SHAMSUL AREFIN SHAKTI·TUESDAY, AUGUST 1, 2017
হায়াতে থাকলে প্রকাশের পর একটা লেখা লিখব–
“দ্য মেকিং অব ডাবল স্ট্যান্ডার্ড”
ভাবতে ভাবতে কীভাবে ছুটে গেল প্যাঁচগুলো। হ্ঠাৎ; যখন ভাবছি তখন ছুটছে না,উত্তর আসছেনা। যখন ভাবছিনা, অন্যকিছু করছি বা অন্যকিছু ভাবছি তখন দুম করে ভাবনার প্যাঁচ খুলে যায়। প্রতিবার অবাক করে দিয়ে কে যেন জোর করে চিন্তার জট ছাড়িয়ে দেয়। চোখ ফেটে এসে পড়ে পানি। ওহ হো, এই বিধানটা তাহলে এজন্যই ছিল। এত পারফেক্ট, এত সুন্দর।
বইটা কমপ্লিট করতে ৩ মাস মাত্র সময় নিয়েছি। একটা গল্প শেষ কোনমতে করেই ফেবুতে দিয়ে দিয়েছি। খুব দ্রুত। মনের ভিতর ‘ছাড়ানো প্যাঁচ’ ছোটভাইটাকে বুঝিয়ে দিয়েছি। কোন ডায়েরিতে সেগুলো লিখেছি ওকে দেখিয়ে দিয়েছি। এতো তাড়াহুড়ো করার একটাই কারণ ছিল।
এই হঠাৎ পাওয়া জবাবগুলো আমার মনে হয়েছে কেউ আমানত হিসেবে দিচ্ছে। আমার কোন কৃতিত্ব নেই। এই ‘খুলে যাওয়া প্যাঁচ’ কারো আমানত। যদি এর মাঝে আমার ডাক চলে আসে, এই ভয়ে ছোটভাইকে বুঝিয়ে রেখেছিলাম যাতে আমি না থাকলেও আমানত আপনাদের কাছে পৌঁছে। এজন্যই এত তাড়াতাড়ি।
এখন আমার দায়িত্ব শেষ। আলহামদুলিল্লাহ। এই ‘খোলা প্যাঁচ’ এখন আপনাদের কাছে আমানত। কে জানে কোথায় কে প্যাঁচ থেকে বের হতে পারছেনা। হয়ত আপনার খুঁজে দেয়া এই চাবিতেই ওর মুক্তি।
এই ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’ বইটা শামসুল আরেফীনের না। এটা আমাদের, আপনাদের। এটা আপনাদের বই, আপনাদের আমানত। পৃথিবীর কোন প্রান্তে কেউ হয়ত সেই আমানতের অপেক্ষায়।
বিঃদ্রঃ সন্তানবাৎসল্য থেকেই কি না জানিনা, আমার বাবা বলছিলেন এই বইটা অন্যভাষায় অনুবাদ হওয়া দরকার। আপনারা পড়ার পর যে মতামত দেবেন তার উপর ভিত্তি করে পরের সিদ্ধান্ত নেব। মুসলিম দেশের মধ্যে সিরিয়া আর মিশরে নাস্তিকতার হার খুব বেশি। আর পশ্চিমা দেশের মুসলিমদের না জানি কি হাল। ইংরেজি ও আরবি কল্পনায় আছে। যাঁরা আপনারা পড়বেন সবাই একটু কষ্ট করে ওয়ালে ছোট্ট করে একটা রিভিউ লিখে দিয়েন। আল্লাহ আপনাদের জাযায়ে খায়ের দান করুন।
কেঁদোনা আকসা, আমরা আসছি।
আসলে বইটা আস্তিক-নাস্তিক-অমুসলিম-প্র্যাক্টিসিং-ননপ্র্যাক্টিসিং-আলিম-জেনারেল শিক্ষিত সবার জন্যই। সবার আলাদা খোরাক দিতে চেয়েছি। ভাবাতে চেয়েছি সবাইকে। সবাই ভাবুন, ভাবান। বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন গড়ে উঠুক আবার, সেই মধ্যযুগের সোনালী ইসলামী সভ্যতার মত।
তাই নিজে পড়ুন, অন্যকেও পড়ান। আপনার বুকশেলফ, ব্যাগ,অফিসের ডেস্ক, শিয়রে রাখার মত হবে আশা করি। মনে গেঁথে নিলে আরো ভালো। ৳ ৮৬/- জলে যাবেনা ইনশাআল্লাহ।
কন্টেন্ট আবার মেনশন করছিঃ-
———————————-
বইয়ের নামঃ ডাবল্ স্ট্যান্ডার্ড ১
লেখকঃ ডাঃ শামসুল আরেফীন
শরঈ সম্পাদনাঃ মুফতি আবু সালেহ মোহাম্মদউল্লাহ
প্রকাশনাঃ মাকতাবাতুল আযহার
যা থাকছেঃ
১. না দেখে বিশ্বাসঃমানবজন্মের সার্থকতা
২. দাসপ্রথাঃ ঐশী বিধানের সৌন্দর্য
৩. দক্ষিণ হস্ত মালিকানাঃ একটি নারীবাদী বিধান
৪. আরব সংস্কৃতি মানবো কেন?
