প্রয়োজনে আবার শাপলা চত্বরে যাবো, আমীরে হেফাজত ডাক দিলে আবার শাপলা চত্বরে যেতে আপনারা প্রস্তুত আছেন তো?

প্রয়োজনে আবার শাপলা চত্বরে যাবো, আমীরে হেফাজত ডাক দিলে আবার শাপলা চত্বরে যেতে আপনারা প্রস্তুত আছেন তো?….
আচ্ছা ভাই থামেন থামেন, আবার শাপলা চত্বরে কেন যাবেন? কী আদায় করতে যাবেন? গতবার যা চাইতে গিয়ে মাননীয় কর্তৃক গনহত্যার স্বীকার হয়েছিলেন, তা ফের চাইতে গেলে কী সে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আবার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না! তাহলে কীভাবে আপনারা ফের শাপলার কথা বলছেন? আবার নির্বিচারে গুলি চালালে পালিয়ে আসা ছাড়া কী কোন উপায় থাকবে? ফের টুপি ফেলে বা কান ধরে পালালে কী মুসলিমদের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল হবে? এদেশে দীন প্রচারের পথ আরো মসৃন হয়ে যাবে? তাহলে কীসের আশায় ফের শাপলায় যাবার স্বপ্ন?!!!
মুমিন তো এক গর্তে দুইবার পা দেয় না, কিন্তু আমরা কেন এক গর্তে বারবার দংশিত হবার পরও সে গর্তেই পা ঢুকানোর জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকি। বিকল্প পথের কথা চিন্তাও করি না। আচ্ছা আমরা আমাদের নিজেদের সামর্থ্যের ব্যাপারে সঠিক ধারণা রাখি তো! আর রাখলে কতটুকু রাখি? আর প্রতিপক্ষের সামর্থ্যের ব্যাপারে?!!!
ঈমানী, আমলি, আসবাবের শক্তি অর্জন ব্যতিরেকে বাহ্যিক লম্ফঝম্প আমাদের জন্য ক্ষতিকর, এতে শত্রুকে হুশিয়ার করে দেয়া ও শত্রুকে প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ করে দেয়া এবং আমাদেরকে দমনের জন্য প্রতিপক্ষকে অনেকটা আহ্বান করা হয়। আমাদের মাহফিলে আবেগ আপ্লুত গগনবিদারী শ্লোগানে চেয়ে তালিবুল ইলমদের কিতাবুল মাগাজি ও আধুনিক বিশ্বের তথা একবিংশ শতাব্দীর জাহেলিয়াত সম্পর্কে প্রপার পাঠদান অনেক বেশি উপাদেয় ইনশাআল্লাহ, কিন্তু তা সিংহভাগ মাদ্রাসায় হচ্ছে না। আরও চাইলে মাদরাসায় ছাত্রদের প্রতিদিন ২০ মিনিট করে শরীরচর্চা বাধ্যতামূলক করুন, সপ্তাহে একদিন মার্শালাট শিক্ষার ব্যবস্থা করুন। হেফাজতের প্রতিটি বিভাগকে (শিক্ষা, প্রযুক্তি,সেবা ইত্যাদি) সক্রিয় ও গতিশীল করুন।
প্রকৃত নেতা সব সময় তার কর্মীদের জীবনের ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন, যুদ্ধের আগে সৈন্য হারানো কোন বুদ্ধিমান সেনাপতির কাজ নয়। কর্মীরা আবেগি হবে, অতি জযবাতি হবে এটা দোষণীয় নয়! তবে নেতারা প্রজ্ঞাবান না হয়ে আবেগী হওয়া অবশ্যই দোষনীয় ও ক্ষতিকর।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *