মারকাজুল ইমাম আনওয়ার শাহ কাশ্মীরি রহ. একটি উচ্চতর গবেষণাধর্মী আদর্শিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান – আলী হাসান উসামা

মারকাজুল ইমাম আনওয়ার শাহ কাশ্মীরি রহ.
একটি উচ্চতর গবেষণাধর্মী আদর্শিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

– আলী হাসান উসামা

মারকাজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য


ক) তাওহিদ ও মিল্লাতে ইবরাহিমের পরিপূর্ণ অনুসরণ
আল্লাহ বলেন,

قُلْ صَدَقَ اللَّهُ فَاتَّبِعُوا مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ
আপনি বলুন, আল্লাহ সত্য বলেছেন। সুতরাং তোমরা মিল্লাতে ইবরাহিমের অনুসরণ করো; যে ছিল একনিষ্ট আর সে কোনোপ্রকার শিরককারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। {সুরা আলে ইমরান : ৯৫}

قَدْ تَبَيَّنَ الرُّشْدُ مِنَ الْغَيِّ فَمَنْ يَكْفُرْ بِالطَّاغُوتِ وَيُؤْمِنْ بِاللَّهِ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَى لَا انْفِصَامَ لَهَا
নিশ্চয়ই হিদায়াত (সত্য পথ) গোমরাহি (ভ্রান্ত পথ) থেকে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। কাজেই যে ব্যক্তি তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করল এবং আল্লাহর প্রতি ইমান আনল, নিশ্চয়ই সে সুদৃঢ় হাতল আঁকড়ে ধরল, যা কখনো ভাঙবে না। {সুরা বাকারাহ : ২৫৬}


খ) মুসলিম ও অমুসলিম নির্বিশেষে সকলের সামনে পূর্ণাঙ্গ দীনের দাওয়াত উপস্থাপন

আল্লাহ বলেন,
الْيَوْمَ يَئِسَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ دِينِكُمْ فَلَا تَخْشَوْهُمْ وَاخْشَوْنِ الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا
আজ কাফিররা তোমাদের দীনের ব্যাপারে নিরাশ হয়ে গেছে। সুতরাং তোমরা ওদেরকে ভয় করো না; ভয় করো আমাকে। আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পরিপূর্ণ করলাম, তোমাদের ওপর আমার নিয়ামতকে পূর্ণতা দিলাম এবং ইসলামকে দীন হিসেবে তোমাদের জন্য মনোনীত করলাম। {সুরা মায়িদা : ৩}

وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَسُولًا أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ
নিশ্চয়ই আমি প্রত্যেক জাতির মধ্যে বার্তাবাহক পাঠিয়েছি এই দাওয়াত দিয়ে—তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো এবং তাগুত বর্জন করো। {সুরা নাহল : ৩৬}

فَلَوْلَا نَفَرَ مِنْ كُلِّ فِرْقَةٍ مِنْهُمْ طَائِفَةٌ لِيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنْذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
মুমিনদের প্রত্যেক দল থেকে একটি অংশ কেন বের হয় না, যাতে তারা দীনের গভীর ব্যুৎপত্তি অর্জন করতে পারে এবং ফিরে এসে নিজেদের সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পারে; যাতে তারা সতর্ক হয়। {সুরা তাওবা : ১২২}

كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ
তোমরা সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি। তোমাদের বের করা হয়েছে (মুসলিম-অমুসলিম) সকল মানুষের জন্য। তোমরা সৎকাজের আদেশ করো এবং অসৎকাজ থেকে বারণ করো আর আল্লাহর প্রতি ইমান রাখো। {সুরা নিসা : ১১০}


