একটা কথা স্পষ্ট করেই বলি। আমি যতদূর পড়াশোনা করেছি, জেনেছি তার আলোকে বলি।

একটা কথা স্পষ্ট করেই বলি। আমি যতদূর পড়াশোনা করেছি, জেনেছি তার আলোকে বলি। কারো নাম নিয়ে আমি জীবনে পোস্ট করি নি ফেসবুকে, আজ করতে বাধ্য হচ্ছছি। ফারজানা মাহবুবা সাহেবা (সেই সাথে আরেকজনের নাম এড করে দিচ্ছি, হাসান আল বান্না) যে ইসলাম নিজে থেকে রিপ্রেজেন্ট করেন – তার অনেক কথা ও কাজই শরীয়তের সাথে সাংঘর্ষিক। আমি নিজে সবসময় ম্পষ্ট করে নারীদের অধিকারের কথা বলি, কিন্তু শরীয়ত আমাকে যে গণ্ডি দিয়েছে – সেটা ক্রস করার ক্ষমতা আমার নেই। পুরুষেরও নেই।

ইসলাম সমান অধিকারের ধর্ম না। ইসলাম সাম্যের/ন্যায্যতার ধর্ম। এর মানে সবাইকে সমান দেয়া না – যার যার পাওনা তাকে সেটা দেয়া এবং এটা দেবার ক্ষমতা পুরুষের না, প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করবে। এই নিয়মে।
এখন – একজন পুরুষ যা করে – নারী তাই করতে পারবে না। একজন নারীর যে কাজ সেটা পুরুষের না। একজন পুরুষ সাঁতারের ভিডু আপলোড করতে পারলে – নারী কেন পারবে না? আমি অতি শীঘ্রই তার থেকে সাঁতারের ভিডিও পেতে যাচ্ছি বলে তিনি জানিয়েছেন! বাহ! তাহলে তাসলিমা নাসরীন যে কইছিলো, গরমে ছেলেরা খালি গায়ে হাঁটতে পারলে মেয়েরা পারবে না কেন? তাও তো লজিক্যাল কথা হয়ে যায়।

আমাদের বোনেরা পড়ালেখা উচ্চশিক্ষার কথা বলতে গেলে সবার আগে আয়শা রা. কে সামনে আনেন। বেহেনজি! তার পর্দা এমন ছিলো – ইফকের ঘটনার সময়ের কথা খেয়াল করুন – হাওদায় তিনি ছিলেন নাকি ছিলেন না – তাও মিকদাদ রা. টের পান নি।

মেয়েরা সাইকেল চালাতে পারবে কী পারবে না – সেটা মাসয়ালার ব্যাপার, একটা কাজ কারো জন্য জায়েজ পারিপার্শ্বিক অবস্থার ভিত্তিতে – কারো জন্য নাজায়েজ। সে প্রসঙ্গ ভিন্ন- ইসলামে নারীর রক্ষণশীলতা স্পষ্ট। মসজিদে নামাজ পড়া জায়েজ(সব আলিম এক মত না এই মাসআলায়) – কিন্তু সাথে স্পষ্ট করে বলা আছে – বাড়িতে পড়লে ফজীলত বেশি। অর্থাৎ ইসলাম নারীকে কেমন দেখতে চায় ; সেটা স্পষ্ট। আপনি ইসলাম মানবেন কী মানবেন না সেটা আপনার ব্যাপার – যেহেতু এখন ইসলামী খেলাফত নাই – কিন্তু আপনি আপনার নফসের লম্ফঝম্পকে ইসলাম বলে চালাতে চাইলে আমার আপত্তি আছে।

ইসলাম কোনো বুফে স্টাইল ধর্ম না। আপনি একবার খাদীজা রা. এর ব্যবসা – একবার আয়েশা রা. এর হাদীস শিক্ষা নিয়ে আসবেন ভালো – সাথে তাদের জীবনাচরণ নিয়ে আসবেন সামনে। ইসলাম শপিং করার জিনিস না, এবং যার তার থেকে ইসলাম নিবেন না। যে তার হাদীসের সনদ বলতে পারবে না ন্যুনতম চার থেকে পাঁচ ধাপ উপরে – বাংলাদেশে কমপক্ষে শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলভী রহ. এর পর্যন্ত যে সিলসিলা বলতে পারবে না – তার থেকে হাদীস নিবেন না। হাদীস এপস বা কিতাব থেকে বর্ণনার বিষয় না, সনদ ছাড়া কারো থেকে হাদীস না নেয়াই ভালো ।

আফিফা মারজান

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *