ফেইসবুক এমনিতেও নির্ভরকরার স্থান নয়, এখানে আসলে সবাই তো ভার্চুয়াল। তার ওপর আমরা চেষ্টা করি যাদের বাস্তব সুনিশ্চিত পরিচয় আছে তাদের ইলম থেকে উপকৃত হতে। কিন্তু সমস্যায় পড়েন বোনেরা।
.
এটা ঠিক আছে যে বোনদের উচিত আলেমাদের থেকে মাসাইল জেনে নেয়া কিন্তু ফেইসবুকে এটাই নিশ্চিত হওয়া কঠিন যে কে আলেমা আর কে নয়। যেহেতু তাদের পিক থাকে না(থাকার কারণও নাই), প্রাতিষ্ঠানিক সংযুক্তি থাকেনা, দাবি করলেও প্রমাণ করা যায় না ফলে যাচাই করা খুব মুশকিল হয়ে যায়।
.
মাঝে বেশ কিছু স্ক্যান্ডাল বের হল যে ছেলেরা মেয়ে সেজে টাকা উঠাচ্ছে মেয়েদের গ্রুপে আছে। একবার এক মেয়ে আমাকে নক করে জানাল যে সে মেয়েদের এক মাসাইলের গ্রুপে ছিল সেখানকার এক আপু নাকি তাকে প্রপোজ করেছে এবং জানিয়েছে যে সে মেয়ে না! সুবহান
আল্লাহ!
.
এই হচ্ছে অবস্থা। এজন্য ফেইসবুকে আপু, ক্বারী, ট্রেইনার,আলেমা ইত্যাদি দেখলেই খুব ট্রাস্ট করা উচিত হবেনা।
.
এখন ধরেন বোনেরা বিশ্বাস করে কোনো জালিয়াতকে দান করল এতে আপাত সমস্যা এজন্য নেই যে দান নিয়তের ওপর নির্ভরশীল তার সাওয়াব সে পেয়ে যাবে, আর জালিয়াত তার আযাব নিয়ে যাবে। কিন্তু মাসাইলের ব্যাপারটা কিন্তু ক্রিটিক্যাল।
.
কেননা ভুল মাস’আলা জানলে ইহ ও পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াই স্বাভাবিক। আমার এক উস্তাদ বলতেন ফেইসবুকে যত আলেমা হাফেযা আছে এর ৬০% ই গোয়েন্দা বিভাগের লোক ! এরা ফিশিং করে।
.
আর বাকি বিশাল একটা এমাউন্ট হচ্ছে ফেইক।
.
তাই বোনদের উচিত হবে লব্ধ প্রতিষ্ঠ আলিমদের থেকে মাসাইল জেনে আমল করা। সমস্যা হল উনারা থাকেন ব্যস্ত ফলে সেভাবে তাদেরকে পাওয়া যায় না। আসলে যারাই ফেবুতে মাসাইল দেন সবাই জানেন এখানে প্রশ্নের চাপ কত বেশি। কয়েকটা দারুল ইফতার কাজ একা আঞ্জাম দেয়া লাগে। প্রশ্নও বিভিন্ন ধরণের হয়। কাজেই তাঁদেরও দোষ দেয়া যায় না। তাঁরা সামর্থমত করছেন। আল্লাহ তাঁদের জাযায়ে খাইর দিন।
.
সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত উলামায়ে কিরাম থেকে যদি মাসাইল জানা না যায় তবে এলাকার ইমাম সাহেবের কাছে প্রশ্ন লিখে পাঠান আপনার মাহরামকে দিয়ে। যা উত্তর দেয় এর ওপর আমল করুন। এলাকার ইমাম সাহেবের কমতি থাকতে পারে, চাকচিক্য নাও থাকতে পারে কিন্তু বছরের পর বছর তিনি মাদ্রাসার ডাল খেয়ে মেঝেতে বসে ইলম অর্জন করেছেন, ইন শা আল্লাহ অধিকাংশ মাসাইল সঠিকই বলবেন।
.
আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে বিভিন্ন সমকালীন ফিতনা হতে হিফাযাত করুন-আমিন।
উস্তাদ মানজুরুল কারীম হাফি.