মহিলাদের যেমন মেনোপজ-এর পর হঠাৎ করে কমে আসে সব সেক্স-হরমোন। পুরুষের তেমন না, পুরুষের টেস্টোস্টেরোন (T) কমে ধীরে ধীরে।
১৭ বছর বয়েসে সর্বোচ্চ হয়, এরপর ২০-৩০ বছর ধরে সর্বোচ্চের আশেপাশে থাকে। ৩০-এর পর প্রতি বছর ১% হারে এই মাত্রা কমে যায়। ৭০ বছরে গিয়ে সর্বোচ্চের ৩০% এ নেমে আসে । [1]
চিন্তা করেছেন, কী এক জীবন কাটাচ্ছি আমরা, কী এক দুনিয়া বানিয়ে রেখেছি আমরা! যে সময়টা শরীরের চাহিদা থাকে সর্বোচ্চ, সে সময়টাতেই আমরা স্ত্রী ছাড়া থাকি। বায়োলজি-বিরুদ্ধ এক সিস্টেম বানিয়ে পশ্চিমা সভ্যতা আমাদেরকে ডাকছে তাদের মত হবার জন্য। ঠিক কখন আমরা হতে পারব তাদের মত— যখন ইউরোপের মত আমাদেরও ৫০% জনসংখ্যা হবে জারজ, আমাদের ৭০% মেয়েরা ১৮-এর আগেই হারাবে সতীত্ব, সতীত্ব-রক্ষা হবে মান্ধাতার আমলের ধ্যানধারণা। আর T-এর জোয়ারের এই সময়টা অপব্যবহার করে করে বাড়বে যৌনরোগের ওষুধ, সার্জারি, পর্নো-ইন্ডাস্ট্রি, সেক্স-ট্যুরিজম আর ডিপ্রেশনের ওষুধের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বাজার।
হয় আমাদেরকেও ওদের পরিণতি বরণ করতে হবে, কেননা ওদের স্কীম অনুসরণের ফলও ওদের মতোই হবে। কাঁঠাল গাছ লাগাবেন, কাঁঠালই ফলবে। আর নয়তো ইউরোপের আধুনিকতা-স্বাধীনতা-প্রগতি-উন্নতির ধারণাকে ছুঁড়ে ফেলতে হবে। স্পষ্ট বলে দিতে হবে: তোমাদের পথেই আমরা হাঁটতে চাই না। আমরা আমাদের সন্তানদের বিয়ে ৩০-এর পরে না, ২৫-এর আগেই, সম্ভব হলে আরও আগে দিব।
ব্যক্তিজীবনে আপনি ইউরোপীয় প্রতিটি ধারণাকে (প্রযুক্তি না, ধ্যান-ধারণা) ছুঁড়ে ফেলতে পারলে ‘কমপক্ষে’ ‘অ্যাট লীস্ট’ আপনার ব্যক্তিগত জীবনে সুখী হতে পারবেন।
[1] Testosterone, aging, and the mind; January, 2008 [www.health.harvard.edu]
ডা. শামসুল আরেফিন