SHAMSUL AREFIN SHAKTI·THURSDAY, JULY 19, 2018
সাধারণত আমার ‘ছাইপাশ’ যারা পড়ে সময় নষ্ট করে থাকেন, তাদের অনেকেই আমাকে দোষারোপ করেন। আমি খালি তাবলীগের কথা টেনে আনি সব বিষয়ে। আমার আজকের যতটুকু না ইলম, তার চেয়ে বেশি ভাবনা আর সমন্বয়। এগুলোর বুনিয়াদ ‘দাওয়াত ও তাবলীগ’ এর প্রচলিত মেহনত-ই। এটা আমাকেও স্বীকার করেই লিখতে হবে, আর আমার বন্ধুদেরও এটা স্বীকার করেই পড়তে হবে। তাবলীগে মহিলাদের জামাআতে পুরুষরা মাইকে আলাদা ঘর থেকে নানান টপিকে আলোচনা করে। সকালে যা পুরুষরা আলোচনা করে দিয়ে যায়, সন্ধ্যায় সেটাই মহিলারা নিজেদের মাঝে আলোচনা করে আরেকটু ডিটেইলস, সবকিছু পুরুষদের উচ্চারণ করাও নিষেধ। একটা টপিক থাকে ‘সন্তানের তরবিয়ত (তারবিয়াহ) বা দীক্ষা’। সেখানে পুরুষরা কিছু কথা বলে, যা মহিলারা নিজেদের মধ্যে বিস্তারিত করে নেয়। আজ এই টপিকে ‘গর্ভাবস্থায় কী কী করণীয়’ আলোচিত হয় তা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছি। সাথে একটু কবিরাজিবিদ্যা যুক্ত করে দিয়েসি। আল্লাহ তাওফীকদাতা।
সন্তানের তারবিয়াহ জন্মের পরে না, বরং শুরু হয় জন্মের আগ থেকেই। গর্ভধারণেরও আগে থেকে। সন্তান কেমন হবে তা আল্লাহ নির্ধারিত তাকদীর, গায়েবের চাবি। তবে আমরা চেষ্টার জন্য জবাবদিহি করব, তাকদীরের জন্য না। তাই আমাদের চেষ্টা ও দুআর দ্বারা নেক সন্তান আসার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তাই—
১. প্রথমে নিয়ত করুনঃ
আমি নেক সন্তান চাই। এই সন্তান আমার চোখের প্রশান্তি শুধু না, এই সন্তান আমার আমল। আমার নেক আমলে জারিয়া। আমি দুনিয়ায় থাকব না, আমল করতে পারব না। কিন্তু আমার সন্তানের আমল আমার আমলনামায় যাবে। তাই বদকার সন্তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাই। আল্লাহওয়ালা, পরহেজগার, দীনের মুজাহিদ সন্তান চাইতে হবে। আয় আল্লাহ, আমি দীনের খিদমতের জন্য আপনার কাছে একটা সন্তান চাই, নিজের জন্য না। সন্তানকে জন্মের আগেই দীনের জন্য ওয়াকফ করে দিন। সন্তানকে আল্লাহর জিম্মায় দিয়ে দেন। আল্লাহ, নিজের জন্য চাইনি, আপনার দীনের জন্য চেয়েছি। অতএব আপনি সুস্থ-সবল-নিখুঁত-মেধাবী সন্তান দেন যে দীনের সাহায্যকারী হবে। আর জীবনভর তাকে সুস্থ-সবল রাখেন যেন সে দীনের খিদমত করতে পারে।
এক নিয়তেই কতকিছু ফয়সালা করিয়ে নিলেন, দেখেন। মুমিন হবে আখিরাতের ব্যাপারে চালাক। হি হি। এক দুআয় অনেক পাখি মেরে ফেলতে হবে। ইমরানের স্ত্রী দুআ করছেনঃ আল্লাহ আমার গর্ভে যা আছে তা আপনার জন্য দিয়ে দিলাম। গর্ভে থাকা অবস্থায়ই নিয়ত করে ফেলেছেন।
অনেকে নিয়ত করার আগেই আল্লাহ দিয়ে দেন। এটা আল্লাহ দিয়েছেন আপনাকে, কত মানুষ চেয়ে চেয়ে পায় না। কোল সারাজীবন খালি থাকে। আর আপনাকে আল্লাহ না চাইতেই দিচ্ছেন। অসন্তুষ্ট হবেন না, নিয়ামতের না-শোকরি, না-কদরি করবেন না। সে তার রিযিক নিয়েই দুনিয়াতে আসছে, ও নিয়ে আপনার টেনশান করতে হবে না। আর্লি বিয়ের আন্দোলনে দেখা যায় ছাত্র থাকা অবস্থায়ই অনেকের কবুলিয়ত হয়ে যায়। ভুলেও এবোরশানের চিন্তা করবেন না। নিয়ামতের কদর না করলে নিয়ামত উঠিয়ে নিতে পারেন রাব্বি। আর নিয়ামতের অনুপস্থিতিকেই তো আযাব বলে, রাইট?
২. জীবনযাত্রা পরিবর্তন করুনঃ
শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর কোয়ালিটি বাড়াতে আপনাদের দুজনের জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে।
– ধূমপান ও অন্যান্য গুনাহ ত্যাগ করুন
– রাত জাগার অভ্যাস ত্যাগ করুন দুজনাই
– প্রচুর পানি ও ফলমূল খান দুজনাই
– পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান, গর্ভাবস্থায় দিনেও ২ ঘন্টা ঘুমান।
– টেনশন দূর করেন, এত টেনশন কীসির জন্যি। দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী। আপনার টেনশনের কারণটা তো আরো ক্ষণস্থায়ী।
৩. আদব-সুন্নাত বজায় রেখে ‘একসাথে’ থাকুনঃ
ওপেন নোটে সব কথা লেখা যাচ্ছে না। ‘দাম্পত্যঃ পার্ট ২’- তে বিস্তারিত লেখা আছে। ‘একসাথে’ থাকার দুআ থেকে নিয়ে আদবগুলো খেয়াল রাখুন।
৪. গুনাহ থেকে বাঁচুনঃ
আমাদের সব কর্মকাণ্ডের প্রভাব আছে আমাদের শরীরে। মানসিক চিন্তাপ্রবাহের সামষ্টিক (Cumulative) বা তাৎক্ষণিক (Immediate) ইফেক্ট পড়ে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের উপর, হরমোনের উপর, রক্তচাপের উপর। বিষয়টা আরও স্পষ্ট হবে যদি খেয়াল করেন হঠাৎ উত্তেজনায় রক্তচাপ বাড়ে। অধিক টেনশনে পাকস্থলীর এসিড তৈরি বাড়ে। আর ভয়ে-তাড়াহুড়োয় ‘এড্রেনালিন রাশ’ এর কথা তো সবাই জানেন, এই এড্রেনালিন আবার কোন কোন অঙ্গে কী কী করে, সেগুলো বলতে গেলেই কাম সেরেচে। এজন্য—
· টিভি দেখা বাদ দিন। টিভি থেকে নির্গত রশ্মি, বার বার দৃশ্য/ফ্রেম পরিবর্তন, রশ্মির তীব্রতার দ্রুত পরিবর্তন এগুলোর স্পষ্ট প্রভাব আছে মস্তিষ্ক-চোখ-রক্তচাপের উপর। এবং ইভেনচুয়ালি পেটের সন্তানের উপর। একই কথা মোবাইল ব্রাউজিং-এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
· দুর্ব্যবহার, রাগ, উত্তেজনা পরিহার করুন। গর্ভে ৫ মাসে সন্তান শ্রবণ ক্ষমতা পায়। তখন গান-মিউজিক-রাগারাগি-কটূবাক্য-গালিগালাজ সেও শুনতে পায়, এগুলোর প্রভাব পড়ে।
· নজর সত্য। বিস্তারিত ‘কষ্টিপাথর’ বইয়ে আছে। পাশ্চাত্য বিজ্ঞান এখন স্বীকারের পথে। কোষের ভিতরে যে ‘৪র্থ দশার পানি’ আছে, তার ধর্ম পরিবর্তন হয় দৃষ্টি, আবেগ, শ্রবণ, চিন্তার দ্বারা। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বার বার ঘুরে ফিরে পেট দেখার কি দরকার? গর্ভাবস্থা দৃশ্যমান (পেট বড় হলে) হলে জনসমক্ষে কম যাওয়া চাই। নজর থেকে বাঁচার যে আমলগুলো আছে সেগুলো করুন।
– সকাল সন্ধ্যা মনজিলের আয়াতগুলো
– প্রতি নামাযের শেষে তিন কুল, ফজর ও মাগরিবের শেষে ৩ বার তিন কুল।
– প্রশংসা করলে বা শুনলে মাশা-আল্লাহ বলা, বারাকাল্লাহ বলা।
– নজরের গোসল আছে। শিখে নিন।
· পেটে বাচ্চা আসলে ঘরে কিউট কিউট ইংরেজ বেবীদের ছবি টাঙ্গায়ে রাখা, পুতুলটুতুল কিনে শুয়ে থাকা। এগুলা কি? ইংরেজদের মত বেহায়া আর পুতুলের মত নিষ্ক্রিয় নিস্তেজ সন্তান চাচ্ছেন নাকি? রহমতের ফেরেশতাই তো চান না ঘরে,মানে রহমতেরই দরকার নেই। রহমতের বিপরীত শব্দ আজাব। সন্তানও পরে আজাবই টেনে আনবে, দুনিয়াতেও। আল্লাহ যেন সন্তানের কারণে বেইজ্জত হওয়া থেকে আমাদের হেফাজত করেন।