৫. সমাধান কি মানবধর্মেই?
৬. বনু কুরাইজা ও বাংলাদেশ দণ্ডবিধি
৭. শ্রেণীবৈষম্যহীন সমাজঃ ওদের স্বপ্ন, আমাদের অর্জন
৮. শস্যক্ষেত্র ও নারীঃ সম্পত্তি, না সম্পদ?
৯. পরিপূর্ণ দাড়িঃ জঙ্গল, নাকি ছায়াবীথি?
১০. জিযিয়াঃ অমুসলিম নাগরিকের দায়মুক্তি
১১. বিজ্ঞান কল্পকাহিনীঃ শাশ্বত একত্ব (Eternal Oneness)
১১ টি ছোটগল্প।চিত্রকল্পে এগিয়ে যাবে কাহিনী।প্রতি বাক্যে থাকছে রেফারেন্স।
বইয়ের নাম থেকে বা সূচিপত্র থেকে অলরেডি একটা ধারণা করা গেছে যে কেমন হবে আপনাদের “ডাবল স্ট্যান্ডার্ড”।
প্রবন্ধের মূল সমস্যা হল বিষয়বস্তুর বাইরে যাবার সুযোগ কম। আর গল্পের সুবিধা হল, আড্ডার ছলে পানি বিভিন্ন দিকে গড়ায়। আল্লাহ জাযায়ে খায়ের দিন আরিফ আজাদ ভাইকে।
যারা ফেবুতে “তুমিও ভাবো” পড়েননি, তারা তো পড়েননি। যারা পড়েছেন তারা ৬০ ভাগ পড়েছেন। পরে আরও যোগ- বিয়োগ-গুণ-ভাগ তো হয়েছেই। সাথে যোগ হয়েছে রেফারেন্স আর রেফারেন্স। কোন কোন গল্পে তো ভাতের চেয়ে বেগুন ভর্তাই বেশি হয়ে গেছে।
গল্পের টপিক ছাড়াও আরও অনেক বিষয়ই এসেছে গল্পের ভিতর। বললাম না, সবাই নিজ নিজ খোরাক পাবে এটায়।
প্র্যাক্টিসিং পাবে ইসলামের রূপামৃত পানের তৃপ্তি, এর অলৌকিকতায় হবে বিহ্বল।
নন-প্র্যাক্টিসিং জানবে, ইসলাম জেনেটিক নয়। এটা অনুশীলনের বিষয়, ফর্ম ফিলআপের নয়। জন্ম মুসলিম পরিবারে হতে পারে এটা বড় বিষয় না। দেখার বিষয় কে মুসলিম হিসেবে মরছে। ইসলাম প্র্যাক্টিস না করে এর উপর মরার সম্ভাবনা কমে যায়।
অমুসলিমদের জানার বিষয় হল, ইসলাম ওনাদের ধর্মের মত ‘ধর্ম’ নয়। এটা লাইফস্টাইল। চুল কাটাও ইসলামের বাইরে না, দেশ পরিচালনাও ইসলামেরই অংশ।
হিন্দু থেকে নাস্তিকরা জানবে, তারা যা খুঁজে যা বুঝে ধর্মকে ছেড়েছে, সে মুক্তা লুকোনো এই লাইফস্টাইলে।
ইসলামত্যাগী নাস্তিকরা জানবে, ওরা কতটা দ্বিমুখী, সামান্য প্রবৃত্তির জন্য।
আর উলামায়ে কেরাম জানবে ৯৫% জেনারেল শিক্ষিত মুসলিমসন্তানের মনমগজ অমুসলিমরা ইজারা নিয়েছে। উদ্ধারকর্তা হিসেবে তাঁদের দিকেই চেয়ে আছে এরা। এরা উলামাদের কাছে আর আসবেনা। নবীর ওয়ারিশগণকেই গিয়ে ফেরাতে হবে, ঠিক নবীজীর মত করেই।
আরও অনেক কিছু এসেছে। জানেনই তো আড্ডা কেমন হয়। কে কাকে নিয়ে ভেগেছে থেকে শুরু করে রাশিয়া- আমেরিকার সম্পর্কে গিয়ে থামে। এতেও তাই হয়েছে।
নিজে পড়ে শেষ করলেই হবেনা। আরেকজনকে পড়াতে হবে, তাকে আবার বলতে হবে আরেকজনকে পড়ানোর জন্য।জাগাতে হবে না সবাইকে?
জাগো বাহে। কোনঠে সবাই।
আকসা, তুমি জোরে কাঁদো। এত জোরে যেন আমরা সবাই উঠে যাই।