দুর্ভাগ্যবশত, তথাকথিত আলিমদের মাঝে মুসলিম বোনদের প্রতি অস্বাভাবিক অবিচারের ঘটনা ঘটছে, সেটা এমন পরিস্থিতির জন্ম দিচ্ছে যা আল্লাহ (ﷻ) এর বিরুদ্ধাচরণ।

আসিফ আদনান ভাই একটা ইংরেজি পোস্ট শেয়ার দিয়ে বলসিলো যে ওটা অনুবাদ হওয়া দরকার। আলহামদুলিল্লাহ অনুবাদ হয়েছে। নিচে দিয়ে দিচ্ছিঃ

দুর্ভাগ্যবশত, তথাকথিত আলিমদের মাঝে মুসলিম বোনদের প্রতি অস্বাভাবিক অবিচারের ঘটনা ঘটছে, সেটা এমন পরিস্থিতির জন্ম দিচ্ছে যা আল্লাহ (ﷻ) এর বিরুদ্ধাচরণ। এই ধরনের লোকেরা নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য বা বাসনা পূরণের জন্য ইসলামের মূল তত্ত্বকে জাল ভাবে (ভিন্ন অর্থ করে) ব্যবহার করে; তালিবু ইলমদের কেউ এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তার ইলমকে প্রশ্নবিদ্ধ করে যাতে অপরাধবোধ জন্মায় (আর প্রশ্ন না তুলে); তারা তাদের (তালিবু ইলমদের) ব্যক্তিগত এবং গোপন তথ্যাদি জানতে চায়। আর সেসব আলিমরা দাবি করে, জ্ঞান অর্জনের জন্য বা “শায়খদের” জন্য এ ধরনের শরিয়া বহির্ভূত কাজ (নন মাহরামের সঙ্গে অবস্থান) বৈধ/জায়িয। এ কথা মাথায় রেখে, এই বিষয়ে কিছু মৌলিক মূলনীতির ব্যাপারে আমরা আবারো জোর দিতে চাই এটা নিশ্চিত করার জন্যে যে, এ ধরনের শিক্ষা ইসলাম কখনো আপোস করেনি (যদিও বিভ্রান্ত আলিমরা তা প্রচার করে)।

১. খালওয়াহ (কোনো নারীর নির্জনে নন-মাহরামের সাথে অবস্থান)
সাধারণভাবে একজন মেয়ের জন্য মাহরাম হলো ওই ব্যক্তি, যার সাথে ঐ মেয়ের বিবাহ নিষিদ্ধ, যেমন: তার বাবা, দাদা/নানা, মামা, চাচা, ভাই, দুধ ভাই, পুত্র, ভাই/বোনের ছেলে, নিজের স্বামী। যাদের আইনত কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই সেই মেয়েকে বিবাহ করার, তারাই হলো তার জন্য নন-মাহরাম।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
মাহরামের উপস্থিতি ছাড়া কোন পুরুষ কোন নারীর সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ করবে না।(বুখারী)

এই হাদীসে কোনো আলিম, ধার্মিক কিংবা বিশ্বস্ত (নন মাহরাম) ব্যক্তির জন্য ব্যতিক্রম রাখা হয় নি। একান্তে সাক্ষাতের এই বিষয়টি শারীরিক উপস্থিতিতে কথোপকথনের বাইরেও বিপরীত লিঙ্গের সাথে মোবাইলে কথা বলা, ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ এবং কোনো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে যোগাযোগও নির্দেশ করে। এ ধরনের কথোপকথন বা সাক্ষাতের ব্যাপারে যেনো আল্লাহর (ﷻ) নির্দেশিত সীমানা লঙ্ঘিত না হয় সে ব্যাপারে একজন প্রকৃত আলীম আপত্তি করতেই পারেন। এটা শরিয়াহ প্রদত্ত আইন এবং যে কেউ প্রত্যাশা করবে যে, একজন আলিম এটি বুঝবে এবং সম্মান করবে।