৫. নেক আমল করুনঃ
ভালো কাজেরও প্রভাব আছে নিজ শরীরে এবং বাচ্চার উপর। নামাযের পর, দুআয় কান্নাকাটির পর যে ফ্রেশ ভাব, এটাও দৈহিক নিউরোহরমোনগত বিষয়। তাই—
· বেশি বেশি নফল পড়ুন। অনেক বাচ্চা উলটা থাকে। বেশি বেশি সিজদা করার দ্বারা পজিশন ঠিক হয়। রেফারেন্স- শাশুড়ি আম্মা।
- কুরআন তিলওয়াত করুনঃ
শরীরের উপর কুরআনের কী প্রভাব জানতে ‘কষ্টিপাথর’ দেখুন। কুরআন মনে মনে না পড়ে একটু আওয়াজে বাবুকে শুনিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন। আগেকার মাশায়েখগণ মায়ের পেট থেকেই দু’-দশ পারা হিফজ করে বের হতেন শোনা যায়। আমাদের অত না হলেও চলবে, নেককার হলেই হবে আপাতত। মায়ের আমল যেমন হবে, সন্তান তেমন হবারই আশা করা যায়।
– ছেলের ক্ষেত্রে সূরা ইউসুফ, আর মেয়ের ক্ষেত্রে সূরা মারইয়াম, সুন্দর আখলাকে র জন্য সুরা মুহাম্মদ পড়ার প্রচলন আছে। দলিল নাই, তবে ইফেক্ট তো অবশ্যই আছে। বাকি আল্লাহ জানেন।
– রোজানা ওজীফার সূরাগুলো (ইয়াসীন, মুলক, সাজদাহ, রাহমান) আদায়ের অভ্যাস করুন। বলা হয়, সূরা মুদ্দাসসির পড়লে প্রসবযন্ত্রণা কমে। আর প্রসব চলাকালীন সূরা ইয়াসীন (হাদিসে এসেছে মৃত্যুযন্ত্রণার কথা, যন্ত্রণাই তো)।
– সকাল সন্ধ্যা মনজিলের আয়াতগুলোর আমল চলুক।
- দুআঃ
– সূরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াত
– সূরা আহকাফের ১৫ নং আয়াত
– সূরা ইবরাহীমের ৪০ নং আয়াত
– সদকা করে করে দুয়া করা চাই।
- ভালো চিন্তা করুনঃ
আমার স্পষ্ট মনে আছে। ছোটখালার বড় মেয়েটা যখন আড়াই বছর বয়সে মারা যায়, তখন খালার গর্ভে আরেকটা মেয়ে। তো খালামণি পুরো চিন্তাচেতনা জুড়ে সদ্যমৃতা বাচ্চাটার স্মৃতি। পরের মেয়েটা যখন হল, হুবহু আগের মেয়েটার চেহারা, আপেলের কাটা আধখানা। মায়ের চিন্তাপ্রবাহের প্রভাব অবশ্যই গর্ভের শিশুর উপর পরে। এজন্য—
– ভালো চিন্তা করুন। জি বাংলা/স্টার জলসা জাতীয় চিন্তাভাবনা একদম নিষেধ।
– ভালো অডিও লেকচার শুনুন।
– কুরআন তিলওয়াত শুনুন।
– হায়াতুস সাহাবাহ পড়ুন ও সাহাবাদের জীবন নিয়ে ভাবুন।
– দীনী কিতাবপত্র পড়ুন।
– আল্লাহর সৃষ্টি ও সিফাত নিয়ে ভাবুন ও দাওয়াত দিন। এগুলো বলুন, আশপাশের লোকেদের সাথে এগুলো আলোচনা করুন। আপনার বাবু কিন্তু শুনছে আপনি যা বলছেন। মাইন্ড ইট।
– গীবত গাইলে তাও শুনছে। তেমনই গড়ে উঠছে।
- সুন্নাহ মেনে চলুনঃ
প্রয়োজনীয় কাজে সুন্নাহ খেয়াল করুন।
– ঘুম-খাওয়া-ইস্তিঞ্জা-গোসল সব কাজে সুন্নাতের গুরুত্ব দিন।
– সব কাজের সাথে সুন্নাত দুআ পড়ুন। একদম সহজ ছোট ছোট দুআ।
– ওজুর সাথে থাকার অভ্যাস করুন। অজুর সাথে থাকার মজা হল, চট করে যখন তখন দু’রাকাত নামায পড়ে ফেলা যায়, দু’পাতা কুরআন পড়ে ফেলা যায়। তবে কষ্ট করে জোর করে ওজু ধরে রাখবেন না। হাদিসেও নিষেধ আছে, জোর করে ওযু ধরে রাখার চেষ্টা করার, শরীরের জন্যও খারাপ।
