আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ তায়ালা হলেন একক। তিনি আকার-আকৃতি থেকে মুক্ত। তিনি দেহ থেকে মুক্ত। বিভিন্ন অংশ একত্রিত হয়ে একটি কাঠামো লাভ করাকে তারকীব ও তা’লীফ বলে। আল্লাহ বিভিন্ন অংশে মিলিত গঠিত কাঠামো থেকেও মুক্ত।
ইমাম আবুল ফজল তামিমী রহ. এ বিষয়ে ইমাম আহমাদ রহ. এর আকিদা বর্ণনা করে লিখেছেন,
“যারা আল্লাহর জন্য দেহ সাব্যস্ত করে, ইমাম আহমাদ রহ. তাদের খন্ডন ও নিন্দা করতেন। তিনি বলেন, আল্লাহর নামগুলো শরীয়ত ও আরবী ভাষা থেকে গৃহীত। জিসম বা দেহ শব্দটিকে আরবী ভাষাবীদরা প্রতে্যক দৈঘর্্য-প্রস্থ, দিক, ‘আকার-আকৃতি বিশিষ্ট গঠন’, এবং বিভিন্ন অংশের দ্বারা গঠিত কাঠামোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকে। আল্লাহ তায়ালা এসব কিছু থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। এজন্য আল্লাহ তায়ালাকে দেহবিশিষ্ট বলা বৈধ নয়। কেননা জিসম বা দেহ বলতে যা বোঝায় আল্লাহ তায়ালা এর থেকে সম্পূণর্ মুক্ত….”
[ই’তিকাদুল ইমামিল মুনাব্বাল আবি আব্দিল্লাহ আহমাদ ইবনে হাম্বল, পৃ.৪৫]
এখানে ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিলেন, আল্লাহ তায়ালা আকার-আকৃতিবিশিষ্ট গঠন থেকে সম্পূণর্ মুক্ত। তিনি বলেছেন, জিসম বা দেহ শব্দটি দৈঘর্্য-প্রস্থ ও আকার-আকৃতি বিশিষ্ট গঠন বোঝায়। আর আল্লাহ তায়ালা এসব কিছু অথর্াৎ দৈঘ্যর্-প্রস্থ, আকার-আকৃতি বিশিষ্ট গঠন ও বিভিন্ন অংশের দ্বারা গঠিত অবকাঠামো থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বলের এ বক্তবে্য স্পষ্টভাবে আল্লাহর আকার-আকৃতিকে অস্বীকার করা হয়েছে।
কিছু লোক আছে, যারা আল্লাহর চেহারা থেকে তার আকার-আকৃতি প্রমাণ করে। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. এদেরকে বিদয়াতী বলেছেন।
তিনি বলেছেন, আল্লাহর চেহারা আল্লাহর দেহ, আকার-আকৃতি বা কোন গঠন নয়। যে আল্লাহর চেহারা বলতে দেহ, আকার-আকৃতি বা গঠন বোঝায় সে বিদয়াতে লিপ্ত হলো।
[ই’তিকাদুল ইমামিল মুনাব্বাল আবি আব্দিল্লাহ আহমাদ ইবনে হাম্বল, পৃ.১৭]
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. এর মতে এটি তার সিফাত বা গুণ ।
দু:খজনক বিষয় হলো, অনেক সালাফী ইমাম আহমাদের এসব কথা মানে না। বরং তারা আল্লাহর চেহারা থেকে যুক্তি দিয়ে আল্লাহর আকার প্রমাণ করে। নাউযুবিল্লাহ।
লিখেছেন শাইখ ইজহারুল ইসলাম