত্র হিজাব করে তাহলে কি এই ভন্ডামীর হিজাব ইসলামে জায়েজ হয়ে যাবে?
অধিকাংশ মানুষ কোন কাজ করলেই যে তা বৈধ হবেনা এ বিষয়ে আল্লাহ বলেছেন,
“আর যদি আপনি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথা মেনে নেন, তবে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে
বিপথগামী করে দেবে।
তারা শুধু অলীক কল্পনার অনুসরণ করে, এবং সম্পূর্ণ অনুমান ভিত্তিক কথাবার্তা বলে থাকে!
(সূরা আন’আমঃ ১১৬)
•
‘পর্দা করে সব করা যায়’-জঘন্য একটি কথা!
ফালতু কথা..আল্লাহর হুকুম টাকে শিথিল করার সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র!
পর্দা একটি ইবাদাহ!
নামায, রোজা, হজ্ব,যাকাত এর মত একটি ইবাদাহ হল পর্দা…পর্দা করতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে…সুতরাং পর্দা করলে গায়রে মাহরামকে চেহারা দেখানো যাবেনা, পর্দা করলে নাচ, গান, অভিনয়, মডেলিং, প্রকাশ্য খেলাধুলা করা যাবেনা…
পর্দা করলে বডি ফিটিং ড্রেস পরে পুরুষের সামনে যাওয়া যাবেনা..
পর্দা করলে গায়রে মাহরাম পুরুষের সামনে সাজসজ্জা করা যাবেনা..
পর্দা করলে পুরুষের সাথে কোমল স্বরে কথা বলা যাবেনা..
পর্দা করলে পোশাকে/সাজসজ্জায়/আচরণে অন্যের আকর্ষণ হয় এমন কিছুই করা যাবেনা…
এটাই ইসলাম, এটাই শরীয়াহ….এটাই আল্লাহর হুকুম…
“বিশ্বাসীগণের জন্য আল্লাহর চেয়ে উত্তম হুকুম দাতা আর কে হতে পারে?”
(আল-মায়েদাহঃ ৫০)
রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
‘জাহান্নামবাসী দুটি দল রয়েছে। যাদেরকে আমি এখনো দেখিনি। একদল এমন লোক যাদের হাতে গরুর লেজের মত লাঠি থাকবে যা দিয়ে তারা লোকদেরকে প্রহার করবে।
আর অন্য দল এমন নারী যারা পোশাক পরেও উলঙ্গ থাকে।
তারা অন্যদের তাদের প্রতি আকৃষ্ট করবে নিজেরাও অন্যদের প্রতি ঝুঁকবে।
তাদের মস্তক উটের পিঠের কুঁজের মত হবে।
তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এমনকি জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ এর ঘ্রাণ এত এত দূর থেকেও পাওয়া যায়।’
[মুসলিম: ২১২৮]
•
প্রকৃত হিজাবের হুকুমটাকে কাটছাট করে মানতে গেলে শুধুমাত্র নিজেকেই ধোঁকা দেয়া হয়…হিজাব হচ্ছে পর-পুরুষের আকর্ষন থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য এক ধরনের আশ্রয়..
কিন্তু শৌখিন হিজাবীদের পোশাক, হিজাব স্টাইল, সাজসজ্জা, চোখ, ঠোঁট, কপোলের কারুকার্য দেখলে মনে হয় তারা পুরুষদের আকর্ষিত করতে চাইছে!
কিছু সহজ-সরল পুরুষ শয়তানের ধোঁকায় পড়ে বিভ্রান্ত হয়, বিপথগামী হতে বাধ্য হয়! বারবার সৌন্দর্য অবলোকন করতে গিয়ে গুনাহের ওজন বৃদ্ধি করে!
আর ‘অন্তরে ব্যাধি’ ওয়ালা কিছু পুরুষ পিছনে লাগে, অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনা না ঘটিয়ে শান্ত হয়না।
এজন্যই তসলিমা নাসরীনের মত মহিলারা কলাম লেখে,
- ‘হিজাব ভীষণ রকম সেক্সি হয়ে উঠছে দিন দিন, পুরুষের এখন হিজাব দেখে ধর্ষণেচ্ছা জাগে।’
.
তাই নকল পর্দাশীলদের দৌরাত্ম্যে আসল পর্দাশীলদের প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয় প্রতিনিয়ত!!
:
লেখাঃ মারজানা ইশরাত
একদম সঠিক কথা।