৬. খাবারদাবারঃ
· খাবার বলতে আমরা যা যা বুঝি সব খাবেন। কোন নিষেধ নাই। যে খাবারে আপনার নিজের এলার্জি, সেটা কম খাবেন। মনে রাখবেন, যে খাবারের সাথে আপনি বাচ্চাকে অপরিচিত রাখবেন, সেটার প্রতি বাচ্চার এলার্জি থাকার সম্ভাবনা আছে। বাচ্চাকে সব ধরনের খাবারের সাথে পরিচয় করাতে হবে। জন্মের আগেও, পরেও।
· প্রতি বেলায় দেড়জনের খাবার খেতে হবে। জোর করে একটু বেশি খাবেন। এই একটু বেশিটুকু ছোটমিঞার জন্য। এটা দুধপানের সময়েও চলবে।
· ৮-১০ গেলাস পানি, একগ্লাস দুধ, ১/২ টা ডিম যেন পেত্তেকদিন থাকে। যদি খেতে না পারেন তবে ভাত কম খান। ভাত কম খেয়ে থালা ভরে শাকসবজি, ডিম, দুধ, মাছ, গোশত, চুমুক দিয়ে গ্লাসে ভরে ডাল খান।
· এসময় মেয়েদের ভয়ংকর সব জিনিস খেতে ইচ্ছে করে। ছাই-মাটি খাওয়ার ঘটনাও শোনা যায়। যা মনে চায় বড়মিঞাকে দিয়ে আনিয়ে খাবেন। তবে আচার-চটপটি-ফুচকা এগুলা বাসায় বানিয়ে খেলে ভালো হয়। বাইরেরটা খেলে পেট খারাপ করবে। তবে মাটি খাওয়ার দরকার নেই। অখাদ্য কুখাদ্য খাবার ইচ্ছাকে দমন করুন।
· প্রথম এক-দুই মাস খুব বমি বমি লাগে, খাওয়ার রুচি থাকে না। ডাক্তারের পরামর্শ মত ওষুধ খাবেন। দোকান থেকে পরামর্শ নিয়ে খাবেন না। এসময় ভাত কম খেয়ে আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খাবেন। প্রথম তিনমাসেই বাচ্চার যা গঠন হবার, হয়ে যায়। এরপর শুধু সাইজে বাড়ে। তাই এসময়ে যেন প্রোটিন সাপ্লাই কম না পড়ে।
· বাসায় মিষ্টি জাতীয় খাবার বানিয়ে রাখবেন। বাচ্চা যখন আকারে বড় হবে তখন আপনার রক্ত থেকে গ্লুকোজ টেনে নিবে। ফলে আপনার গ্লুকোজ শর্ট পড়বে। তাই মাথা হালকা হয়ে যাওয়া, ঘুরানো, ব্যথা করা এমন হতে পারে। বুঝবেন গ্লুকোজে টান পড়েছে। সাথে সাথে ফ্রিজ থেকে বের করে খেয়ে নিবেন মিষ্টি/সেমাই/পায়েস/বিস্কুট/শরবত। হয়ে গেলো।
· ৪র্থ মাস থেকে ১টা আয়রন ফলিক এসিড ট্যাবলেট, আর ১টা ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া শুরু করতে হবে। দুধ খেতে না পারলে দিনে ২টা ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট। ভরাপেটে এবং আয়রন একবেলায়, ক্যালসিয়াম আরেকবেলায়। দুটো কখনোই একবেলায় খাবেন না।
· আর গর্ভাবস্থায় সব ওষুধ খাওয়াও যায় না। তাই সামান্য সামান্য অসুখে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশান ছাড়াই দোকান থেকে ওষুধ নিয়ে খেয়ে নিলাম, এটা করা যাবে না। অনেক ওষুধ আছে, জন্মগত ত্রুটি হতে পারে, এটাও তাকদীর। তবে আমরা সতর্ক থাকব। তাই সামান্য জ্বর-ঠান্ডা-সামান্য কাশি এসব যতটুকু পারা যায় সহ্য করতে আমি উৎসাহ দিই। একেবারেই না পারলে তখন ওষুধ খাবেন, এবং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে।
৭. অন্যান্য সতর্কতাঃ
· নর্মালি ৪ মাস, ৭ মাস, ৮ মাস ও ৯ মাস— এই ৪ বার ডাক্তারের কাছে যাবার কথা। কোন সমস্যা মনে না হলে ৪ মাস আর ৯ মাসে গেলেও সই। সমস্যার মধ্যে রক্ত কম আছে কি না, প্রেসার বেশি আছে কি না। গর্ভকালীন একটা টেম্পোরারি ডায়বেটিস হয়, সেটা আছে কি না। এসব সমস্যা থাকলে ৪ বারই যেতে হবে।