সেজন্য, কোনো মুসলিমা গ্রহণ করবে না;

ক) এমন কোনো আমন্ত্রণ যেখানে সে একজন (নন মাহরাম) পুরুষের সাথে নির্জনে অবস্থান করবে, হোক তা দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য অথবা অন্য কারণে।

খ) এমন আমন্ত্রণ যা কোনো (নন মাহরাম) পুরুষের সাথে একান্তে সাক্ষাৎ হবে, যদিনা তার কোনো মাহরাম সেখানে উপস্থিত থাকে অথবা কোনো সামষ্টিক পরিবেশে সাক্ষাৎ হয় কিংবা কোনো দ্বীনি গণফোরাম যেটা ইসলামিক নিয়ম মেনেই সংগঠিত হচ্ছে দ্বীন শেখার জন্য।

গ) ইলম অর্জনের সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন কোনো ব্যক্তিগত তথ্য চাইলে (দিবে না, প্রত্যাখ্যান করবে)। এটা হতে পারে, বয়স, ওজন, বৈবাহিক অবস্থা, শারীরিক গঠন অথবা অতীতের কোনো বিষয়, ইত্যাদি। কারো এই ব্যাপারে অধিকার নেই যে, অন্যের অতীতের ব্যক্তিগত কোনো তথ্য প্রকাশ করবে যদিনা সেটা শরয়ী বিচারের জন্য বিচারকের/কাজীর সামনে পেশ করতে না হয়। দুনিয়ায় কারো গোপন বিষয় গোপন রাখা হলে আখিরাতে আল্লাহ আমলনামা থেকে পাপ গোপন রাখবেন (প্রকাশ করবেন না সবার সামনে)। তাহলে কেনো এই সুযোগ বিসর্জন দিতে যাবেন? (গোনাহ লুকানোর রাস্তাটি হারাবেন?)

২. ওয়ালী (অভিভাবকত্ব) এর সাথে সম্পৃক্ত বিষয়:

সাধারণভাবে, ওয়ালী হলো মেয়ের একজন অভিভাবক, যিনি শরয়িভাবে সেই মেয়ের ভরণ-পোষণ আর দেখভালের জন্য স্বীকৃত। মেয়ে যদি বিবাহিত হয়, তবে সেটা হবে তার স্বামী, অথবা (অবিবাহিত হলে) শরিয়া নির্ধারিত পরিবারের মাহরাম কেউ। কিছু অসাধু লোক প্রকৃত ওয়ালীর অভিভাবকত্ব বাতিল করে নিজেকে বা অন্য কাউকে ওয়ালী বানায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ঘোষণা দেয় যে, ওয়ালী মুরতাদ। হ্যা, এটা সত্য যে, মুরতাদ ব্যক্তি কোনো মুসলিমার ওয়ালী হতে পারে না, কিন্তু এখানে কিছু ব্যাপার আছে যা আমলে নেওয়া প্রয়োজন; যেমন-