গ) সুন্নাহ তথা সহিহ আকিদা ও সহিহ মানহাজ অবলম্বন

আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস রা. থেকে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন,
لَيَأْتِيَنَّ عَلَى أُمَّتِي مَا أَتَى عَلَى بني إسرائيل حَذْوَ النَّعْلِ بِالنَّعْلِ، حَتَّى إِنْ كَانَ مِنْهُمْ مَنْ أَتَى أُمَّهُ عَلاَنِيَةً لَكَانَ فِي أُمَّتِي مَنْ يَصْنَعُ ذَلِكَ، وَإِنَّ بني إسرائيل تَفَرَّقَتْ عَلَى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ مِلَّةً، وَتَفْتَرِقُ أُمَّتِي عَلَى ثَلاَثٍ وَسَبْعِينَ مِلَّةً، كُلُّهُمْ فِي النَّارِ إِلاَّ مِلَّةً وَاحِدَةً، قَالُوا: وَمَنْ هِيَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ: مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِي.
বনি ইসরাইলের ওপর যে অবস্থা এসেছিল, নিঃসন্দেহে আমার উম্মাতের ওপরও একই অবস্থা আসবে—যেমন একজোড়া জুতার একটি আরেকটির মতো হয়ে থাকে। এমনকি তাদের মধ্যে কেউ যদি প্রকাশ্যে নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করে থাকে, তবে আমার উম্মাতের মধ্যেও কেউ তা-ই করবে। আর বনি ইসরাঈল ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছিল। আমার উম্মাত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। শুধু একটি দল ছাড়া তাদের সবাই জাহান্নামি হবে। সাহাবিগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, সে দল কোনটি? তিনি বললেন, আমি ও আমার সাহাবিগণ যে আদর্শের ওপর প্রতিষ্ঠিত (যারা এর অনুসারী হবে, তারাই মুক্তিপ্রাপ্ত দল)। {সুনানুত তিরমিজি : ২৬৪১}

মুয়াবিয়া ইবনু আবি সুফয়ান রা. থেকে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন,
أَلَا إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ فِينَا فَقَالَ: ” أَلَا إِنَّ مَنْ قَبْلَكُمْ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ افْتَرَقُوا عَلَى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ مِلَّةً، وَإِنَّ هَذِهِ الْمِلَّةَ سَتَفْتَرِقُ عَلَى ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ: ثِنْتَانِ وَسَبْعُونَ فِي النَّارِ، وَوَاحِدَةٌ فِي الْجَنَّةِ، وَهِيَ الْجَمَاعَةُ «زَادَ ابْنُ يَحْيَى، وَعَمْرٌو فِي حَدِيثَيْهِمَا» وَإِنَّهُ سَيَخْرُجُ مِنْ أُمَّتِي أَقْوَامٌ تَجَارَى بِهِمْ تِلْكَ الْأَهْوَاءُ، كَمَا يَتَجَارَى الْكَلْبُ لِصَاحِبِهِ ” وَقَالَ عَمْرٌو: «الْكَلْبُ بِصَاحِبِهِ لَا يَبْقَى مِنْهُ عِرْقٌ وَلَا مَفْصِلٌ إِلَّا دَخَلَهُ»
শোনো, রাসুলুল্লাহ ﷺ একদিন আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে বললেন, জেনে রেখো, তোমাদের পূর্ববর্তী কিতাবিরা ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে এবং এ উম্মাত অদূর ভবিষ্যতে ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। এর মধ্যে ৭২ দল জাহান্নামে যাবে এবং এক দল জান্নাতে যাবে। আর সে দল হচ্ছে আল-জামাআত।… আর নিশ্চয়ই আমার উম্মাতের মধ্যে এমন এমন দলের আবির্ভাব ঘটবে, যাদের সর্বশরীরে (বিদআতের) প্রবৃত্তি এমনভাবে বিস্তার লাভ করবে, যেমন পাগলা কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগীর সর্বশরীরে সঞ্চারিত হয়। বর্ণনাকারী আমর রহ. বলেন, ক্ষিপ্ত কুকুরের দংশনজনিত রোগ এমন একটি মারাত্মক ব্যাধি, যার বিষাক্ত প্রভাব থেকে রোগীর দেহের রগ ও জোড় কিছুই রক্ষা পায় না। {সুনানু আবি দাউদ : ৪৫৯৭}