· ভারী কাজ করবেন না/ করতে দিবেন না। পেটের উপর চাপ দিয়ে করতে হয় এমন কাজ করবেন না। টিউবওয়েল চাপা, ভারী কিছু উঠানো বালতি টালতি, ভারী কাপড় ধোয়া। আমি ভুক্তভোগী, এত সতর্ক থাকার পরও কী জানি উঠিয়েছে, আর অমনি বাচ্চার পানি সব বেরিয়ে গেছে… সিজার।
· টিটেনাস টিকার ডোজ ৫ টা। ১৫ বছর বয়েস, তার ২৮ দিন পর, তার ৬ মাস পর, তার ১ বছর পর, তার আরেক বছর পর। আগেই নেয়া থাকলে গর্ভাবস্থায় আর নেয়ার দরকার নেই।
· ডেলিভারির সময় এগিয়ে এলে ৫টা বিপদ চিহ্ন আছে। সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে দৌড়—
– রক্তস্রাব ডেলিভারির রাস্তা দিয়ে
– মাথাব্যথা ও ঝাপসা দেখা
– ভীষণ জ্বর ও দুর্গন্ধ স্রাব
– খিঁচুনি
– প্রসব ব্যথা বেশি সময় ধরে থাকা।
· বাথরুম। পিছলা বাথরুমে আছাড় খাওয়ার পোচুর সম্ভাবনা। উড়ে উড়ে বাথরুমে ঢুকবেন না। পা টিপে টিপে ঢুকবেন। আর স্বামী বাবুরা বাথরুমের স্যান্ডেল চেঞ্জ করে নতুন স্যান্ডেল দেন। তলা খুব খসখসে দেখে স্যান্ডেল কিনে দেন বাথরুমের জন্য। আম-ছালা দুটোই আমাদের লাগবে, কোনোটাই হারানো যাবেনা।
· গর্ভাবস্থায় ‘একসাথে’ থাকা যাবে, তবে নিয়ম দেখে নিন ‘দাম্পত্য ২’-তে।
· এসময় মেয়েদের ইমোশন বদলে যায়, হরমোনের কারণে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, কারণ ছাড়াই স্বামীকে সহ্য হয় না, এধরনের নানান আজিব আজিব ফিলিংস হতে পারে। এটা আপনাকে বুঝতে হবে, স্বামী সাহেব। এগুলো সে ইচ্ছে করে করছে না। হরমোনগত পরিবর্তনের ফলে এটা হচ্ছে, আবার ঠিক হয়ে যাবে। আপনি রেগে গিয়ে চোটপাট করেন না। বিশেষ করে প্রথমবার গর্ভধারণে এটা বেশি দেখা যায়। শাশুড়ি-ননদদেরও বুঝাবেন স্বামীসাহেব। এই মেজাজ চড়া এটা ঠিক হয়ে যাবে, কেউ যেন রিএক্ট না করে তার আচরণে।
· এটা মেয়েদের জন্য একটা নতুন অভিজ্ঞতা। আপনি নিজেই চিন্তা করেন, আপনার পেটের ভিতর আরেকটা জীব নড়েচড়ে, বড় হচ্ছে। কেমন লাগবে? তারপর শরীরে এতো পরিবর্তন নড়াচড়ায় কষ্ট, শুলে দম নিতে কষ্ট, পেট এতো বড়, খেতে ভালো লাগে না, বমি আসে, মেজাজ ভালো না, ঘুম হয় না। কত সমস্যা। যে মেয়েটা দু’দিন আগেও বান্ধবীদের সাথে উড়ে বেড়াতো, বিয়ের পর আপনার সাথেও উড়ে বেড়িয়েছে, আজ সে নড়তেই পারে না। এমন সময়ে তার আপনাকে দরকার। আপনি একটু মাথায় হাত বুলিয়ে বুকে টেনে নিলেই তার কলিজাটা এত বড় হয়ে যায়, সাহস বেড়ে যায়, টেনশান দূর হয়ে যায়। তার জন্য এটা ওটা এনে দিলে কত খুশি হয়। তাকে হাসিখুশি রাখুন। আগের চেয়ে একঘণ্টা বেশি সময় দিন। বাচ্চার জন্য ছোট ছোট কাপড়-মশারি হাবিজাবি কিনুন। সে যেন এই বিপদে নিজেকে একা না ভাবে।
· যদিও আমাদের দেশে মেয়েরা এসময় নাইওর যায়। আমার সেটা হয়নি। আমার স্ত্রীকে আমার বাসাতেই থাকতে হয়েছে। আমার আম্মাকে আল্লাহ তাঁর নিকটে আসিয়া রা. এর পাশে একটা ঘর দান করুন। নাইওর পাঠালেও আপনার অভাব তার কাছে সারা দুনিয়াও পূরণ করতে পারবে না। আপনি নিজে যেয়ে যেয়ে সময় দেন যতটুকু সম্ভব।
