১. “বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অফিস চলার সময় জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মোবাইল ফোনের শব্দ বা মোবাইল ফোন বন্ধ রাখতে হবে। ইনস্টিটিউটের পুরুষদের টাকনুর ওপরে এবং মহিলাদের হিজাবসহ টাকনুর নিচে কাপড় পরতে হবে। একই সঙ্গে পর্দা মেনে চলারও নির্দেশ দেওয়া হয়।” (প্রথম আলো)
এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় ২৮শে অক্টোবর, ২০২০।
২. “বুধবারের বিজ্ঞপ্তির উল্লেখ করে মুহাম্মদ আব্দুর রহিম বলেছেন, ‘উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত সংবাদটির জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং সকলের কাছে এই অনিচ্ছাকৃত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং সেই সাথে গোটা জাতির কাছে বিনীতিভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং এই ধরনের ভুল হবে না বলে প্রতিজ্ঞা করছি।'” (প্রথম আলো)
ঠিক ১ দিনের মাথায় ২৯শে অক্টোবর পুনরায় পূর্বের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে ক্ষমা চাইলেন জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম।
এ থেকে আমরা দুটো শিক্ষা পেলাম।
১. যারা মনে করেন সিস্টেমের ভেতর ঢুকে সিস্টেম পরিবর্তন করবেন, ব্যাপারটা অতটা সহজ নয়। গুটিকয়েক ভালোমানুষ থাকলেও শেষ পর্যন্ত তারা আর পেরে উঠেন না। ফলে ইনস্টিটিউটের পরিচালকের মতো বড়ো পদে থেকেও ইসলামের পক্ষে যায়, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। বাকি নতুন জয়েন করা তরুণ অফিসারদের কথা বাদ-ই দিলাম।
২. নব্বই শতাংশ মুসলিম ধর্মাবলম্বীর দেশে বেইসিক পর্দা, টাকনুর উপরে কাপড় পরিধান ইত্যাদিতে যেসব মানুষের এলার্জি আছে, তারাই পিরামিডের উপরে বসে সব কিছু কন্ট্রোল করছে৷
বিচারপতি মানিক বলছে, এগুলো নাকি তালেবানি, জামাতি, কায়েদা নীতি।
……………………. একটি চিন্তা………………….
বাংলাদেশে একটা ইসলামিক দলও নেই যারা সত্যি ফ্রান্সের এম্বাসি ঘেরাও করবে। সবার শুধু ফটোশুট আর দল দেখাই উদ্দেশ্য।