ইরবাজ ইবনু সারিয়া রা. থেকে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন,
إِنَّهُ مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ يَرَى اخْتِلَافًا كَثِيرًا، وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الأُمُورِ فَإِنَّهَا ضَلَالَةٌ فَمَنْ أَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْكُمْ فَعَلَيْهِ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ المَهْدِيِّينَ، عَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ
তোমাদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকবে, তারা অনেক বিরোধ দেখতে পাবে। তোমরা নবোদ্ভাবিত বিষয়গুলো থেকে দূরে থেকো; কারণ তা ভ্রষ্টতা। তোমাদের মধ্যে কেউ সে যুগ পেলে সে যেন আমার সুন্নাহ এবং আমার হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদিনের সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরে। তোমরা অত্যন্ত সুদৃঢ়ভাবে তা আঁকড়ে রাখবে। {সুনানুত তিরমিজি : ২৬৭৬}


ঘ) ইসলামের মজলুম বিধানগুলোর সংস্কার ও পুনরুজ্জীবন

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ عَلَى رَأْسِ كُلِّ مِائَةِ سَنَةٍ مَنْ يُجَدِّدُ لَهَا دِينَهَا
নিশ্চয়ই আল্লাহ এই উম্মাহর জন্য প্রতি শতাব্দীতে এমনসব ব্যক্তিদের পাঠাবেন, যারা উম্মাহর জন্য তাদের দীন সংস্কার করবে। {সুনানু আবি দাউদ : ৪২৯১}

আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন,
يَحْمِلُ هَذَا الْعِلْمَ مِنْ كُلِّ خَلَفٍ عُدُولُهُ، يَنْفُونَ عَنْهُ تَحْرِيفَ الْغَالِينَ، وَانْتِحَالَ الْمُبْطِلِينَ، وَتَأْوِيلَ الْجَاهِلِينَ
প্রত্যেক পরবর্তী প্রজন্মের মধ্য থেকে এই ইলমকে ধারণ করবে নির্ভরযোগ্য উত্তরসূরিরা। তারা এই ইলম থেকে দূর করবে সীমালঙ্ঘনকারীদের বিকৃতি, বাতিলপন্থীদের মিথ্যাচার এবং মূর্খদের অপব্যাখ্যা। {শরহু মুশকিলিল আসার : ৩৮৮৪}

সাওবান রা. থেকে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন,
لَا تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي ظَاهِرِينَ عَلَى الْحَقِّ، لَا يَضُرُّهُمْ مَنْ خَذَلَهُمْ، حَتَّى يَأْتِيَ أَمْرُ اللهِ
আমার উম্মাহর একটি দল সর্বদা হকের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। যারা তাদের অসহযোগিতা করবে, তারা তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না; যাবত্‌ না আল্লাহর নির্দেশ (কিয়ামতের আলামত) প্রকাশিত হয়। {সহিহ মুসলিম : ১৯২০}
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন,

بَدَأَ الْإِسْلَامُ غَرِيبًا، وَسَيَعُودُ كَمَا بَدَأَ غَرِيبًا، فَطُوبَى لِلْغُرَبَاءِ
ইসলাম শুরু হয়েছিল অপরিচিত অবস্থায়। শীঘ্রই ইসলাম সূচনালগ্নের মতো অপরিচিত হয়ে যাবে। সুতরাং সুসংবাদ গুরাবা (অপরিচিত অবস্থায়ও হকের ওপর অবিচল) বান্দাদের জন্য। {সহিহ মুসলিম : ২৩২}


ঙ) উম্মাহর সার্বিক নেতৃত্বদানে যোগ্য এবং কাঙ্ক্ষিত সকল গুণে গুণান্বিত আলোকিত এক প্রজন্ম গড়ে তোলা