৮. প্রসবকালঃ
· প্রসবযন্ত্রণা বুঝানোর জন্য বলা হয়, কারো শরীরের সবগুলো হাড় একসাথে ভেঙে গেলে যেমন ব্যথা হয় এটা তেমন ব্যথা। আমাদের এক স্যার বলতেন ছেলেদের বুঝাতে, পুরুষের অণ্ডখলি যদি টেনে মাথার উপর নেয়া হয়, তাহলে যে কষ্ট, তা প্রসবব্যথার সাথে তুলনীয় কিছুটা। এতো অশ্লীল কথা বলতাম না, বুঝানোর জন্য বললাম। নিজ স্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ হোন। আপনার সামনে দু’দিন পর যে খরগোশের বাচ্চাটা খেলে বেড়াবে, আপনার চক্ষু শীতল করবে, সে আপনার স্ত্রীর অমানুষিক কুরবানির ভিতর দিয়ে এসেছে। আপনার এই আনন্দের পিছনে তার অবর্ণনীয় যন্ত্রণা আছে। এই কষ্টের কারণে আল্লাহ তার মাকাম কোন পর্যায়ে নিয়েছেন, আমাদের ধারণার বাইরে।
· বোনেরা, গর্ভধারণ একটা আমল। ভিতরের মানুষটাও একটা আমল। গর্ভধারণ ও প্রসবে যত কষ্ট সব আপনি মিযানের পাল্লায় পাবেন ইনশাআল্লাহ যদি আল্লাহর জন্য হয়। মুমিনের কষ্টের বদলে তার পদমর্যাদা বাড়ে। হাদিসে এসেছে, মুমিনের যদি মাথাব্যথা-জ্বর বা পায়ে কাঁটাও ফুটে তার গুনাহ মাফ হয়। আর সুস্থ হলে যেন সে মায়ের পেট থেকে ভূমিষ্ঠ হল নিষ্পাপ হয়ে। তাই এই সব কষ্টকে আল্লাহর অনুগ্রহ মনে করা চাই। এমনও পেয়েছি, তাহকীক জানি না। প্রসবকালে মৃত্যু হলে ঐ নারী শহীদের মর্যাদা পান। এতবড় একটা বিষয়কে আমরা কত হালকা মনে করি। আল্লাহর দিকে রুজু থাকুন, যিকিরে জিহবাকে সিক্ত রাখুন। সূরা ইয়াসীন মুখস্ত থাকলে পড়তে থাকুন। কালিমা আর ইস্তিগফার পড়তে থাকুন।
· সব সরকারি হাসপাতালে নর্মাল ডেলিভারির ব্যবস্থা আছে। তাই ক্লিনিকে না গিয়ে সরকারি হাসপাতালে নার্সদের দ্বারা ডেলিভারির চেষ্টা করবেন। আর বাচ্চার পজিশন ঠিক থাকলে, বিপদ চিহ্নগুলো না থাকলে প্রশিক্ষিত দাঈমা পাওয়া যায়, তাকে দিয়েও করাতে পারেন বাসার সেটআপে। নর্মাল ডেলিভারির জন্য দুআ করতে হবে। তবে প্রয়োজনে সিজার করানো দোষের না, এটাও তাকদীর। আর সিজার করলেই বাচ্চা কম নিতে (?) হবে তা কে বলেছে? আমার এক ডাক্তার বড়ভাই মাশা-আল্লাহ সিজার করেই ৪ টা। আমিও নিয়ত করেছি। পয়লাটা সিজার তো কি হয়েছে, পরেরটা নর্মালও হতে পারে। এটাও ভুল ধারণা যে একটা সিজার করলে মনে হয় পরেরটাও সিজার করাতে হয়। তবে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা নর্মালেরই চেষ্টা করব, তবে এমন সেটআপে নর্মাল করাবো, যাতে প্রয়োজন হলে চট করে সিজারও করানো যায়।
৯. প্রসব পরবর্তী করনীয়ঃ
· ডান কানে আজান, বাম কানে ইকামাত দিন। চিৎকার করে দেবেন না, আস্তে আস্তে ফিস ফিস করে দিন। বাচ্চাকে শোনানো উদ্দেশ্য, সবাইকে না।
· সেলফি তুলবেন না, নজর লাগানোর সুযোগ রাখবেন না। কেউ তুলতে চাইলে বারণ করুন, কঠোর হোন।
