শুধু ধর্ষকের মৃত্যুদন্ডই একমাত্র সমাধান নয়।
শুধু নারীর ঘরে থাকাই ধর্ষণরোধের একমাত্র উপায় নয়।
তবে ধর্ষণসহ যাবতীয় বর্বরতা, অশ্লীলতা আর অন্যায় রোধের একমাত্র উপায় হলো, শরীয়াহভিত্তিক সমাজব্যবস্থা।
.
শরীয়াহ কায়েম না হলে মেয়েরা যত প্যাকেট হয়েই থাকুক, ভাঁজের পর ভাঁজ দিয়ে নিজেকে ঢেকে রাখুক – রক্ষা করতে পারবে না। কারণ, বেপর্দা নারীদের দেখে দেখে পর্দানশীন নারীদের প্রতিও লোভী হয়ে ওঠে হায়েনার দল।
.
শরীয়াহ কায়েম না হলে একজন পুরুষ যতই নিজেকে সামলে চলতে চেষ্টা করুক, উন্মুক্ত নারীসৌন্দর্য তাকে ধোঁকায় ফেলতে পারার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
.
শরীয়াহ কায়েম না হলে যত শাস্তিই হোক, অন্যায়কে রোখা কঠিন! কারণ, একদিকে শাস্তির বিধান আর আরেকদিকে লোভনীয় আহ্বান – পদস্থলন তো সময়ের ব্যাপারমাত্র।
.
শরীয়াহ কায়েম না হলে বিধানের পর বিধান, বিধানের পর বিধান ঠাসা খাতাগুলো অফিস রুমের জায়গাই নষ্ট করবে, কিন্তু এই নীতিকথায় মোড়া কাগজের সামনেই অহরহ চলবে নীতিবিক্রির সওদা।
.
একটা শাম, একটা সিরিয়া, একটা ফিলিস্তিন, একটা কাশ্মীর কি একদিনেই তৈরি হয়েছে? না, এভাবেই ধীরে ধীরে – দেখেও না দেখতে দেখতে – বুঝেও না বুঝতে বুঝতে – সত্যকেও চাপা দিতে দিতেই তৈরি হয়েছে। সে পথে আমাদের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে, উম্মাহর ভাইয়েরা যদি এখনই নড়েচড়ে না বসে তবে আমরা সে সঙ্কুল যাত্রাপথের দুর্ভাগা যাত্রী হয়ে উঠবো, বোনেরা যদি সন্তানকে নেককার বানানোর সংকল্পে দৃঢ় না থাকে তবে আমরা শিঘ্রই বিশ্ব মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবো। শুধু রয়ে যাবে আসমানী আদালত আর আসমানী ফায়সালা! এ আদালতের উপরই আমাদের সার্বক্ষণিক ভরসা।
© মুনাদি হাফি.