মারকাজের শাখাসমূহ

ক) قسم التدريب في علم التوحيد والعقائد والفقه الأكبر
এক বছর মেয়াদী আকিদা বিষয়ক উচ্চতর গবেষণা বিভাগ
খ) কেন্দ্রীয় ফিকহ ও ফাতওয়া বিভাগ এবং দুই বছর মেয়াদী তাখাসসুস ফিল ইফতা
গ) এক বছর মেয়াদী উচ্চতর আরবি ভাষা ও সাহিত্য প্রশিক্ষণ বিভাগ
ঘ) এক বছর মেয়াদী ইসলামি রাজনীতি, অর্থনীতি ও বিচারব্যবস্থা বিষয়ক গবেষণা বিভাগ
ঙ) শরহে বিকায়া থেকে দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত দরসে নেজামি
চ) ১ম বর্ষ থেকে তৃতীয় বর্ষ পর্যন্ত মাদানি নেসাব
ছ) আন্তর্জাতিক মানের হিফজ বিভাগ
জ) আদর্শ নুরানি মকতব
ঝ) জেনারেল ভাইদের জন্য শরিয়াহ গ্রাজুয়েশন

উল্লেখ্য, প্রথম বছর শুধু আকিদা বিষয়ক তাখাসসুস, মিশকাত ও দাওরায়ে হাদিস এবং মাদানি নেসাব ১ম বর্ষ থাকবে। অন্যান্য বিভাগগুলো এর পরের বছর থেকে ধাপে ধাপে খোলা হবে।


মারকাজের বৈশিষ্ট্যসমূহ

১. মারকাজের অধ্যাপনায় এমন শিক্ষকগণই রয়েছেন, যারা বিশুদ্ধ আকিদা এবং পরিশুদ্ধ চেতনা ও মানসিকতার অধিকারী, সব ধরনের ফিতনার ব্যাপারে সচেতন, ছাত্রদের দারস ও তারবিয়াত প্রদানে অভিজ্ঞ ও আন্তরিক।

২. মারকাজে আরবি ভাষার ওপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করা হয়। এখানকার প্রতিষ্ঠানিক ভাষা আরবি। মারকাজের পাঠদান পদ্ধতি এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে তালিবুল ইলমরা এক বছর অধ্যয়ন করার পরই অনর্গল আরবি কথা বলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে। আরবির পাশাপাশি বাংলা, ইংলিশ ও উর্দু ভাষার ওপর সবিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।

৩. মারকাজ শুধু একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই নয়; বরং এটা সুন্নাহসম্মত তারবিয়াতকেন্দ্রও। সুতরাং মারকাজের তালিবুল ইলমদের শুধু ইলমের প্রশিক্ষণই দেওয়া হয় না; বরং তাদেরকে আমল, আখলাক ও সহিহ ফিকিরেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

৪. শিক্ষকদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান। মারকাজের তালিবুল ইলমরা শুধু বইপত্র থেকেই ইলম শিক্ষা করবে না; বরং উস্তাদগণের সোহবত থেকে শাস্ত্রীয় যোগ্যতা অর্জন করবে এবং ইলমি তত্ত্বকে বাস্তবজীবনে প্রয়োগ করার হাতেকলমে দীক্ষা নেবে।

৫. সর্বোপরি আমাদের মারকাজের আদর্শ হচ্ছে রাসুলুল্লাহ ﷺ প্রতিষ্ঠিত আসহাবে সুফফা এবং হিন্দুস্তানের প্রথম সারির আকাবিরগণের হাতে প্রতিষ্ঠিত দারুল উলুম দেওবন্দ। শায়খুল হিন্দ রহ.-এর ভাষ্য অনুসারে যে লক্ষ্যকে সামনে রেখে দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, ঠিক একই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমাদের এই স্বপ্নের মারকাজও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা আদর্শিক মৃত্যুকেই প্রকৃত মৃত্যু মনে করি। মারকাজ কখনো যদি তার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়, তাহলে ইমামুল আসর আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশ্মীরি রহ.-এর নামধারণ করার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে বলে বিবেচিত হবে।

৬. মারকাজ প্রত্যেক তালিবুল ইলমকে অভিভাকদের প্রদত্ত আমানত মনে করে। তাই এই আমানত সুরক্ষায় মারকাজ সর্বদা আপ্রাণ সচেষ্ট থাকবে।

৭. সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং বিলাসিতামুক্ত সহজ সরল জীবন যাপন মারকাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *