মুসলিমদের মাঝে স্বতঃসিদ্ধ বিষয়গুলোতে সংশয় স্থাপন আজকাল ফ্যাশন হয়ে গেছে৷ যেসব বিষয়ে সেই আদ্দিকাল থেকেই কোনো সংশয় ছিল না তাতেও সংশয় তৈরি করা হয়েছে।
.
এর পেছনে কয়েকটা দল আছে।
.
১) ওরিয়েন্টালিস্ট: এই অভদ্রলোকগুলো অনেক অকাজ করেছে যার মাঝে একটা হল খুঁড়ে খুঁড়ে সব লুপ্ত ফিতনাকে ফিরিয়ে আনা। যেমন গোল্ডযিহার সেই ১৯ শতকে ইবন হাযম যাহিরিকে(রাহ.) নিয়ে কাজ করেছিল। এর পেছনে এটাও কারণ হতে পারে যে উনি যেসকল উদ্ভট বিষয় আবিষ্কার করেছিলেন সেগুলো যেন সামনে আনা যায়।
.
২) প্রভাবিত দল: ওরিয়েন্টালিস্ট প্রভাবিত দল অনেক রকম হতে পারে:
ক) ওরিয়েন্টালিস্টদের কথাকেই বেদবাক্য মনে করে চলে।
খ) ওদের প্রচারিত কাজগুলো দিয়ে প্রভাবিত
গ) আধুনিকতাবাদি দল
ঘ) সংস্কারবাদি দল,
.
এছাড়া আরেক পার্টি আছে যারা কলোনিয়ালিজম থেকে ডি-কলোনাইজ হতে কলোনিয়াল প্রভূদের প্রচারিত দর্শন আঁকড়ে সিউডো ডি কলোনাইজ হচ্ছে কিন্তু ভাবছে আমরা আসলে ডি কলোনাইজড।
.
ব্যাখ্যা করলে আরও পার্টি বের হবে সেসব থাক।
.
আরেক দল আছে একদম অজ্ঞ পার্টি। পেছনে হিডেন এজেন্ডা থাক বা না থাক এরা নতুন কিছু পেলেই প্রচার করে। পাবলিকও খায়।
.
তেমনই এক বক্তা প্রচার করেছে কুর’আন স্পর্শ করতে ওজু লাগে এটা নাকি কলকাতা আলিয়ার খৃষ্টান অধ্যাপকের বয়ান!
.
অথচ কুর’আন,হাদিস ও ইজমায়ে সাহাবায় এর অস্তিত্ব সাবলীল ও সুসংরক্ষিত।
.
ইসলামের সুন্দর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এতে সালাফদের মাঝে যেসব বিষয়ে ইখতিলাফ ছিল তাও বিভিন্ন কিতাবে সংরক্ষিত রয়েছে যেমন ইমাম তহাভির(রাহ.) মুখতাসারু ইখতিলাফিল উলামা ও অন্যান্য কিতাব।
.
কিন্তু আম মানুষ এসব জানেনা৷ তারা নতুন কিছু পেলেই খুশি হয়ে যায়৷ অবশ্য জ্ঞানী হিসেবে পরিচিত অনেক ব্যক্তিত্বও এসব কথা বলেছেন।যার পেছনে ক্রিয়াশীল হিসেবে ওরিয়ান্টালিস্ট প্রভাব বলয় আলোচিত হতে পারে।
.
হিদায়াতের ওপর থাকতে একটা সহজ কথা মনে রাখলে ইন শা আল্লাহ সুবিধা হবে: শরী’আতের যে কোনো বিষয় যা সালাফদের যুগ থেকে চলমান তাতে সালাফদের যুগেই ইখতিলাফ সমাধান হয়ে থাকলে ইখতিলাফের- নতুন মতের সুযোগ নেই, যদি তাদের ইজমা থেকে থাকে তাহলেও নতুন মতের- ইখতিলাফের সুযোগ নেই,আর যদি সেসময় ইখতিলাফ থেকে থাকে আর তা কোনো এক মাযহাব আমলে নিয়ে থাকে তাহলে ইলমী ইখতিলাফ হতে পারে।
.
সম্মানিত শাইখ ইমদাদুল হক (হাফি.) এ বিষয়ে একটা চমৎকার কিতাব রচনা করেছেন “কুরআন স্পর্শ করতে কি ওযু আবশ্যক নয়”৷ ১৩৬ পৃষ্ঠার কিতাবটা যথেষ্ট সমৃদ্ধ। সূচী দেখেই নিশ্চয় বুঝতে পারছেন৷ তিনি এতে মোট ২২৮ টি রেফারেন্স ব্যবহার করেছেন।
.
অবশ্য কিতাবের ইহদা খুব ভালো লেগেছে। এজন্য এরও পিক দিলাম।
.
কিতাবটি প্রকাশ করেছে উমেদ প্রকাশ৷ প্রকাশক Mohammad Hossain. বাংলাবাজারে পরিবেশক মাকতাবাতুন নূর।
.
অনলাইন পরিবেশক: ওয়াফিলাইফ,নিয়ামাহশপ.কম
.
মূল্য: ১৩০ টাকা।
.
আল্লাহ তা’আলা কিতাবটি কবুল করুন। সংশ্লিষ্ট সবার জন্য সাওয়াবে জারিয়ার মাধ্যম বানান,আখিরাতে নাজাতের মাধ্যম বানান।