· বাচ্চাকে মায়ের কাছে রাখুন। পেটের ভিতরে ৩৬° সেলসিয়াসে আরামে ছিল। বাইরে ধরেন ৩০°। এটাই ওর জন্য ঠাণ্ডা। বাইরে সবাই ওকে লোফালুফি না করে ভিতরে মায়ের কাছে দিন। মায়ের শরীরে লেপ্টে রাখুন। বেশি করে কাপড়চোপড় দিয়ে পেঁচিয়ে রাখুন।
· যত বেশি কোলে নেয়া হবে ততই ইনফেকশান হবার চান্স বেড়ে যাবে। না আর দাদী-নানী ছাড়া বাকিদের আপাতত নেবার দরকার নেই। আর এখন কোলে টোলে নিয়ে মজাও নেই, এইটুকু একটা মানুষ, তার কি কোলে নেবেন। বড় হোক, গোশতটোশত লাগুক, তখন খুব নেয়া যাবে। এখন সবাই যেন কম কম নেয়।
· আর কোলে নেবার আগে হ্যান্ডওয়াশের ব্যবস্থা রাখবেন। হাত ধুয়ে কোলে নেবে। পায়খানা পরিষ্কার করে হাত ধুয়ে কোলে নেবে।
· খেজুর ধুয়ে দুএকটা হালকা চিবান দিয়ে বাচ্চার মুখে ধরেন। ও নিজেই চুষবে। পুরাটা বা কোন অংশ মুখের ভেতর যেন না যায়, জাস্ট চুষবে। বা একটু মধুপানি ৪/৫ চামচ দিয়ে তাহনীক করাতে পারেন। ডাক্তাররা যেন না দেখে। এটা আধুনিক রিসার্চ, সবাই জানেও না। ‘কষ্টিপাথর’ বইয়ে বিস্তারিত আছে, চান্সে বিজ্ঞাপন দিয়ে নিলেম।
· যত দ্রুত সম্ভব শালদুধ খাওয়াতে হবে। তাহনীক হয়ে গেলে আর কিছু দেবার দরকার নেই। ওর পেটে যত ক্ষুধা থাকবে, তত ও টানবে, তত দুধ নামবে। আজেবাজে কৌটার দুধ বা বেশি মধুপানি খাওয়ায়ে ক্ষুধা নষ্ট করবেন না। ওর পেট ভরা থাকলে ও কিন্তু টানবে না, দুধও নামবে না। সিজারের ক্ষেত্রে স্ট্রেসের কারণে/ এনেস্থেশিয়ার কারণে দুধ নামতে দেরি হতে পারে। হায়, হায় আমার বাচ্চা এতক্ষণ না খেয়ে আছে, এত মায়া করার দরকার নেই। বেশি দেরি হলে ডাক্তারের পরামর্শে গ্লুকোজ দিতে পারেন, তবে পেট ভরে না। মাইন্ড ইট, ক্ষুধা রাখতে হবে।
· নাভিটার যত্ন নিতে হবে।
· মাকে দিনে খেতে হবে পাঁচ বেলা। যে খাবারগুলো খেলে বাচ্চার খাবার উৎপাদন বেশি হয়—
– ভাত
– প্লেট ভরে ভরে নিরামিষ খাবেন। কয়েকপদের সবজি দিয়ে নিরামিষ রান্না করবেন।
– তরমুজ
– আম ও অন্যান্য ফলমূল
– নিজেও এক গেলাস করে দুধ খাবেন
– প্রচুর পানি। বাচ্চাকে খাওয়ানোর আগে দুই গেলাস পানি খেয়ে নেবেন ১০ মিনিট আগে। বাচ্চা খেয়ে শেষ করতে পারবে না।
– শুধু ডাল খাবেন চুমুক দিয়ে।
· দিনে ৮-১০ বার পেশাব করলে ধরে নেবেন বাচ্চার খাওয়া ঠিক আছে। যথেষ্ট পরিমাণে পাচ্ছে। দুধপান করানোর নিয়ম আছে। শেষে একটা ছবি দিয়েছি। বুঝে নিন। ওযুর সাথে দুধপান করানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। ডান পাশ থেকে শুরু করার অভ্যাস করা ভালো। বাম পাশ খাওয়াতে চাইলেও শুরু হোক ডান থেকেই। একটু মুখে ধরেই অন্যপাশে নিয়ে গেলেন। নেককার বানানোর কোন চেষ্টাই বাদ রাখা যাবে না।
· টেনে খাওয়া কিন্তু কষ্ট, আর ফিডার খাওয়া আরাম। ফিডারে বাইরের দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস করলে কিন্তু ও আর টেনে বুকের দুধ খাওয়ার কষ্টটা করতে চাইবে না। আর ও না খেতে খেতে দুধের পরিমাণও কমতে থাকবে। একটা সময় আর থাকবেই না। তাই ফিডার শুরু করুন ৬ মাস পর। বুকের দুধ না খাওয়ালে পরিণত বয়সে সন্তানটা নানা আধিব্যাধিতে জর্জরিত হয়ে পড়বে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাকে বুকের দুধ খাওয়াতে কোন অজুহাতকে প্রশ্রয় দেবেন না।
· বাচ্চাদের শরীর আমাদের চেয়ে একটু গরমই থাকে। কোষগুলো দ্রুত বিভাজন হয়। কোষে মেটাবলিজম মানে কর্মকাণ্ড বেশি হয়, তাপ বেশি উৎপাদন হয়। এটাকে জ্বর ভেবে ডাক্তারের কাছে দৌড়াদৌড়ি করবেন না। দোকানীরা তো আরও খারাপ, ওষুধ বেচলেই লাভ। এন্টিবায়োটিক বেহুদা দিয়ে দেবে। আপনার সোনামনির নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হবার সুযোগ দিন। জ্বর মনে হলে মাপান। ১০০ এর উপরে থাকলে নাপা ড্রপ ছাড়া আর কিছু দেয়ার দরকার নেই। ১০২ এর বেশি হলে ডুশ দিবেন ডাক্তারের পরামর্শ মত। যদি এরপরও না কমে তাহলে এন্টিবায়োটিকের কথা ভাববেন। হ্যাঁ, ডাক্তার লিখে দেবে, কিন্তু আপনি খাওয়াবেন যেদিন জ্বরের বয়স হবে ৩ দিন। এই তিন দিন আপনার কাজ শুধু জ্বর কমিয়ে রাখা। আর ও নিজে নিজে ফাইট করবে, ফাইট করা শিখবে। তবে যদি জ্বর কমার কোন লক্ষণই নেই মনে হয়, তাহলে এন্টিবায়োটিক শুরু করা যেতে পারে। আর ৩ দিন পরেও যদি জ্বর আসে, তাহলে শুরু করে দিন।
· সামান্য সর্দি-কাশিতে সরিষার তেল মাখিয়ে ভোরের নরম রোদে ফেলে রাখুন। এতো মায়ার কিছু নেই। আমাদের বাপদাদাদের এতো ওষুধ খেতে হয়নি। বেশির থেকে বেশি এন্টি হিস্টামিন (হিস্টাসিন সিরাপ)জাতীয় ওষুধ দেয়া যেতে পারে। তবে কয়েকদিনেও সারার লক্ষণ না পেলে বা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে (ঘড় ঘড় শব্দ) মনে হলে দ্রুত হাসপাতালে আনুন।
· জন্মের পর পরই একটা জন্ডিস হয়। স্বাভাবিক বিষয়, আতংকে চিৎকার করবেন না। রোদে ফেলে রাখলে এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়।
· ৭ম দিনেই আকীকা করুন। নিজে জবাই করুন। আর নিয়ত করুন, আল্লাহ আমার সন্তানেরর সব বালা-মুসিবতকে জবাই করে দিলাম। গরীবকে শরীক করুন, বরকত হবে। চুল মুন্ডিয়ে সমপরিমাণ রূপার দাম আন্দাজ করে সদকা করুন।
আজ এতটুকুই। যাচ্ছি কিন্তু যাচ্ছি না। আবার দেখা হবে অন্য কোথাও, অন্য কোন বিষয়ে, অন্য কোন সময় ইনশাআল্লাহ। আমার লাগি একটু দুআ কইরেন গো আপনেরা, আমার ‘রাইটার্স ব্লক’ চলছে। ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ২’ আগাচ্ছে না। আল্লাহ যেন এগুলার উসীলায় আমার গুনাহ মাফ করেন। আমাদের সবাইকে আল্লাহ মাফ করুন। আমরা জালেম, উনিই একমাত্র পবিত্র। লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নী কুন্তু মিনায যোয়ালিমীন।
আমার মনে হয় না এগুলোর দলিল আছে। তবে কুরআনের আয়াতের প্রভাব তো ডেফিনিটলি আছে। কুরআনের আয়াতের সরাসরি প্রভাব অস্বীকার করার সুযোগ নেই কিন্তু। আর এগুলো আমল করলে গুনাহ হবার সম্ভাবনা আমার মনে হয় কমই। বরং উপকার পাবার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে হয়।
বুকে নিতে না পারার জন্য বাচ্চা অনেকসময় দুধ পায় না। নতুন মা’দের জানার আছে।
খাবারের চার্ট। কাজে লাগবে।