> ওয়ালীকে কে মুরতাদ ঘোষণা করছে, আর তাদের আকিদা বিশ্বাস সম্পর্কে কেমন জ্ঞান আছে?
> ওয়ালী কি জানে, সে যা করছে তা শরিয়তে নিষিদ্ধ? তাকে কি তওবা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিলো তার অভিভাবকত্ব বিনষ্ট ঘোষণা দেবার আগে?
> যে বিষয়টা ঈমান থেকে বের করে দিচ্ছে (মুরতাদ বলার কারন), সেটা কি ইমামদের বৈধ কোনো ইখতিলাফ?
একজন অবিবাহিত মহিলার জন্য বাবাই হলো প্রকৃত ওয়ালী এবং শরিয়তের বৈধ কারণ ব্যতীত তার এই ভূমিকা কেউ বাতিল করতে পারে না। যদি এমন মনে হয় যে বাবা ওয়ালী হবার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করছে না, ওই নারী তখন যে কারো কাছে গিয়েই ওয়ালীর ভূমিকা পালনের জন্য চাইতে পারে না। দুর্ভাগ্যবশত, প্রায়শই যা হয়, বিয়ের প্রস্তাবদাতা (বা বয়ফ্রেন্ড) ওই নারীকে এই বলে প্রতারিত করে যে, তার বাবা মুরতাদ। আর তাই তারা নিজেরা ওয়ালী নিয়োগ দেয়- বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের কাছের কোনো বন্ধুকে ওয়ালী বানায়- বিয়ের ক্ষেত্রে। প্রথমত, এটা এক অন্তর্নিহিত বিরোধ, যেহেতু ওয়ালির দায়িত্ব বিয়ের প্রস্তাবদাতাকে ভালোভাবে জেনে নেওয়া, তাদের ধর্মীয় রীতনীতি ও মূল্যবোধ যাচাই করা, যেনো এটা নিশ্চিত করা যায় মেয়েটি এমন একজনের কাছে বিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে তার দ্বীনি ও দুনিয়াবি বিষয় দেখভাল করবে, সাহায্য করবে। কোনো বন্ধুকে ওয়ালী হিসেবে নির্বাচন করে বিয়ে সেরে নিলে ওয়ালীর এই দায়িত্ব পূরণ হবেনা। দ্বিতীয়ত, এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি হলো, যারা ওয়ালীর ভূমিকা পালনে শরয়ী অধিকার লালন করে, তাদের উপেক্ষা করে (অন্যকে ওয়ালী বানানো), বাবাকে আইনত অবৈধ করে দেয়।

এই ব্যাপারটি জানার পরে, কোনও মুসলিমাহর উচিত নয়:

ক) বিবাহের প্রস্তাবদাতাকে তার বাবার ‘অভিভাবকের ভূমিকা’ অবৈধ ঘোষণা করার অধিকার দেওয়া। এটা নির্ধারণ করবে শর’ই বিচারক/কাজী (যদি থাকে), না থেকে থাকলে কোনো বিজ্ঞ আলিম যিনি আকিদার ক্ষেত্রে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অনুসারী এবং যার সাথে প্রস্তাবদাতার কোনো সম্পর্ক বা যোগাযোগ নেই।
খ) প্রস্তাবদাতাকে ওয়ালী নির্বাচনের অধিকার দেওয়া, যদিও আইনতই ওয়ালী হিসেবে বাবা অবৈধ হয়ে যায়।
গ) ওয়ালীর অনুপস্থিতিতে প্রস্তাবদাতার সাথে যোগাযোগ করা।
ঘ) নিজের ছবি কিংবা ব্যক্তিগত কোনো তথ্য নিজে প্রকাশ করা।
যদি প্রস্তাবক হবু বউকে দেখতে চায় হিজাব/নিকাব ছাড়া (চেহারা দেখার জন্য), এই ক্ষেত্রে অবশ্যই মেয়ের ওয়ালী উপস্থিত থাকতে হবে। যদি বিয়ের দিন/তারিখ ঠিক হয়ে যায় (কিন্তু ইজাব কবুল না হয়ে থাকে), সেক্ষেত্রেও ছেলে আরেকবার দেখার অধিকার রাখে না।

তথাকথিত অনেক জ্ঞানী/আলিম নারী কর্মীদের ক্ষেত্রে একই ফতোয়া দেন, যা ব্যবহার করে ধর্মীয় নেতারা নারীদের লুণ্ঠন করে। এরকম কিছু উদাহরন দেখুন:

> বোনকে এমনভাবে বোঝানো হয় যেনো তারা অন্য নারীদের তুলনায় বিশেষ কিছু; বেশি জ্ঞানী, বেশি দক্ষ ইত্যাদি।
> বোনকে তার আত্মীয় এবং কাছের বান্ধবীদের সহায়তা থেকে এই বলে আলাদা করা হয় যে- তারা মুরতাদ এবং কখনোই এমন কিছু চায় না যা তার(বোনটির) জন্য ভালো।
> জনপ্রিয়তা, ইলম শেখানোর অজুহাত এবং সমাজে তার(বোনের) গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য তার(ঐ আলিম) নিজের উপর নির্ভরতা বাড়িয়ে দিতে চেষ্টা করে।
> বোনকে এই বলে তার অন্তরে ভয় ঢোকানো হয় যে, সে(বোন) তার ওয়ালির সাথে অধিকারভুক্ত নয়, যদি এমন হয় তাহলে তার জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে, সে কাওকে বিয়ে করতে পারবে না, তাকে সহায়তা করার জন্য সে কাওকে পাবে না, সমাজে সে তার অবস্থান হারিযে ফেলবে ইত্যাদি।

৩. রুকাইয়া বিষয়ের ক্ষেত্রে করণীয়:

সাধারণত, রুকাইয়া হচ্ছে এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি যা কুরানের বিভিন্ন আয়াত অথবা সুরাহ অথবা কিছু সহিহ সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত দুয়া দিয়ে অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসা করা হয়। যারা রুকাইয়া চর্চা করে এবং রুকাইয়া করে জীবিকা অর্জন করে তাদের হয়তো পছন্দ নাও হতে পারে, কিন্তু রুকাইয়া নিজে নিজে করা যেতে পারে অথবা অন্য কোনো পারিবারিক সদস্যদের দ্বারাও করা যেতে পারে যারা কিনা সাধারণত কুরআন তিলাওয়াত করতে পারে অথবা পড়তে পারে। এমন কোনো ঘটনা কখনো পাওয়া যায় না যেখানে নির্জন অবস্থায় মাহরামের অনুপস্থিতিতে নন-মাহরামের দ্বারা রুকাইয়া করানো জায়েজ হয়ে যায়। দুঃখজনকভাবে, রাক্বী ভাইদের দ্বারা হয়রানিমুলক কাজ করার ঘটনা অস্বাবাবিক নয়; এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এমন কিছু করা হয় যা কিনা সরাসরি শরীয়া বিরোধী। যখন কেও সুন্নাহকে পড়াশোনা করে বুঝতে পারে, তখন সে দেখতে পায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং সাহাবাদের আমলে রুকাইয়া কত সহজ ছিলো এবং অপরদিকে বর্তমানে তা কীভাবে মূর্খ রাক্বীদের দ্বারা বিশদ রীতিতে পরিণত হয়েছে। রাসূল ﷺ এবং সাহাবাদের রুকাইয়া করার কোনো ঘটনা/পদ্ধতি জ্বীনের সাথে সম্পর্কিত ছিলো না। বলা বাহুল্য যে, যদি রুকাইয়া হয় সিহরের(যাদু) সাথে সম্পর্কিত, তাহলে তা কুফর। কেও যদি বলে যে, নির্দিষ্ট কিছু রীতিনীতিমূলক কাজ এবং কিছু বস্তু ব্যবহার করে জ্বীনের ক্ষতি করা যায়, বদ নজর থেকে হেফাজত পাওয়া যায়, সিহর অথবা এমন কিছু ঠিক করা যায়, তাহলে এ-ধরনের প্রমাণের দায়ভার তার উপরই বর্তাবে। কেউ যদি বলে, “আমরা তা প্রয়োগ করে দেখেছি যে তা কাজ করে!” – তা কি কখনো শরীয়ার দলিল হতে পারে? এ ধরনের মানুষদের বর্জন করতে হবে এবং অবশ্যই সতর্ক করতে হবে।

একজন মুসলিমার জন্য এটি জানা জরুরি যে:

১) অন্যদের কাছ থেকে রুকাইয়া করানো অনুমোদিত, তবে না করানোই উত্তম।
আব্বাস (رضي الله عنهما) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন যে তার উম্মতের মধ্যে ৭০ হাজার লোক বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। যখন সাহাবিরা তাকে (ﷺ) জিজ্ঞেস করলো- কেনো? তিনি বললেন,
“ওরা হল তারা, যারা শরীরে উল্কি আঁকে না, রুকাইয়া চায় না এবং কোন জিনিসকে অশুভ লক্ষণ মনে করে না বরং তারা কেবল আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখে।”(বুখারী, তিরমিযী)
কিছু আলিম এই বর্ণনা থেকে বুঝতে পেরেছেন যে, রুকাইয়া করাতে চাইলে আল্লাহর ওপর থেকে কিছুটা নির্ভরতা কমে যায়। এটা এমন কারো সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়, যে কিনা রুকাইয়া কীভাবে করতে হয় তা জানে এবং যার প্রয়োজন তাকে সেবা করার জন্য প্রস্তাব দেয়।
২) একজন পুরুষ রাক্বিকে দেখানো এবং একজন পুরুষ ডাক্তারকে দেখানো একই। এবং এটা তখনই জায়েজ যখন কোনো যোগ্য নারী (রাক্বি অথবা ডাক্তার) না থাকে। তাই, আগের বিবৃতি মোতাবেক, যে কেউই রুকাইয়া করাতে পারে এবং তাই এক্ষেত্রে পুরুষদের সত্যিকার অর্থে তেমন প্রয়োজন হয় না।

৩) কিছু রুকাইয়া আছে যেগুলোতে শরীরে মাছেহ করতে হয় অথবা রুগির অসুস্থ স্থানে হাত দিতে হয়। এগুলো কখনোই নারীর জন্য একজন নন-মাহরাম রাকি দ্বারা করা বৈধ নয়। নারীর বুকে আঘাত করা, পায়ে লাথি মারা, পেটে পা রাখা, অথবা কাঁধে কিংবা ঘাড়ে চাপা দেওয়াও এসবের অন্তর্ভুক্ত (অর্থাৎ, পুরুষ রাক্বির ক্ষেত্রে বৈধ হবে না)।

৪) রুকাইয়া কখনো অসুস্থ ব্যাক্তির জন্য অতিরিক্ত ব্যথা নিয়ে আসতে পারে না, বিশেষ করে যখন এমন সব বস্তু ব্যবহার করা হয় যা কিনা রাসূল (ﷺ ) এবং সাহাবাদের যুগে ছিলই না। যেমন কোনোভাবে প্যারালাইজড করা, ব্যাটারির ব্যবহার, বৈদ্যুতিক তারের ব্যবহার ইত্যাদি।

৫) মেডিকাল চেকআপের ক্ষেত্রে কখনো ভয় পাবেন না। অনেক অসুস্থতা রয়েছে যা কিনা অনেকেই আধ্যাত্মিকতার দিকে নিয়ে যান অথচ অসুস্থতাগুলো প্রাকৃতিকভাবেই শরীরের সাথে সম্পর্কিত। যেমন শরীরে খনিজ উপাদানের ঘাটতি, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, টেনশন, উদ্বেগ, অথবা কিছু গুরুতর অবস্থা যেমন স্নায়বিক অবক্ষয়জনিত রোগের সূত্রপাত।

অবশেষে, কখনোই অন্য কোনো বিজ্ঞ আলীমের শরণাপন্ন হতে দ্বিধাবোধ করবেন না। আপনি যদি কারও কোনো উত্তরে অথবা অনুরোধে একমত হওয়ার পূর্বে অস্বস্তি বোধ করেন, তাহলে আরেকজনকে জিজ্ঞেস করুন। প্রত্যেক তলিবুল ইলমের এ-ধরনের অধিকার আছে। যদি কোনো শিক্ষক এরূপ কর্মকাণ্ডে আপত্তি করে, তাহলে অন্য কারও কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করার জন্য এটি একটি ভালো ইঙ্গিত।

আল্লাহ আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিক এবং আমাদের সরল সঠিক পথে চলার তাওফিক দিক।

অনুবাদক:
জাওয়াদ তাহমিদ
তানভীর হোসাইন

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *